সংিক্ষপ্ত িবশ্বসংবাদ
১ মে ২০২৫ ১৭:৩৩
পশ্চিমতীর, পূর্ব জেরুসালেমের মতো গাজাও ফিলিস্তিনিদের: এরদোগান
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবারও জোরালো সমর্থন জানালেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। গাজার মানুষ তাদের ভূমিতে চিরকাল বসবাস করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি জানান, পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুসালেমের মতো গাজাও ফিলিস্তিনিদেরই। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এসব মন্তব্য করেন। তার এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও ন্যায়ের প্রশ্নে তুরস্কের স্পষ্ট অবস্থানকে আরও একবার সামনে নিয়ে এলো। সোমবার রাতে আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোগান বলেন, ‘পূর্ব জেরুসালেম ও পশ্চিম তীরের মতো গাজাও ফিলিস্তিনিদের। ইনশাআল্লাহ, গাজার ভাই-বোনেরা চিরকাল নিজেদের জন্মভূমিতে বাস করবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ এপ্রিল আঙ্কারায় আয়োজিত ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে সংসদীয় গ্রুপের’ বৈঠকটি তুরস্কের নীতিগত অবস্থানকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে স্পষ্ট করেছে। এরদোগান আরও জানান, বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন সুপরিচিত এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতার কঠোর সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ দমন-পীড়ন ও গণহত্যার মুখেও কখনোই নিজেদের ভূমি ছেড়ে দেয়নি, মাথা নত করেনি।’ তিনি জানান, গত ১৮ মাস ধরে গাজা একদিকে ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার সাক্ষী; অন্যদিকে মানবতার গৌরবময় প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইলের রক্তপাত ও মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আরও শিশু হত্যা করে বা মানুষকে অনাহারে ও ওষুধের অভাবে রেখে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাবে না। এখন সময় এসেছে শুভবুদ্ধির কাছে ফিরে আসার।’
শেষে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান, যেন তারা অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সম্ভাবনাগুলো নষ্ট না করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব প্রচেষ্টা এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও জনগণের সহাবস্থানের জন্য নিবেদিত। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও আমরা ন্যায়বিচার ও শান্তির পক্ষে কাজ করে যাব।’ এরদোগানের এ মন্তব্য ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামে যেমন নতুন সাহস যোগাবে, তেমনি বিশ্ববাসীকেও ন্যায় ও মানবতার পক্ষে এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণা জোগাবে। আনাদলু এজেন্সি।
কানাডার সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির বড় বিজয়
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। এ নির্বাচনে মূল বিষয় ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি। এক ধরনের পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন দেশটির রাজনৈতিক চিত্রে পরিবর্তন আনল। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ ভোটের ফলাফল ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। এ নির্বাচনে, লিবারেল পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। সিবিসি ও সিটিভি নিউজ জানায়, প্রাথমিক ফলাফলে লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের ৩৪৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে মার্ক কার্নি জয় পেয়েছেন। কার্নি, যিনি একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ, নির্বাচনে নিজের অবস্থানকে ট্রাম্পের চাপ মোকাবিলা করা নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে তাকে ছোট দলের সহায়তায় জোট সরকার গঠন করতে হতে পারে।
নির্বাচনের সময় প্রধান ইস্যু ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ বানানোর হুমকি। এ বিষয়গুলো কানাডার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এনে দেয়। প্রথমে, কনজারভেটিভরা জয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধি এবং কঠোর নীতি দেশটির নির্বাচনী পরিবেশকে বদলে দেয় এবং লিবারেল পার্টির ভোট বাড়াতে সহায়তা করে। জনমত জরিপেও লিবারেল পার্টি কনজারভেটিভদের তুলনায় এগিয়ে ছিল। ইপসোস এবং অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলদের ৪২% এবং ৪৪% সমর্থন পেয়েছিল, যেখানে কনজারভেটিভদের সমর্থন ছিল যথাক্রমে ৩৮% ও ৪০%। এ ফলাফল কানাডার রাজনীতিতে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠবে তা দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে। আল-জাজিরা।
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ গেল মুঘল আমল
ভারতে ফের কাঁচি চালানো হল ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে। বিজেপির আমলে হিন্দুত্ববাদী ইতিহাস ছাত্রদের গেলানোর তাগিদে বার বার মুসলিম সময়কালের ইতিহাস বাদ অথবা সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পিত উদ্যোগ চলছে। অহিন্দু সাম্রাজ্যের ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে ভারতের ইতিহাসকেই বিকৃত করছে দিল্লির বর্তমান মোদি সরকার। সেই রাজনৈতিক অভিমুখের অংশ হিসেবে এবার এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে ফের পরিবর্তন করা হলো। সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বইতে এবার আর রাখা হলো না দিল্লির মুঘল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের কথা। যে সময়কাল সম্পর্কে এতদিন শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হতো, তা মুছে ফেলে তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন হিসেবে রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের কথা। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হওয়া কুম্ভমেলার প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে। যে কুম্ভমেলায় যোগ দিতে আসা বহু পুণ্যার্থীকে বিজেপি সরকারের অব্যবস্থার খেসারত দিতে হয়েছে প্রাণের বিনিময়ে। টিওআই।
ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে নামাজরত ব্যক্তিকে হত্যা
ফ্রান্সের দক্ষিণে গার্ড অঞ্চলের লা গ্র্যান্ড-কম্ব গ্রামে মসজিদে হামলা চালিয়ে নামাজরত এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেরু এ ঘটনার নিন্দা করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু শনিবার বলেছেন, ‘আমরা নিহতের পরিবার ও শোকাহত উপাসকদের পাশে আছি।’ তিনি আরো জানান, হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার, স্থানীয় সময় সকালবেলায়। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের গার্ড অঞ্চলের লা গ্র্যান্ড-কম্ব শহরের একটি মসজিদে এক মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক অভিযোগে জানা গেছে, হামলাকারী নিজ মোবাইল ফোনে নৃশংস হত্যাকা-ের দৃশ্য ধারণ করেন এবং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষায় মন্তব্য করেন। অপরাধীর ফোন দিয়ে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজটিতে, মুসলিম লোকটিকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা গেছে। ভিডিওটি অন্য একজনের কাছে পাঠালে পরে সেটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে তা মুছে ফেলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে হত্যাকা-টি দেখানো হয়নি, তবে মসজিদের ভেতরের নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে। তার নিজের ফুটেজে খুনিকে ক্যামেরাগুলো লক্ষ করে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে গ্রেফতার করা হবে, এটা নিশ্চিত। আঞ্চলিক কৌঁসুলি আবদেল করিম গ্রিনি শনিবার জানান, হামলাকারী এখনো পলাতক রয়েছেন। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি বসনিয়ান বংশোদ্ভূত এক ফরাসি নাগরিক। কৌঁসুলি গ্রিনি আরো জানান, হামলাকারীকে ধরতে জোরালো অভিযান চালানো হচ্ছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ এ হত্যাকা-কে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এএফপি।
কাশ্মীর ইস্যু: নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জয়
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদে একটি কূটনৈতিক সফলতা অর্জন করেছে, যা ভারতীয় সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনা ও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি প্রদান করেছে, তাতে ভারতের প্রত্যাশা অনুযায়ী কঠোর ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। পাকিস্তানের মতে, এটি তাদের কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলাফল, যা ভারতের পক্ষ থেকে শক্ত ভাষা ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
গত ২২ এপ্রিলের পেহেলগাম হামলার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে ‘ভারত’ শব্দটির উল্লেখ করা হয়নি, বরং ‘সব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিবৃতির খসড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব করেছিল, তবে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়নি এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণে বিবৃতির ভাষা নরম রাখা সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তান এ সফলতার মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে আগের কঠোর ভাষার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে, যা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর হয়েছিল। তাছাড়া, ‘জম্মু ও কাশ্মীর’ শব্দটি বিবৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে পাকিস্তান কাশ্মীরের বিতর্কিত মর্যাদার প্রশ্নটি আন্তর্জাতিকভাবে আবার উত্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতের জন্য একটি বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে যে, জাতিসংঘের বিবৃতিতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ’ করা হচ্ছে এবং ভারত-পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত। এতে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে কাশ্মীর ইস্যুকে বিশ্বমঞ্চে আবারও প্রাধান্য দিচ্ছে। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
অনুমোদন ছাড়া হজ পালনে জরিমানা ও শাস্তির ঘোষণা
সৌদি আরবে হজ মৌসুম সামনে রেখে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুমতি ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলে কিংবা এ কাজে সহায়তা করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এ নিয়ম চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমোদন ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানসমূহে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩৩১ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। শুধু স্থানীয় নয়, ভিজিট ভিসাধারী যেসব বিদেশি নির্ধারিত অনুমতি ছাড়াই হজের চেষ্টা করবেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে। এ নিয়ম ভাঙার ক্ষেত্রে, যেমন অনুমোদন ছাড়া ভিজিট ভিসার আবেদন করা, অবৈধ হজযাত্রীদের পরিবহন বা আবাসনের ব্যবস্থা করা এসব কাজের জন্যও সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হবে এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য জরিমানার অংক আলাদাভাবে গুণিত হবে।
বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে, যারা অবৈধ হজযাত্রীদের পরিবহনে জড়িত থাকবেন, তাদের ব্যবহৃত যানবাহন মালিকানাধীন হলে আদালতের মাধ্যমে সেই যানবাহন জব্দ করার আবেদন জানানো হবে। অপরদিকে অবৈধভাবে হজ পালনের চেষ্টা করা ব্যক্তি যদি সৌদি আরবের বৈধ বাসিন্দাও হন, তবুও তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। এমনকি যারা ভিসার মেয়াদ শেষ করে থেকেছেন বা আশ্রয় দিয়ে অপরাধ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এ কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পবিত্র স্থানসমূহে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মন্ত্রণালয় বার বার সতর্ক করে বলেছে, হজের পবিত্রতা রক্ষায় কোনো ধরনের অনুমোদনবিহীন কর্মকা- বরদাস্ত করা হবে না এবং সকলের উচিত যথাযথ নিয়ম মেনে হজ পালন করা। আরব নিউজ।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান