সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ
৪ জুন ২০২৫ ১১:৪৫
ইসরাইলের আচরণ চরমপন্থার প্রতীক: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিমতীরে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইল সরকারের অনুমতি না দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি জর্ডানের রাজধানী আম্মানে সরিয়ে নিতে হয়। গত রোববার (১ জুন) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সৌদি আরবসহ ছয়টি আরব দেশ ও তুরস্ক অংশ নেয়। এ নিষেধাজ্ঞাকে ইসরাইলের উগ্রবাদী মনোভাবের প্রমাণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পশ্চিমতীরে আরব নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসরাইল আবারও শান্তি প্রক্রিয়ায় নিজেদের বিরূপ মনোভাব তুলে ধরেছে। প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ‘আরব প্রতিনিধিদের রামাল্লায় প্রবেশে বাধা দিয়ে ইসরাইল তাদের চরমপন্থা এবং শান্তির প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলের এ অহংকারী পদক্ষেপ আমাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ইসরাইল পূর্বঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিল, তারা এ বৈঠকে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে অনুমতি দেবে না। এক ইসরাইলি কর্মকর্তা এ বৈঠককে ‘উসকানিমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘এ মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।’ জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘এ সফরে বাধা দিয়ে ইসরাইল একটি ন্যায়সঙ্গত আরব-ইসরাইলি মীমাংসার যেকোনো সুযোগকে হত্যা করছে।’ মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সম্মেলনের আগেই বলেছিলেন, ‘এ বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি, পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো পরিকল্পনা প্রতিরোধের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।’ ইসরাইলের সাম্প্রতিক দমন-পীড়ন, হামলা ও পশ্চিমতীরে প্রবেশে বাধাদানের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইল যদি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ অবরুদ্ধ করে রাখে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান কঠিন হয়ে উঠবে। রয়টার্স।
রাশিয়া ন্যাটোয় হামলা চালাতে পারে: জার্মান জেনারেলের হুঁশিয়ারি
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপের অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকর্তা, জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল কার্সটেন ব্রয়্যার। তার মতে, রাশিয়া কেবল ইউক্রেন যুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকবে না আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ন্যাটো জোটের ওপর সরাসরি হামলা চালাতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তিনি এখনই প্রস্তুতি নিতে সব ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন। গত রোববার (১ জুন) রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ হুঁশিয়ারির কথা জানানো হয়। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগ প্রতিরক্ষা সম্মেলনে ব্রয়্যার বলেন, রাশিয়া ২০২৯ সালের মধ্যেই বাল্টিক অঞ্চলের ন্যাটো দেশগুলোয় আক্রমণ করতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক উৎপাদন এবং পশ্চিমা সীমান্তে সৈন্যসমাবেশের দিকটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ন্যাটোকে এখনই সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
সাক্ষাৎকারে জার্মান প্রতিরক্ষা প্রধান জানান, রাশিয়া প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক তৈরি করছে। এ ট্যাঙ্কগুলো কেবল ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যই নয়, বরং ন্যাটোর পশ্চিম সীমান্তের সম্ভাব্য আক্রমণের উদ্দেশ্যে মজুদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে রাশিয়া ১৫২ মিমি কামানের ৪০ লাখ গোলা তৈরি করেছে, যার সবই ইউক্রেনে ব্যবহৃত হয়নি। এর মানে হলো, রাশিয়া আগামী দিনে আরও বড় সংঘর্ষের জন্য অস্ত্রভাণ্ডার প্রস্তুত করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার এ প্রস্তুতি ২০২৯ সালের মধ্যে বাল্টিক অঞ্চলকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। যদিও জেনারেল ব্রয়্যার আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘হামলা যে ২০২৯ সালেই হবে তা বলা যায় না। এটি তার আগেও হতে পারে। তাই আমাদের আজ থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
