সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ


১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৯

মুসলিমদের প্রতি ঘৃণামূলক অপরাধ বেড়েছে ইউরোপজুড়ে : ইইউ কর্মকর্তা
ইউরোপের প্রায় সব দেশেই মুসলিমদের প্রতি ঘৃণামূলক অপরাধের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুসলিমবিদ্বেষ প্রতিরোধবিষয়ক সমন্বয়ক ম্যারিয়ন লালিসে। গত ১৩ এপ্রিল রোববার তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আন্তালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম’-এ অংশ নিতে গিয়ে আনাদলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর অর্থাৎ গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ঘৃণামূলক অপরাধ দুই-ই উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জার্মানিতে। তা প্রায় ১৪০ শতাংশের মতো হবে।’ ম্যারিয়ন আরো বলেন, ‘ইউরোপীয় সমাজ, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুসলিমবিরোধী বর্ণনা (ন্যারেটিভ) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জোরালো এবং তা শুধু শব্দে সীমাবদ্ধ নেই।’ তবে তিনি মনে করেন, ইউরোপের অধিকাংশ নাগরিক এখনো মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন না। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব; বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম যদি আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আনাদলু এজেন্সি।

রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান ম্যাক্রোঁর
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে মস্কোকে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। গত ১৩ এপ্রিল রোববার ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরে রাশিয়ান বাহিনীর রক্তক্ষয়ী হামলার পর এক্সবার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি। এক্সবার্তায় ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সবাই জানে, এ যুদ্ধ রাশিয়া নিজেই শুরু করেছিল। আজ এটাও স্পষ্ট যে, রাশিয়া নিজেই এটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের জীবন, আন্তর্জাতিক আইন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা করেই তারা এ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর যুদ্ধবিরতি আরোপের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন। এ হামলায় আবারো শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল রোববার সকালে রাশিয়ার সীমান্তঘেঁষা সুমি শহরের কেন্দ্রে দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো। হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৯৯ জন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। হামলার ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মাত্রা এ যুদ্ধের বেসামরিক বিপর্যয়ের আরো একটি নির্মম দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, এ হামলা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরাসরি বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ করে চালানো হয়েছে। ম্যাক্রোঁর বক্তব্য পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার আহ্বান একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে, যা ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের কাছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ ঘটনার পর জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নিন্দা জানানো হয়েছে। কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে, রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে। ব্যারনস।

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ইন্তেকাল
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আহমেদ বাদাউই ইন্তেকাল করেছেন। গত ১৪ এপ্রিল সোমবার তার পরিবার ও চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার জামাতা এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তবে মৃত্যুর কারণ তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিও) স্থানান্তর করা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সকল চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি তার প্রিয়জনদের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করেন।’ ২০০৩ সালে প্রবীণ নেতা মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের পর আবদুল্লাহ মালয়েশিয়ার পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাহাথির দীর্ঘ ২২ বছর দেশ পরিচালনার পর অবসর নেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবদুল্লাহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন এবং প্রযুক্তি ও অর্থনীতিনির্ভর মধ্যপন্থী ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেন। তার প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন কিছু সিদ্ধান্তের জন্য তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল জোট দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এর এক বছর পর ২০০৯ সালে আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন নাজিব রাজাক। আবদুল্লাহর মৃত্যুতে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক শান্তিপ্রিয় অধ্যায়ের অবসান ঘটল। আরব নিউজ।

