কমেছে বেশিরভাগ পণ্যমূল্য, ক্রেতারা স্বস্তিতে সবজি ও মুরগির দাম আরও কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ মে ২০২৫ ১০:১৪

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে সব ধরনের পণ্যের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। মুরগি, সবজি ও চালের মূল্য কমতির লাইনে রয়েছে। মাছের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। ডিম, আলু ও পেঁয়াজের বাজারও স্থিতিশীল। অন্য সময় কুরবানি ঈদ সামনে রেখে মুদি পণ্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়, এবার কিন্তু পায়নি। স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে সব মুদিপণ্য। বাড়েনি মসলার মূল্যও। তবে গরুর গোশতের মূল্য একটু বেশি। বাজারে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এক কেজি গরুর গোশত।
খবর নিয়ে জানা গেজে, ঢাকার বাজারে মাছের মূল্য বেশি। প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতল ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দামও বাড়তি।
বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এ তালিকায়। এছাড়া বরবটি, কচুরলতি, উস্তা, বেগুন, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা করে কমেছে।
কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন মিনিকেট। বিক্রেতারা জানান, নতুন চালের দাম প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। এখন প্রতি বস্তা মিনিকেটের দাম ২০০০ টাকার মধ্যে এসেছে, যা আগে ২২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দামই কমেছে। বাজারে পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে ভালোমানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। কিছু বাজারে দাম ১৭০ টাকা হাঁকলেও দরদাম করলে ওই দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কম। একইভাবে কমে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এতো সস্তা দামে মুরগি দীর্ঘদিন পরেই বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কম থাকলেও ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪৫ টাকা হয়েছে। এখনো সে দামেই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন করে দামের কোনো হেরফের হয়নি।
বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন, সরকার চাইলে নিত্যপণ্যমূল্য আরও কমিয়ে আনতে পারে। স্বল্প আয়ের মানুষ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে হলে নিত্যপণ্যের মূল্য আরও কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।