কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর জবানের পরিণতি
২২ মে ২০২৫ ১৭:১৩
॥ ওবায়েদ ইবনে গনি ॥
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে জবান অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সঠিক কাজে জবান ব্যবহার করা, অন্যায়, অসত্য ও হারাম থেকে জবানকে বিরত রাখা আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভের সহজ উপায়। এ জবান বান্দার জন্য মহান আল্লাহর বড় মহাদান। বান্দার বহুবিধ কল্যাণ এতে নিহিত। বহুমুখী প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে তিনি এ নেয়ামত বান্দাকে দান করেছেন। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে এসব প্রয়োজন পূরণ করা সম্ভব নয়। জবানের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হলে অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। কোনোকিছুই জবানের বিকল্প হতে পারে না।
এ পৃথিবীতে যত মানুষ আগমন করেছেন এবং করবেন- জবানই তাদের মহামূল্যাবন সম্পদ। মানুষের মনের ভাব, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, আনন্দ-উল্লাস প্রকাশে জবান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বলতে গেলে জবান গোটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মুখপাত্র। একজন বোবার মনে কত দুঃখ-কষ্ট আর কত আনন্দ-বেদনা আছে, কিন্তু তা কাউকে জানাতে পারে না; জীবনের প্রতিটি ধাপে যার বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যে বাকশক্তি হারিয়েছে, সে-ই উপলব্ধি করতে পারে- জবান কত বড় নেয়ামত! এককথায় জবানের হেফাজত করা মুমিন জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পর্দা করা, দাড়ি রাখা, টুপি পরা, কুরআন-হাদীসের কথা অপরের কাছে তুলে ধরা, কুরআন-হাদীসের আলোকে নিজ জীবন, পরিবার ও সমাজ গঠন করার চেষ্টা করা- এগুলো সবই নবী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ সম্বন্ধে আল্লাহপাকের ঘোষণা হলো, ‘আর (হে নবী (সা.) নিশ্চয় তুমি সর্বোত্তম স্বভাব এবং অনুপম চরিত্র গুণের অধিকারী।’ (সূরা কলম : ৪)। প্রিয়নবী (সা.)-এর পূর্ণ আদর্শ মোতাবেক চললে দুনিয়ায় পাওয়া যাবে শান্তি এবং আখিরাতে পাওয়া যাবে নাজাত অর্থাৎ মুক্তি। একজন সাচ্চা মুমিন নিজ স্বার্থেই নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ পছন্দ করে থাকে। আর কেউ তাঁর আদর্শ অপছন্দ করলে, তাঁর পরিণাম অবশ্যই হবে ভয়াবহ। আর কেউ তাঁর আদর্শের বিপক্ষে কথা বললে, তাঁর ফলও হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় কোনো বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমন কোনো কথা উচ্চারণ করে থাকে অথচ তার ওই কথার গুরুত্ব সম্বন্ধে তার কোনো ধারণা নেই। আল্লাহপাক তাঁর ওই কথার কারণে তাঁর মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেন।’ (বুখারী)।
নবী কারীম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কাছে তাঁর দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তুর অর্থাৎ মুখের এবং দুই রানের মধ্যবর্তী বস্তুর অর্থাৎ যৌনাঙ্গের হেফাজতকারী হবে, আমি তার জন্য বেহেশতের জিম্মাদার হবো।’ (বুখারী)। নবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর এবং আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন যখন কথা বলে, তখন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ (বুখারী)। প্রিয়নবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘নিশ্চয় কোনো বান্দা এমন কথা বলেÑ যার পরিণাম সম্বন্ধে সে চিন্তা করে না। অথচ তার ওই কথার কারণে সে দোজখে নিক্ষিপ্ত হবে। যে দোজখের গভীরতার দূরত্ব হবে মাশরিক পরিমাণ দূরত্বের চেয়েও অধিক।’ (বুখারী)।
উল্লিখিত হাদীসগুলো থেকে ভালো জবানের প্রতিফল সম্বন্ধে একটু জানা গেল। আর কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর জবানের পরিণতি এবং তার শাস্তির ভয়াবহতা সম্বন্ধেও একটু জানা গেল। আমরা আমাদের জবান দ্বারা অনেক সময় এমন সব কথা বলি, যা বলা উচিত নয়। যেমন মিথ্যা বলা, গীবত করা, অপরের চরিত্রের ওপর তুহমত দেয়া, হাদীস নয় অথচ সেটিকে হাদীস বলে লোকের কাছে বলা ইত্যাদি রকমের কষ্টদায়ক বা ক্ষতিকর কথা বলা আমাদের উচিত নয়।