‘আত্মসমর্পণের’ শর্তে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
গাজায় সক্রিয় সকল সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আত্মসমর্পণ করার শর্তে দেয়া যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। একই সাথে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি গাজায় ১৮ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছে। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি আল-জাজিরা আরবিকে বলেন, ‘আমাদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সকল প্রস্তাবের জন্য হামাস প্রস্তুত।’ তবে সর্বশেষ খসড়া ইসরইলি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের ‘আত্মসমর্পণ’ করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। আবু জুহরি বলেন, ‘নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ভণ্ডুল করার জন্য অবাস্তব শর্তজুড়ে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ প্রস্তাবে দখলদার ইসরাইল পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয়নি, বরং কেবল তারা বন্দিদের গ্রহণ করতে চায়। গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ও উপত্যকা থেকে সরে যাওয়ার শর্তে আমরা জীবিত সব বন্দির মুক্তি ও মৃতদের লাশ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।’
তিনি আরো বলেন, ‘হামাস আন্দোলনের আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ নেই। আমরা জনগণের আকাক্সক্ষাকে নষ্ট করব না…হামাস আত্মসমর্পণ করবে না, সাদা পতাকা উত্তোলন করবে না। দখলদারদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার চাপ প্রয়োগ করে যাবে হামাস।’ সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির ইসরাইলের খসড়া প্রস্তাবে দেখা যায়, এ যুদ্ধবিরতি ৪৫ দিনের জন্য কার্যকর করা হবে। এর অংশ হিসেবে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সকল ইসরাইলিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ১২ দফার এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে বন্দি থাকা ইসরাইলিদের অর্ধেক সংখ্যাকে মুক্তি দিতে হবে। এর বিনিময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাবার ও পানীয় প্রবেশের সুযোগ দেবে ইসরাইল। উপত্যকাটিতে ৬ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য, জীবন রক্ষাকারী উপকরণ, ওষুধ, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল প্রবেশ করতে দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মদদপুষ্ট দখলদার ইসরাইল। আল-জাজিরা, রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমর্থন অব্যাহত থাকলে গাজায় ‘গণহত্যা বন্ধ হবে না’ : তুরস্ক

গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তাদের সমর্থন বন্ধ না করলে এ মানবিক সঙ্কটের অবসান সম্ভব নয়। রোববার আনাদলু এজেন্সিকে দেয়া এক বিবৃতিতে ফিদান বলেন, ‘মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কারণে এ গণহত্যা এখনো চলমান আছে। বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসনের সময় যে নীতিগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, তা এ পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে।’ তিনি জানান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পশ্চিমা সমর্থন থামানো ছাড়া তাতে বাস্তব ফল আসবে না। ট্রাম্পের সময়কার একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করে ফিদান বলেন, ‘জানুয়ারিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যে, বিরতি এসেছিল, তা ছিল ইতিবাচক পদক্ষেপ। আশা করি, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন আরো কিছু শান্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সব কূটনৈতিক মহল একটি ব্যাপারে একমত যে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনকে আরো স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে যে, এই যুদ্ধ চলতে থাকলে এর বড় ধরনের বৈশ্বিক পরিণতি আসতে পারে।’ হাকান ফিদান সতর্ক করেন, ‘এ যুদ্ধ কেবল তাৎক্ষণিক সঙ্কট নয়। বরং দীর্ঘমেয়াদে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ আল-জাজিরা।

মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর চীনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
তিব্বত সংক্রান্ত বিষয়ে ‘অশোভন আচরণ’-এর অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিব্বত-সংক্রান্ত বিষয়গুলোয় যেসব মার্কিন ব্যক্তি খারাপ আচরণ করেছেন, তাদের ওপর চীন ভিসা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে।’ তবে কোন কোন মার্কিন কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানায়নি বেইজিং। চীন দীর্ঘদিন ধরেই তিব্বতকে নিজের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আসছে এবং এ নিয়ে বিদেশি সমালোচনার তীব্র বিরোধিতা করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তিব্বতে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকে। চীনের এ পদক্ষেপকে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক কড়া মন্তব্য ও নীতির জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্য হিন্দু।

পূর্ণ শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালেবান প্রধানের
ইসলামিক আমিরাতের প্রধান শায়খ হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সম্প্রতি কান্দাহারে পাকতিয়ার গভর্নর ও অন্যান্য প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাৎকালে তিনি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শরিয়াহ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ইসলামী বিধান, বিশেষ করে ‘আমর বিল মারুফ (পুণ্যের প্রচার) ও নাহি আনিল মুনকার (পাপ প্রতিরোধ)’ আইন কার্যকর করার জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালান। ইসলামিক আমিরাতের উপ-মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সম্মানিত আমিরুল-মুমিনিন কর্মকর্তাদের ইসলামী ব্যবস্থা শক্তিশালী করার, শরিয়াহ বাস্তবায়ন করার, পুণ্যের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধের আইন প্রয়োগ করার এবং জনগণের সেবা করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ ইমারাতের শীর্ষনেতা জনগণের মধ্যে ঐক্য রক্ষা এবং বিভেদ প্রতিরোধের গুরুত্বের ওপরও আলোকপাত করেন।
ফিতরাত জানান, ‘আমিরুল-মুমিনিন জনগণকে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করার, জনসাধারণের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার এবং জাতিগত বিভেদ দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।’ এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল সাদিক হামিদজয় বলেন, ‘সরকার যদি জনগণের সমর্থন চায়, তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যাতে কেউ হতাশ বা বিচ্ছিন্ন বোধ না করে।’ এর আগে কান্দাহারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের সময়ও ইসলামিক আমিরাতের নেতা মতভেদ দূর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি ইসলামী ব্যবস্থা তখনই সফল হতে পারে, যখন সকল নাগরিকের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকে। তোলো নিউজ।

