মাছের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

সবজি মুরগি ডিম আলুতে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুন ২০২৫ ১১:২৬

স্টাফ রিপোর্টার : ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে গত বছরের এ সময় এক কেজি সোনালি মুরগির দাম ছিল ৪২০ টাকা। এখন সেই এক কেজি সোনালি মুরগির মূল্য মাত্র ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। গত বছরের এ সময় ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। এখন সেই একই পরিমাণের মুরগির মূল্য মাত্র ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। গত কয়েক বছরের মধ্যে এত কম মূল্যে মুরগি খাওয়ার সুযোগ ছিল না ভোক্তারাদের। ফলে এখন তারা অনেকটাই খুশি। তাদের প্রশ্ন- একই দেশ, একই বাজার, একই ব্যবসায়ী, মুরগির খাবারও একই; তবে কেন মূল্য কমেছে? তাদের বিশ্বাস, বাজারে সিন্ডিকেট উধাও হয়ে না গেলেও সিন্ডিকেটের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। ফলে মূল্য কমতির ধারা অব্যহত রয়েছে।
শুধু ব্রয়লার মুরগির মূল্য কি কম? সত্যি বলতে কী মানুষ কল্পনাও করতে পারছে না- গত কয়েক বছর ধরে অতি নিত্যপণ্য আলুর মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সেই আলু এখন বর্ষার মৌসুমেও মাত্র ২০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে খুচরা বাজারে। রাজধানীর সুপারশপগুলোয় ত্রিশ পিসের এক প্যাকেজ ডিমের মূল্য এখন বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের মূল্য ৯ টাকা ৩৭ পয়সা। আর গত বছর ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। ডিমের ডজন ১৪০ টাকা করে ধরলেও প্রতি পিস ডিমের মূল্য দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ তুলনামূলক বাজার পরিস্থিতি খুবই ভালো বলা চলে। স্বস্তিতে রয়েছে ভোক্তারা।
তবে গরু ও ছাগলের গোশত এবং মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও মূল্য বেশি, যা স্বল্পআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এখন বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি শিং ও কৈ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে এসেছে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম এখনো রয়েছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছাগলের গোশত দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। বাজারে এখন সবজির মূল্য কমতির দিকে। বাজারে সরকারিভাবে নজরদারি আরও বাড়ালে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মানুষের জন্য ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।