ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল
৮ মে ২০২৫ ১২:০১
সোনার বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত ৪ মে রোববার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার জুনিয়র সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, আমার সিনিয়র জনাব ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক স্যার ইবনে সিনা হাসপাতালে বিকাল ৪ টা ১০মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন। এর আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়মিত হন। শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। ২০১৩ সালে জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়। একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান।
যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৪ সালে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সিল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।