পশ্চিমবঙ্গে ওয়াক্ফ আইন বলবৎ হবে না : মমতা
ভারতের ওয়াক্ফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ করা হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ আইন রাজ্য সরকার সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। মমতা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তা বলবৎও হবে না। তা হলে হিংসা কেন? যারা এ হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে এমন খবর দেয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে।’ রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের কথাও উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি।’ এ সময়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিল করার দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামী সপ্তাহেই এ মামলাগুলো শুনবে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ওই রাজ্যের হাজার হাজার বিতর্কিত ওয়াক্ফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করার জন্য উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ভারতে সব চেয়ে বেশি ওয়াক্ফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশেই। ওই একই রাজ্যের মুজাফফরনগরে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হাতে কালো আর্মব্যান্ড পরে নতুন আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিন শতাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। মাথাপিছু ২ লাখ রুপি করে জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আনন্দবাজার।

আরএসএফের হামলায় পশ্চিম সুদানে ১১৪ জন নিহত
আফ্রিকার দেশ পশ্চিম সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় ১১৪ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশারে গত দুদিনে দুটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে চালানো হামলায় এ সকল প্রাণহানি হয়। গত শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। উত্তর দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির বার্তাসংস্থা সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরে আরএসএফ মিলিশিয়াদের নৃশংস হামলায় ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এতে আহতে হয়েছেন আরো অনেকে। তিনি আরো বলেন, শনিবার আবু শৌক বাস্তুচ্যুত শিবিরে মিলিশিয়াদের আরেকটি হামলায় আরো ১৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এতেও বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছেন। মিলিশিয়াদের হামলায় জমজম শিবিরে নিহতদের মধ্যে বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের ৯ কর্মী ছিলেন। তারা ক্যাম্পে একটি ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠী ইমার্জেন্সি রুম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আবু শৌক ক্যাম্পে আরএসএফের ভারী গোলাবর্ষণের ফলে গত ১২ এপ্রিল শনিবার ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। তবে হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি আরএসএফ। ২০২৪ সালের ১০ মে থেকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আরএসএফের মধ্যে এল ফাশারে ভয়াবহ লড়াই চলছে। জাতিসঙ্ঘের সঙ্কট পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্টের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সুদানের এসএএফ এবং আরএসএফ এক ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের সংঘাতের ফলে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইউএনবি।

হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটি। আসন্ন হজ মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদিতে পাড়ি জমানো লাখ লাখ হজযাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। সরকারের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, হজ পারমিট ছাড়া কোনো ব্যক্তি পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে পারবেন না। চলতি মাসের শেষের দিকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে কেবল সরকারি হজ ভিসাধারীদের মক্কায় প্রবেশ বা অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামিক ক্যালেন্ডারের ১৪৪৬ হিজরীর ২৫ শাওয়ালের সঙ্গে মিল রেখে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে সৌদিতে বসবাসরত প্রবাসীদের বৈধ হজ পারমিট ছাড়া পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।যাদের জাতীয় আইডিতে মক্কাকে বসবাসের স্থান হিসেবে উল্লেখ করা আছে, কেবল তারাই পবিত্র নগরীতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এছাড়া বৈধ হজ পারমিটধারী ব্যক্তি ও যারা পবিত্র স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সঙ্গে জড়িত তারাও মক্কায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এ পারমিটের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অ্যাবশের অথবা মুকিম পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে সৌদি আরবের নাগরিক, জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক, বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের জন্য নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওমরা পারমিট জারির কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওমরাহ পারমিট স্থগিতাদেশ আগামী ১০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, কোনো ব্যক্তি প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়া মক্কায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন। এএফপি।