জেনারেল ব্রয়্যার রাশিয়ার সাম্প্রতিক কার্যক্রমকে ন্যাটোর বিরুদ্ধে এক ধরনের পরোক্ষ যুদ্ধ বলেও আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে ন্যাটোর সঙ্গে বৃহত্তর সংঘর্ষের অংশ হিসেবে দেখছে। তারা ন্যাটোর প্রতিরক্ষা কাঠামোর দুর্বলতা খুঁজে বের করতে এবং সেখানে আঘাত হানার সুযোগ খুঁজছে। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে যাওয়া কেবল সংযোগে হামলা, ইউরোপের গণপরিবহন ব্যবস্থায় সাইবার হামলা এবং জার্মানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর অজ্ঞাত ড্রোনের উড্ডয়ন। ন্যাটোর অভ্যন্তরে ঐক্য প্রসঙ্গে জেনারেল ব্রয়্যার বলেন, ‘হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া রাশিয়াপন্থি অবস্থানে থাকলেও জোটে ঐক্য রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোয় যোগ দেওয়া এ ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি আমার ৪০ বছরের সেনা জীবনে এমন ঐক্য আগে দেখিনি। এখন সবাই বুঝেছে যে, হুমকি বাস্তব এবং আমাদের দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি নিতে হবে।’ বিবিসি।
মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
গত মার্চের শেষ দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সাথে যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার, তার মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। সরকারের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি থাকবে মিয়ানমারে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল মিয়ানমার ইন্টারন্যাশনাল টিভি গত রোববার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া লোকজনদের পুনর্বাসন এবং ভেঙেপড়া অবকাঠামো মেরামতের কাজ এখনো চলছে। এ কারণেই বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিরতি। পৃথক এক বিবৃতিতে জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময়ে যদি কোনো গোষ্ঠী বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি হতে পারে-এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়- সেক্ষেত্রে তার কঠোর জবাব দেবে সামরিক সরকার।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক মাস পরেই তৎপর হয়ে ওঠে মিয়ানমারজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাত শুরু হয় তাদের এবং বর্তমানে মিয়ানমারের বিশাল অঞ্চল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য প্রথমে ৫ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল জান্তা। পরে ৬ মে বিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়। তারও পরে গত ১ জুন রোববার দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হলো যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। আনাদলু এজেন্সি।
পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর স্বীকারোক্তি, চাপে মোদি সরকার
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল কিনা, এ নিয়ে এতদিন জল্পনা চলছিল ভারতে। তার ইতি টেনেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান। এতে বিরোধীদের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে মোদি সরকার। কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে এপ্রিলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ভারতের অপারেশন ‘সিঁদুরের পর’ পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সামরিক বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান দাবি করে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল বিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। এ নিয়ে নয়াদিল্লি এতদিন নীরব থাকলেও মুখ খুলেছেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষিত হয়। তারপর তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও ভারত সরকার এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। সেনার পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। অবশেষে মুখ খুললেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান। সিঙ্গাপুরে সাংগ্রিলা ডায়লগে অংশগ্রহণ করার অবসরে বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ব্লুমবার্গ টিভির প্রশ্নে চৌহান কার্যত স্বীকার করেন যে, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের আঘাতে ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। সর্বাধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তান কি ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল? এক বা একাধিক? এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি চৌহান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়া বা তার সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেন সেটা ধ্বংস হলো, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তার মানে অন্তত একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের হামলায় ধ্বংস হয়েছিল? এর জবাবে সংক্ষেপে ‘হ্যাঁ’ বলেন চৌহান। তার ভাষায়, গোটা ঘটনার ইতিবাচক দিক, আমরা কৌশলগত ভুলটা দ্রুত ধরে ফেলেছি। ভুল শুধরে নিয়ে দুদিনের মধ্যে আবার নতুন কৌশল প্রয়োগ করেছি। ব্লুমবার্গের সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন করেন, পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের হামলায় ভারতের অন্তত ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এটা সত্যি? এ প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে দেন চৌহান। ডয়চে ভেলে।
আফগান প্রতিনিধি পাচ্ছেন রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা
পাকিস্তান গত ২ জুন আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর, আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ইসলামাবাদে তাদের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের মর্যাদা রাষ্ট্রদূতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এ মাসের শুরুতে দূত বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে- সন্ত্রাসবাদের উদ্বেগের কারণে ইসলামাবাদ বার বার যে বছরের পর বছর ধরে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। তার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
‘আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাবুলে তাদের কূটনৈতিক মিশনের স্তর রাষ্ট্রদূতের স্তরে উন্নীত করার পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।’ গত ৩০ মে শুক্রবার গভীর রাতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এ কথা বলেছে। ‘পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য, আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত ইসলামাবাদে তাদের মিশনের মর্যাদা চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স থেকে রাষ্ট্রদূতে উন্নীত করবে।’ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জাকির জালালি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইসলামাবাদে বর্তমান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, সরদার আহমেদ শাকিব, পাকিস্তানে দেশটির রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’ আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যে’ পাকিস্তান সফর করবেন, মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়া আহমেদ তাকাল এএফপিকে জানিয়েছেন। ডন।
চীনা শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদেই থাকবে : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা চীনা শিক্ষার্থীরা ভালোই থাকবে। গত ৩০ মে শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (চীনা শিক্ষার্থীরা) ঠিকই থাকবে। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে মিলে যাবে। আমরা শুধু চেক করে নিতে চাই, আমাদের কলেজগুলোতে কোন শিক্ষার্থীরা আছে। এটা সব কলেজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’ ট্রাম্প প্রশাসন চলতি সপ্তাহে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসার ওপর বিশেষ নজরদারি চালানোর ঘোষণা দেয়। এ সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চলমান সরকারের চাপেরই অংশ। তবে বৃহস্পতিবার আদালত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি ঠেকাতে তার প্রশাসনের উদ্যোগের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর একদিন পরেই ট্রাম্পের এ অপেক্ষাকৃত ‘নরম’ মন্তব্য এলো। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত ২৮ মে বুধবার বলেছিলেন, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘জোরালোভাবে বাতিল’ করা হবে। এরই মধ্যে হাজারো শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে যার মধ্যে কেউ কেউ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন, আবার কেউ ছোট-খাটো ট্র্যাফিক অপরাধেও অভিযুক্ত।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান; বিশেষ করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাপড়েন বহুদিনের। সরকার হার্ভার্ডকে কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর তালিকা দিতে বলেছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না, হার্ভার্ড আমাদের তালিকা দিচ্ছে না কেন। কিছু একটা হচ্ছে। তারা তালিকা দিচ্ছে না, কারণ সম্ভবত তাতে এমন কিছু নাম আছে, যেগুলো যথেষ্ট খারাপ। তারা তালিকাটা দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।’ এ সপ্তাহেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানালে তাকে এক মিনিট দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান উপস্থিত সবাই। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এমন মানুষ চাই যারা আমাদের দেশকে ভালোবাসবে, দেশের সেবা করবে, দেশকে মর্যাদা দেবে।’ যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা গড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশেরও কম, যা যুক্তরাজ্যের চেয়ে অনেক কম। যুক্তরাজ্যে এ হার প্রায় ২৫ শতাংশ। এএফপি।
ধর্মীয় উৎসবের নামে আল-আকসায় ইহুদিদের জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ
অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে অবস্থিত মুসলিমদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ফের উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটেছে। ইহুদি ধর্মীয় উৎসব শাভুয়োত উপলক্ষে শত শত অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী সশস্ত্র নিরাপত্তার সহায়তায় জোর করে ঢুকে পড়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে। গত সোমবার (২ জুন) সকালে শাভুয়োত নামক ইহুদি ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের নামে ৫০০-এর বেশি অবৈধ বসতি স্থাপনকারী জোরপূর্বক আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে। জেরুসালেমের ইসলামিক ওয়াক্ফ বিভাগ জানায়, ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি সহায়তায় তারা মসজিদের পশ্চিম দিকের আল-মুগরাবা গেট দিয়ে প্রবেশ করে এবং মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিকে চরমভাবে উপেক্ষা করে তালমুদিক ধর্মীয় আচার পালন করে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা ও তুরস্কভিত্তিক আনাদলু এজেন্সির বরাতে জানা যায়, এসব অবৈধ বসতি স্থাপনকারী মসজিদের গেটের আশপাশে তালমুদিক রীতিনীতিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করে যা স্পষ্টভাবে উসকানিমূলক এবং মুসলিমদের পবিত্র স্থান দখলের ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই অংশ। উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে ইসরাইল নিয়মিতভাবে বসতি স্থাপনকারীদের আল-আকসা চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে আসছে, যদিও শুক্র ও শনিবার এ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। ইসরাইলের দাবি, এটি ‘টেম্পল মাউন্ট’ যেখানে তাদের প্রাচীন দুটি মন্দির ছিল। কিন্তু মুসলিমদের কাছে এটি তৃতীয় পবিত্রতম স্থান, যা মক্কা ও মদিনার পরেই স্থান পায়। মুসলমানদের বিশ্বাস, এখান থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গিয়েছিলেন। ইসরাইল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে একতরফাভাবে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। তবে এ দখল ও ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। আনাদলু এজেন্সি।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্যারল নাভরোকির জয়
পোল্যান্ডে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডানপন্থি ইতিহাসবিদ ক্যারল নাভরোকি। এ ফলাফল শুধু রাজনৈতিক পালাবদলের দিকেই ইঙ্গিত করছে না, বরং তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্কেও নতুন প্রশ্ন তুলছে। গত রোববার (১ জুন) রাতে ভোটগ্রহণ শেষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ফলাফলে দেখা যায়, নাভরোকি পেয়েছেন ৫০.৯ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ওয়ারশ শহরের উদারপন্থি মেয়র রাফাল ত্রাস্কোভস্কি পেয়েছেন ৪৯.১ শতাংশ। ফল ঘোষণার পর পোল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন (পিকেডব্লিউ) নাভরোকিকে বিজয়ী ঘোষণা করে। ভোটের ব্যবধান এতটাই কম ছিল যে বুথফেরত জরিপেও উভয় প্রার্থীর মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছিল। প্রাথমিক জরিপে ধারণা করা হয়েছিল ত্রাস্কোভস্কি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। বিবিসি জানিয়েছে, বুথফেরত জরিপে তাকে ৫০.৩ শতাংশ ভোট পাওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছিল, যেখানে নাভরোকি পেয়েছিলেন ৪৯.৭ শতাংশ। সেই ফল দেখে ত্রাস্কোভস্কি আগেই নিজের বিজয়ের ঘোষণা দেন। তবে নাভরোকি তখনই জানিয়েছিলেন, ‘এখনো আশা ফুরায়নি।’
নাভরোকির এ জয় তার রাজনৈতিক সমর্থক, রক্ষণশীল বিরোধী দল ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ (চরঝ) দলের জন্য নতুন প্রাণসঞ্চার করে দিয়েছে। দেড় বছর আগে ক্ষমতা হারানো এ দলটি এখন থেকেই ২০২৭ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করতে পারে। নাভরোকি কট্টর ক্যাথলিক মূল্যবোধ, রক্ষণশীল সামাজিক চিন্তাভাবনা এবং পোল্যান্ডের সার্বভৌমত্বকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। অনুমান করা হচ্ছে, তিনি আগের প্রেসিডেন্টের মতোই প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্কের ইউরোপপন্থি উদ্যোগগুলোয় বার বার ভেটো দেবেন। নাভরোকির এ অবস্থান বিশেষ করে ইইউ-পন্থি জনমতের সঙ্গে সংঘাতে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে তার সমর্থকরা মনে করছেন, দেশের ঐতিহ্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ অবস্থান দরকার ছিল। এ নির্বাচন শুধু একজন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার ঘটনা নয়; বরং তা পোল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলার গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারে। নাভরোকির নেতৃত্বে দেশ কতটা ইউরোপীয় ধারার বাইরে নিজস্ব নীতি গ্রহণ করবে, তা সময়ই বলে দেবে। বিবিসি।
