রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দিয়েছি
১ মে ২০২৫ ১৭:০৪
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ঢাকা সফররত চায়না কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা পার্টির পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছি, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, ফুড, ক্লোথিং এবং শেল্টার এটা কোনো সমাধান নয়। মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাঁদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর আমরা জোর দিয়েছি।’
গত ২৭ এপ্রিল রোববার বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকা সফররত চায়নার কমিউনিস্ট পার্টির সাউথ এশিয়া রিজিওনের ডিরেক্টর জেনারেল পেং জিউবিনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন।
বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সাউথ এশিয়া রিজিওনের ডিরেক্টর জেনারেল পেং জিউবিন গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, সরকারের প্রতিনিধি, আমাদের ইনটেলিকচুয়াল এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে তারা বৈঠক করেন।
ডা. তাহের আরও বলেন, চায়না এখন আমাদের প্রধান ইনভেস্টর এবং এটাকে আরও অনেক পরিসরে বৃদ্ধি করার জন্য রিকুয়েস্ট করেছি। কারণ বাংলাদেশে ইনভেস্টরদের প্রচুর সুবিধা আছে; ইটস এ্যান ইমার্জিং কান্ট্রি হিসেবে আমরা মনে করি। আমরা তিস্তা ব্যারাজের ব্যাপারে স্পেসিফিকলি বলেছি এবং সেকেন্ড পদ্মা ব্রিজে ইনভেস্ট করার কথা বলেছি। ডিপ সিতে যে পোর্ট হচ্ছে এবং সেটার জন্য আমরা ইনভেস্ট করার কথা বলেছি। এতে যে ব্লু ইকোনমি রয়েছে; ইনভেস্ট করে তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। তাদের সাথে রিজিওনাল সিকিউরিটি ইস্যুজের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এখানে এ রিজিওনে যাতে কেউ কারো প্রতি রক্তচক্ষু দেখাতে না পারে, এজন্য ব্যালান্স অব সিকিউরিটি ইস্যুজ এ ব্যাপারে আমরা তাদের সাথে মতবিনিময় করেছি এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যাপাকভাবে ছাত্রদের স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। এ কয়েকটি বিষয়ে তারা আমাদের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে এবং তারা তাদের গভর্নমেন্টকে এসব ব্যাপারে অভিহিত করবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, নির্বাচনের সময়ের ব্যাপারে তারা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কখন হতে পারে কীভাবে হতে পারে। আমরা বলেছি যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তো একটা ডেটলাইন দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরে হতে পারে; বেশি সংস্কার চাইলে জুনে হতে পারে। আমরা বলেছি আমরা এ প্রোপোজালের সাথে আমরা একমত। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের স্পেসিফিক কোনো কিছু নেই। এবং তারা এটা বলেছে খুব পরিষ্কার করে যে, আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। বাংলাদেশের বিষয়েও আমরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনাদের পলিসি এবং প্রোগ্রামকে সহযোগিতা করা। তারা কোনো ইন্টারফেয়ার করতে চায় না। এগুলো তারা ক্লিয়ারলি উচ্চারণ করেছেন।”