হেলাল আনওয়ার-এর কবিতা

রহমের বৃষ্টি


৪ জুন ২০২৫ ১২:০০

দ্বিখণ্ডিত পাথর চারপাশে হাসির শিহরণ।
পুলকিত বাতাস মথিত করে উচ্চারিত হয়-
“লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক।”
ধু-ধু মরুর বুক চকচক করে ওঠে,
দুটি পবিত্র মন অথচ আসমান, জমিন এমনকি
আরশব্যাপী মুখর তাদের কর্মের জ্যোতিতে।
পুত্রের বিনীত সম্মতিতে বিস্ময়াভিভূত তাবৎ বিশ্ব।
ফিরিস্তারা শরমিন্দা হয় ঈমানের দৃঢ়তা দেখে।
ভাবে- সৃষ্টি সূচনার অযাচিত গল্প
ভাবে- কীভাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত!
কীভাবে বলতে পারেন, ‘ইফআল মা তুমারুন।’
ইসমাঈল-নির্বাচিত মহান ত্যাগী,
মহান শিক্ষক,
তিনি দেখালেন কীভাবে মনিবের অনুগত গোলাম হতে হয়,
কীভাবে নিজেকে সঁপে দিতে হয় প্রভুর সমীপে।
পিতা-পুত্রের এই নিবেদনে আরশপতি বিগলিত হলেন।
এই সেই কুরবানি
এই সেই মহান ত্যাগ
যার প্রতীকী এ পশু যবেহ
পৃথিবীর অনিবার্য অবাক শিহরণ।
কুরবানির পশু যেন পশু নয়
নিজ পুত্রকে উৎসর্গ করা রবের সান্নিধ্যে।
সমস্বরে মুসলিম মিল্লাত যখন বলে ওঠে-
“লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক
লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক
ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা
ওয়াল মুলুক
লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক।”
তখন আরশ পর্যন্ত শিহরিত হয়।
আর ঝরঝর করে ঝরে পড়ে মহান রবের রহমের বৃষ্টি
মুসলিম মানে গর্বিত জাতি
যাদের ঐতিহ্যের স্মারক ইতিহাসের পাতায় পাতায়।