এখানে আমি শুধু একটি কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর কথার উল্লেখ করছি, যা আমাদের বলা উচিত নয়। কথাটি হলো, ধর্মের নামে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করতে হবে। অথচ কোনো মুসলমানের মুখে এরকম জবান বের করা শোভা পায় না। কারণ ইসলামে রাজনীতি আছে। আর ইসলাম অন্যান্য ধর্মের মতো শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) রাজনীতি করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি একটি বিরাট দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। রাসূল (সা.) আনুষ্ঠানিক ইবাদত-বন্দেগী পালন করার সাথে সাথে সমাজসেবামূলক কাজ, প্রশাসনিক কাজ, দেশ আক্রান্ত হলে যুদ্ধ পরিচালনা করা এবং কূটনৈতিক কাজ সবই আঞ্জাম দিয়েছেন।
রাসূল (সা.) হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.), হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.), হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রা.) প্রমুখ সাহাবীর গুণাবলির এবং ইসলামের জন্য তাঁদের অবদানের বিষয়ে অনেক অনেক প্রশংসা করেছেন। কিন্তু নবী (সা.) জনসাধারণের মতের এতই মূল্য দিতেন যে, তাঁর পরবর্তী খলিফা নির্বাচনের বিষয়টি জনসাধারণের মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি জীবিত থাকাকালীন কাউকে খলিফা নির্বাচিত করে যাননি। এরপর সুদীর্ঘসময় মুসলমানরা দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দেশ শাসন করেছেন। তাঁরা কুরআনের আলোকেই দেশ শাসন করেছেন। এ অবিভক্ত ভারতেও তাঁদের সুদীর্ঘসময়ের দেশ শাসন এবং রাজনীতির ইতিহাস বিদ্যমান রয়েছে।
সুতরাং ইসলামে রাজনীতি নেই বা ধর্মের নামে রাজনীতি করা যাবে না বা ইসলামী রাজনীতি যারা করেন, তারা ধর্মান্ধÑ এ জাতীয় কোনো কথা কোনো মুসলমানের জবানে শোভা পায় না এবং এ জাতীয় কোনো কথা কোনো মুসলমান সহ্য করতেও পারে না। আর ইসলামী রাজনীতি প্রত্যেকটি মুমিন বান্দার অন্তরের চাহিদা। কারণ ইসলামী রাজনীতি প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ। আল্লাহপাক আমাদের তাঁর নবী (সা.)-এর সব আদর্শই অনুসরণ করতে বলেছেন। নবী কারীম (সা.)-এর সব আদর্শেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আর একজন মুমিন বান্দা সর্ববস্থায়ই সফলকাম হয়ে থাকেন। কারণ তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করা এবং তাঁর নবী (সা.)-কে অনুসরণ করা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবী (সা.)-কে অনুসরণ করতে গিয়ে তিনি যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কষ্ট পান বা জুলুমের শিকার হন, তাহলে তিনি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা লাভ করবেন।
কিয়ামতের দিন বিচার শেষে বেহেশত ও দোজখ পূর্ণ করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের (বেহেশতিদের) প্রভু তাঁদের পান করতে দেবেন শরাবান তহুরা। নিশ্চয় এটা তোমাদের জন্য পুরস্কার। আর তোমরা যে চেষ্টা তদবির করেছিলে, সেটা প্রশংসার সাথে গৃহীত হয়েছে।’ (সূরা দাহর : ২১-২২)। আর নাফরমানি করে যারা দোজখে যাবে, তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের এখান থেকে বের করে নাও। আমরা যদি আবার পাপ কাজ করি, তাহলে অবশ্যই আমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো। তখন আল্লাহ বলবেন, ওখানেই চুপ করে পড়ে থাক। তোমরা আর কোনো কথা বলো না।’ (মু’মিনুন : ১০৭-১০৮)।
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয়নবী (সা.)-এর মাধ্যমে মানবজাতির কাছে একটি মহামূল্যবান বাণী তুলে ধরেছেন। সেটি হলো, মহান আল্লাহ বলেন, “(হে নবী) আর তোমার রব জনপদগুলোকে জুলুমের সাহায্যে ধ্বংস করে দেবেন অথচ সেখানকার লোকেরা সংশোধন করে চলে, এমনটি তিনি কখনো করেন না। আর তোমার রব যদি চাইতেন, তাহলে সব মানুষকে অবশ্যই তিনি একই উম্মত করে সৃষ্টি করতে পারতেন এবং তারা বিভিন্ন মতবাদে বিভক্ত থাকবে না। তোমার রব যাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন, তারা ব্যতীত অন্যরা তো কেবল মতভেদ করতেই থাকবে। কারণ তাদেরকে তার ওপরই সৃষ্টি করা হয়েছে। ‘নিশ্চয় আমি জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব’।” (সূরা হুদ : ১১৭-১১৯)।
আল্লাহপাক আরো বলেন, ‘তিনি হলেন ওই সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়াত দিয়ে এবং সত্য জীবনব্যবস্থা দিয়ে এজন্য এ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন- যেন তিনি এটাকে অন্যান্য জীবনব্যবস্থার ওপর কায়েম করে দেন। আর এ কথাটি প্রমাণ করার জন্য আল্লাহপাকের সাক্ষ্যই যথেষ্ট।’ (সূরা আল ফাতহ : ২৮)। উল্লিখিত আয়াতগুলো থেকে জানা গেল, একজন সত্যিকারের মুসলমান চিন্তাভাবনা না করে কোনো কথা বলতে বা কোনো কাজকর্ম করতে পারে না।