ইউনেস্কোয় ভূ-স্থাপত্য গবেষণা চেয়ার পেলো ইরান
ইরানের দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের ইসফাহাক গ্রামকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) ৩৪টি মর্যাদাপূর্ণ গবেষণা চেয়ারের মধ্যে একটিতে ভূষিত করা হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য এটিকে একটি অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাবাস কাউন্টির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প দপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ আরব এ ঘোষণা দেন। ইসফাহাক ইউনেস্কোর গবেষণা কমিশনে একটি আসন পেয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।। স্থপতি ও গবেষক পৌইয়া খাজায়েলির নেতৃত্বে ইসফাহাক মাদ সেন্টারের (ই.এম.সি.) মাধ্যমে ভূমি স্থাপত্যে গ্রামটির উদ্ভাবনী কার্যক্রম এবং এর বৈজ্ঞানিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মান দেওয়া হয়েছে।
তেহরান টাইমসের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের পর্যটনের সেরা পর্যটন গ্রামগুলোর মধ্যে একটি ইসফাহাক টেকসই পুনর্গঠন এবং স্থাপত্য সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকৃষ্ট করতে সফল হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে মনোনয়নের দলিলগুচ্ছে ই.এম.সি. পরিচালিত ব্যাপক বৈজ্ঞানিক গবেষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আরব বলেন, ‘এই আসন লাভ কেবল এসফাহাক এবং এর জনগণের জন্য একটি মহান সম্মানের বিষয় নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী গ্রামের বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সম্ভাবনাকেও তুলে ধরছে। এটি বিশ্বব্যাপী বিশেষায়িত পর্যটক এবং গবেষকদের কাছে এসফাহাকের অর্জনগুলিকে পরিচয় করিয়ে দিতে সাহায্য করবে।’ তেহরান টাইমস।
রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি
রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে চারটি সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে রাশিয়ার ৪০টির বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এ হামলা ঘটে এমন সময়, যখন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত এক শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ঠিক তার আগ মুহূর্তেই ইউক্রেন এ ‘বিশেষ অভিযান’ চালায়, যাকে বিশ্লেষকেরা একটি বড় ধরনের সামরিক ও কূটনৈতিক উসকানি হিসেবে দেখছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ড্রোনগুলো ইউক্রেন থেকে ছোড়া হয়নি, বরং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সেনাঘাঁটির কাছাকাছি অঞ্চল থেকেই এগুলো চালানো হয়েছে। এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার গভীরভূমিতে থাকা কৌশলগত যুদ্ধক্ষমতাকে ভেঙে দেওয়া এবং ইউক্রেনীয় শহরে হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, এ অভিযান ছিল ‘রণক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত শত্রুঘাঁটিতে বড় ধরনের আঘাত হানার প্রচেষ্টা।’ তিনি দাবি করেন, সাইবেরিয়ার বেলায়া বিমানঘাঁটিসহ আরও তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালানো হয়, যেগুলোয় রাশিয়ার টিইউ-৯৫ ও টিইউ-২২ কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন ছিল। এ যুদ্ধবিমানগুলোই ইউক্রেনের শহরগুলোর ওপর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহার করা হতো। রয়টার্স ও ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, এ ড্রোন হামলার পরিকল্পনা প্রায় ১৮ মাস ধরে চলে। অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘স্পাইডারওয়েব’। ড্রোনগুলো প্রথমে চুপিসারে রাশিয়ার ভেতরে পাঠানো হয় এবং ছোট কাঠের তৈরি ঘর বা ছাদে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর এসব ড্রোন ট্রাকে (লরি) করে সেনাঘাঁটির আশপাশে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকেই ছোড়া হয় হামলার জন্য।
প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, কাঠের ছাদে বহু ড্রোন সাজানো রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ছবির সঙ্গে চলমান অভিযানের সরাসরি সম্পর্ক আছে। এছাড়া রয়টার্স একটি ভিডিও ফুটেজও পেয়েছে, যেখানে দেখা যায়, টিইউ-৯৫ যুদ্ধবিমানগুলো আগুনে পুড়ছে। উল্লেখ্য, টিইউ-৯৫ বিমান একসময় পারমাণবিক অস্ত্র বহনে ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে তা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ এ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যিনি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে গণমাধ্যমে কথা বলেন। একযোগে চারটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়, যা ইউক্রেনের অভিযানের পরিসর ও সক্ষমতার এক নতুন দৃষ্টান্ত। এএফপি, রয়টার্স।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান