স্টাফ রিপোর্টার : রোজা এখন শেষ পর্যায়ে। আর ক’দিন পরই ঈদ। পবিত্র রমযান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মানুষকে তারপরও নাড়ীর টানে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন নগরবাসী। আসছে সপ্তাহজুড়েই ঢাকা ছাড়বেন কোটিরও বেশি মানুষ। এছাড়া দেশের অন্য বিভাগীয় শহরের বসবাসকারীরাও ছুটি পেলে নগর ছেড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ করতে বাড়ি যাবেন। প্রতি বছরই ঈদ কোনো কোনো পরিবারের জন্য আনন্দের পরিবর্তে বিষাদে রূপ নেয়। সড়ক, নৌ ও রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং চালকদের বেপরোয়া চালানোয় ঘটে নানা দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। কোনো কোনো চালক বিশ্রাম না নিয়ে টানা ডিউটি করেন! ফলে একপর্যায়ে তিনি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। অনেকে কাজ শেষ হলে লোকাল পরিবহন ব্যবহার করেই গ্রামে যাবেন। তাছাড়া প্রাইভেট রেন্ট-এ-কার, উবার, মাইক্রো ভাড়া করতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
বাংলাদেশ রেলওয়ে গত ২৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। টিকিট বিক্রি চলার কথা ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু টিকিট বিক্রয় শুরু হবার ৫ মিনিটের মধ্যেই সকল টিকিট বিক্রয় শেষ হয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও কলোবাজারিদের যোগসাজশকে দায়ী করেছেন। প্রথম দিন ২৪ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৩ এপ্রিলের টিকিট। গত ১৩ মার্চ রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী অগ্রিম টিকিট বিক্রির সূচি প্রকাশ করেন। রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এবারো ঈদযাত্রার কোনো টিকিট, কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে না। অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেলসেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফরম থেকে টিকিট পাওয়া কথা। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট মিলবে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার ঈদের আগে সারা দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকিট বিক্রি হবে। ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। রেল কর্তৃপক্ষের দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য এবার যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে কোনো আশার বাণী নেই।
প্রস্তুত ১৩০ লঞ্চ, চলছে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও
আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচলের জন্য ইতোমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পাবেন যাত্রীরা। লঞ্চ মালিকপক্ষের ভাষ্য, এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের যাত্রীর চাপ কম থাকবে। যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। পদ্মা সেতু হওয়ায় বরিশালের যাত্রীর সংখ্যা কমেছে।
উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রি শেষ পর্যায়ে
অভ্যন্তরীণ পথে উড়োজাহাজের টিকিটের ৭০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গের পথে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সড়কপথে অসহনীয় যানজট, রেলপথে বিলম্ব, নৌপথে ভিড়সহ নানা দুর্ভোগ এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য আকাশপথকে বেছে নেন ঈদে ঘরমুখী মানুষের মধ্যে সামর্থ্যবানদের একটি অংশ। ২৫ রোজার পর থেকে টিকিটের চাহিদা বেশি। ইউএস-বাংলা বলছে, ২৫ রোজার পরের ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- উৎকণ্ঠা বাড়ছে শাসকশিবিরে
- আমাদের আগামী দিনের পথচলায় আপনাদেরকে পাশে চাই
- তৎপর হচ্ছে বিএনপি
- উন্নয়নের বয়ান ও স্বাধীনতার স্বপ্ন
- সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিকের কারখানা বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : ডা. শফিকুর রহমান
- আকাশচুম্বী ঋণের বোঝায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত
- স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- শহরাঞ্চলে গরিব মানুষ বাড়ছে