প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘এ দুনিয়া একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য জেলখানাস্বরূপ এবং একজন কাফির ব্যক্তির জন্য বেহেশতস্বরূপ।’ (মুসলিম)। একজন কয়েদি যেমন স্বাধীনভাবে চলতে পারে না, সেরকম একজন মুমিন ব্যক্তি হিসাব করে সব কথা বলে এবং হিসাব করে সব কাজ করে। কারণ তাকে তার প্রত্যেকটি কথা ও কাজের জন্য একদিন আল্লাহপাকের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ইসলামী জীবনব্যবস্থা কারো ওপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়, বরং এটি সঠিকভাবে অন্যদের কাছে তুলে ধরতে হবে। আল্লাহপাক বলেন, ‘আর ভালো ও মন্দ সমান নয়। তুমি ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করো। যখন তুমি এভাবে কাজ করবে, তখন দেখতে পাবে যে, তোমার সাথে যার শত্রুতা ছিল, সে তোমার প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে।’ (হা-মীম আস সাজদা : ৩৪)।
মহান আল্লাহপাক আরো বলেন, ‘অতএব তুমি তাদের উপদেশ দিতে থাক। তুমি তো একজন উপদেশদাতাই মাত্র। তুমি তো তাদের ওপর বলপ্রয়োগকারী নও। অবশ্য যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে, আল্লাহপাক তাকে কঠিন শাস্তি দেবেন। নিশ্চয়ই তাদের আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। আর নিশ্চয় তাদের হিসাব নেওয়া আমারই দায়িত্ব।’ (সূরা গাশিয়া : ২১-২৬)। মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘(হে নবী) প্রকৃতপক্ষে তুমি তো ওই ব্যক্তিকেই সাবধান করতে পার, যে ব্যক্তি তোমার উপদেশ মেনে চলে এবং যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহকে না দেখেই ভয় করে। অতঃপর তাকে তুমি এ সুসংবাদ দাও যে, তাকে ক্ষমা করা হবে এবং সে সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করবে।’ (সূরা ইয়াছিন : ১১)।
একজন সত্যিকারের মুসলমান মানবজাতির কোনো লোকেরই কোনোরকম ক্ষতি করতে পারে না। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কোনোরকম কষ্ট না দেয়।’ (বুখারী)। এখানে প্রতিবেশী বলতে সব ধর্মের ও সব মতবাদের লোকের কথাই বোঝা যায়। এমনকি যে ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টিকর্তা বলে মানে না, সেও ওই প্রতিবেশীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর একজন মুসলমান তো আরেকজন মুসলমানের ভাই। একজন মুসলমান তো তার ভাইয়ের কোনোরকম ক্ষতি করতেই পারে না। যদি কোনো কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়, তাহলে সেটা তারা নিজেরাই ঠিকঠাক করে দেবে। আল্লাহপাক বলেন, ‘নিশ্চয় মুমিনরা ভাই ভাই। তোমরা তোমাদের ভাইদের সম্পর্ক ঠিকঠাক করে দাও। আর আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায়, এর ফলেই তোমাদের ওপর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সূরা হুজুরাত : ১০)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনরা এক ব্যক্তির মতো। যদি তার চোখ অসুস্থ হয়, তখন তার সর্বাঙ্গ অসুস্থ হয়। আর যদি তার মাথাব্যথা হয়, তখন তার গোটা দেহই অসুস্থ হয়ে পড়ে।’ (মুসলিম)। অর্থাৎ দুনিয়ার কোনো জায়গায় কোনো একজন মুসলমান যদি কোনো কারণে কষ্ট পায় বা নির্যাতিত হয়, তাহলে সমগ্র মুসলিম উম্মাহই সেটার জন্য কষ্ট অনুভব করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহপাক তার প্রয়োজন পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে দুশ্চিন্তামুক্ত করবে, আল্লাহপাক কিয়ামতের দিন তার দুশ্চিন্তাগুলো দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহপাক কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাবে, সুন্নতের সাথে আমল করবে এবং যার অনিষ্ট থেকে লোকেরা নিরাপদ থাকবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.) নিশ্চয় এরকম লোক আজকাল অনেক রয়েছে, হুজুর (সা.) বললেন, আমার পরবর্তী যুগগুলোয়ও এরূপ লোক থাকবে।’ (তিরমিযী)। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর জবান থেকে হেফাজত করুন এবং প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণ আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : সাংবাদিক।