রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ২য় সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ॥ ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২৯ মাচ ২০২৪

॥  হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন- স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূূর্তিতে এ সত্য আরো প্রকটভাবে উপলব্ধি করছে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। আবার সংগ্রামী জনতার মুখে বজ্রকঠোর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে, ‘পিন্ডির দাসত্বমুক্ত হয়েছি দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়।’ কেন স্বাধীনতার এত বছর পর এমন বড় করে সামনে আসছে এ শঙ্কা। তবে কি লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি এদেশের মানুষ। এ ব্যর্থতার দায় কার? পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত, ‘নিঃসন্দেহে রাজনীতিবিদদের’। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতা দখলকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাদের তল্পিবাহক বাম এবং ইসলামের নাম ব্যবহারিকারী কতিপয় স্বার্থান্ধ সিল-প্যাড-সাইনবোর্ডসর্বস্ব রাজনীতি ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠু ধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে প্রধান বাধা বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। নিকটতম এবং বৃহত্তম প্রতিবেশী ভারতের দাদাগিরিও এদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার পথে অন্যতম প্রধান বাধা। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশের জন্মের সাথে ইতিবাচকভাবে জড়িয়ে আছে ওপরে উল্লেখিত প্রত্যেকের নাম। ১৯৭০ সালে ভোটের অধিকার এবং স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার গণআন্দোলন পরে মুক্তিযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। সত্যি সেলুকাস!  ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধে বিজয়ী দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। এদেশের জনগণকে লড়াই করতে হচ্ছে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। উন্নয়নের বয়ানের আড়ালে গণতন্ত্রহীনতা আবার চেপে বসেছে।
উন্নয়নের বয়ান ও স্বাধীনতার স্বপ্ন
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলনীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। কারণ প্রকৃত উন্নয়ন হলো মানবিক উন্নয়ন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্লোগান স্বৈরশাসকদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রতারণা বৈ অন্য কিছু নয়। তাই তো এ সরকারের শত দুঃশাসন আড়াল করতে বলা হচ্ছে, ‘উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের প্রয়োজন নেই’- এ বয়ান দিয়ে ২০১৪ সালে একতরফা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রহীনতার জোয়ার শুরু হয়েছে। এ জোয়ারে কি তাহলে কোনোদিন ভাটার টান লাগবে না। ইতিহাস কী বলে? কবে বন্ধ হবে এ মানবতাবিরোধী খেলা।
১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট দৈনিক আজাদে মরহুম আবুল মনসুর আহমদের ‘গণতন্ত্রের হায়াত ফুরাইয়াছে কি?’ নিবন্ধটি যখন প্রকাশিত হয়, সেই সময় ‘উন্নয়ন’ শব্দটি ছিল বহুল প্রচলিত। আইয়ুব খানের জাদুর স্পর্শে উন্নয়ন শব্দটি তখন অভিধান থেকে বের হয়ে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। গণতন্ত্রের বিপরীতে ‘উন্নয়ন’ শব্দটির অবস্থান তখন উচ্চমার্গে। ‘উন্নয়ন’র ঠেলায় মানুষের বাকস্বাধীনতাসহ সকল স্বাধীনতাই উর্দিওয়ালাদের বুটের তলায় নিষ্পেষিত। সেই সময় বিবেকের তাড়নায় বাধ্য হয়েই আবুল মনসুর আহমদ লিখেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের হায়াত ফুরাইয়াছে কি?’ এ নিবন্ধের মাধ্যমে তিনি জাতির বিবেক জাগাতে চেয়েছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘গণতন্ত্রী সরকার সুস্পষ্ট কারণেই একটু মন্থরগতি। গণতন্ত্রী দেশে আইন আছে, আইন পরিষদ আছে, ডিবেট আছে, খবরের কাগজের সমালোচনা আছে, জনমতের বাদ-প্রতিবাদ আছে। সে দেশে বাজেট করিয়া খরচ করিতে হয়, খরচ করিয়া হিসাব দিতে হয়; অপরপক্ষে ডিক্টেটরের দেশে এসব হাঙ্গামা নাই। আইন নাই, আইনসভা নাই, খবরের কাগজের সমালোচনা নাই, সভার প্রতিবাদ নাই। বাজেটও নাই, খরচের হিসাব-নিকাশও নাই। গৌরী সেনের টাকা খরচ করেন এক ব্যক্তি তার মর্জি-মোতাবেক।’
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, লেখক সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এখন আমাদের মাঝে নেই। তার উত্তরসূরি সুযোগ্য সন্তান ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম আছেন। তার অনেক ভক্ত-অনুরক্তও আছেন। তারাও নিশ্চয়ই আবুল মনসুর আহমদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করবেন, ‘গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।’ কারণ আবুল মনসুর আহমদ ‘গৌরী সেনের টাকা খরচ করেন এক ব্যক্তি তার মর্জি-মোতাবেক’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন আশা করি, তা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেই এক ‘ব্যক্তি ’ বিভিন্ন নামে যুগে যুগে আছেন। ‘গৌরী সেনে’র (জনগণের) টাকা লুট করেন। আবার ন্যায্য হিস্যা চাইলে সবকিছু বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন। ইতিহাসে ঘৃণার অক্ষরে তাদের নাম লেখা থাকে। কিন্তু বর্তমানে উচ্চারিত হয় নানা বিশেষণে। দেশের অর্থনীতি তলানিতে ঠেকেছে। রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ডিজিটাল কায়দায় লুট হচ্ছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের টাকাই শুধু নয়, ব্যাংকই লুট হচ্ছে (যেমন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ)।  
 বিশেষ করে গত দেড় দশকের গণতন্ত্রহীনতাকে উন্নয়নের বয়ানের আড়াল করার চেষ্টার কমতি নেই সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপরও যতটুকু প্রকাশিত হচ্ছে- অতি সহজেই উপলব্ধি করা যায়, স্বাধীনতার স্বপ্ন কতটা অধরা।
সরকারের রিপোর্টেও আশার আলো নেই
সরকারের পক্ষ থেকে বেশ জোরেশোরে প্রচার হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এক প্রতিবেদন বলেছে, শিশুমৃত্যু বেড়েছে, কমেছে গড় আয়ু। গত ২৪ মার্চ রোববার বিবিএস প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে কমেছে, যা ৭২.৩ বছর। যেটি ২০২২ সালেও ছিল ৭২.৪।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। জরিপে উঠে এসেছে, মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২৭ শতাংশ এবং ২য় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ১৮.৪ বছর প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লীতে আগমনের হার ২০.৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩.৪।
বেকার জনসংখ্যাও বাড়ছে। বিবিএস এক প্রতিবেদন বলছে, কোনো কিছু করে না, দেশে এমন তরুণের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ! অর্থাৎ, এরা পড়াশোনাও করে না, আবার কোনো কাজও করে না; এমনকি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ। এ বছর কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৮৮ শতাংশে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১৭ লাখ বেড়ে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী। এর আগে, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ। বিবিএসের বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস ৪ বছর বয়সী ১০.২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮.৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮.৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২.২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯ বছর বয়সী ১১.৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮.৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩.৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬.১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৭২.৩ বছর। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা নিম্নমুখী, যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৩ শতাংশ এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭ শতাংশ। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে এখনো ১৮ লাখ ৪৮৬ জন মানুষ বস্তিতে বাস করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষ জীবন বিলিয়ে দেননি। তাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খেলা বন্ধ করতে হবে। দেশ জনগণের জন্য যারা রাজনীতি করেন, তাদের এগিয়ে আসার সুযোগ দিতে হবে। রাজনীতিকে যারা ব্যবসায় পরিণত করেন, তাদের নির্বাসনে পাঠাতে ব্যর্থ হলে, নির্বাচন নির্বাসন থেকে কোনোদিন ফিরবে না। এ সত্য উপলব্ধি করে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ^াসী সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, মালিক-শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-জনতা সবাইকে মাঠে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া সিন্দাবাদের ভূতের মতো জাতির ঘাড়ে চেপে বসা অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন সম্ভব নয়।
বিশিষ্টজন ও রাজনীতিবিদদের অভিমত
দেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনীতিবিদরা মনে করেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। উন্নয়নও অর্থহীন। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একটির বিকল্প আরেকটি হতে পারে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের খাতিরে নির্বাচন নয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মহান স্বাধীনতা দিবসে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ঐ সমস্ত জনতাকে, যাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে।  ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসনমুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। স্বাধীনতার এত বছরেও দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসাব করলে দেখা যায়, বহু প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। দেশের মানুষ এমন একসময় স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, যখন দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। বিরোধী মতের লোকজনকে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিপতিত। বিনাভোটে নির্বাচিত এ সরকারের জনগণের প্রতি উদাসীনতা ও দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান ডামি সরকারের আমলে দেশের ৮২ শতাংশ লোক একবেলা পেটভরে খেতে পাচ্ছেন না। দেশের ২৬ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত। পবিত্র রমযানে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ঠিকমতো ইফতার ও সাহরি করতে পারছে না। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের নাগরিকগণ তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা ও দুর্ভোগ লাঘবের ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, বিধায় জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। সরকার দেশের জনগণকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। জাতিকে এ শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার একমাত্র পথ হলো জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করুন। আমীন।’ একদলীয় ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সকল বিরোধীদল ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’



অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।