ইরাকে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে হাজারো মানুষ অসুস্থ
ইরাকে ভয়াবহ ধূলিঝড় শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বালিঝড়ের পর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার শিকার হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি লোক। এছাড়া বালিঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ২ অঞ্চলে বিমানবন্দর বন্ধ করে ফ্লাইট চলাচলও স্থগিত রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরাকের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র এক বালিঝড়ের কারণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণাঞ্চলের মুথান্না প্রদেশের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, সেখানে অন্তত ৭০০ জন মানুষ শ্বাসকষ্টের শিকার হয়েছেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে- বিভিন্ন এলাকা ঘন কমলা রঙের ধূলোর চাদরে ঢেকে গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই বালিঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং কিছু অঞ্চলে বিমান চলাচলও স্থগিত রাখা হয়েছে।
ইরাকে বালুঝড় নতুন কোনো ঘটনা নয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব ঝড়ের ঘনত্ব ও তীব্রতা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা কর্মীরা ধুলোর হাত থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক পরে চলাফেরা করেন এবং যাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছিল, তাদের পাশে দাঁড়ান মেডিকেল কর্মীরা। মুথান্না প্রদেশে ৭০০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের নাজাফে ২৫০ জনের বেশি এবং দিবানিয়া প্রদেশে অন্তত ৩২২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। এছাড়া ধি কার ও বসরা প্রদেশেও ৫৩০ জন মানুষ শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিয়েছেন। বিবিসি বলছে, বালুঝড়ের কারণে ইরাকের পুরো দক্ষিণাঞ্চল আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে কমলা ধুলোর মেঘে, দৃশ্যমানতা কমে যায় এক কিলোমিটারেরও নিচে। পরিস্থিতির কারণে নাজাফ ও বসরার বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির মুখে থাকা পাঁচটি দেশের মধ্যে ইরাক অন্যতম। দেশটি নিয়মিতভাবেই তীব্র বালুঝড়, তাপপ্রবাহ ও পানির সংকটের সম্মুখীন হয়। ইরাকের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলছে, ভবিষ্যতে দেশটিতে আরও বেশি সংখ্যায় “ধূলিময় দিন” দেখা যেতে পারে। বিবিসি।

উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় জোর করে হিজাব খুলে মুসলিম নারীকে হেনস্তা

উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে এক নারীর জোর করে হিজাব খুলে দেওয়া হয়েছে এবং তার সঙ্গে থাকা হিন্দু পুরুষ সঙ্গীকেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ এপ্রিল সোমবার ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুরুষ জোর করে নারীর হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ, হয়রানি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। মুজাফফরনগরের খালাপার এলাকার একটি গলিতে এ ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সি নারী ফারহিন এবং শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। খালাপারের বাসিন্দা এবং উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মচারী ফারহিন, তার মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথে, ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাদের ঘিরে ধরে। এরপরই ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছিত এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।
পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে আম আদমির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দুজনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেন, ‘১২ এপ্রিল আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে, ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ এবং খালাপারের একজন মুসলিম নারী উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত, ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করেন। সিও রাজু কুমার সাও বলেন, ‘ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তারপরই গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ সিয়াসত ডেইলি।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নাইজেরিয়ায় ৫২ জন নিহত
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ফের রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মালভূমি রাজ্যের বাসসা এলাকায় চালানো বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। ধর্মীয় বিভাজন এবং জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরে বার বার সহিংসতায় আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকা, যার সর্বশেষ উদাহরণ এ ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। স্থানীয় সময় গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে মালভূমি রাজ্যের বাসসা এলাকার জিকে ও কিমাকপা গ্রামে চালানো হয় এ সংঘবদ্ধ হামলা। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম ফুলানি পশুপালক এবং খ্রিষ্টান কৃষকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ প্রায়ই প্রাণঘাতী সহিংসতায় রূপ নেয়, বিশেষ করে সেইসব গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি দুর্বল। এ হামলা সেই ধারাবাহিকতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। একই রাজ্যে এর আগে বোক্কোস এলাকায় চালানো আরেক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ৫২ জন। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
হামলার পর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং ৩০টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তাদের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫৪ এবং হামলার কারণে শত শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একজন বাসিন্দা ডোরকাস জন বলেন, ‘ওরা হঠাৎ এসে চারদিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে, কেউ পালানোর সুযোগ পায়নি।’ এ বর্বরতার ঘটনা শুধু মালভূমি রাজ্যেরই নয়, বরং গোটা নাইজেরিয়ার জন্যই এক অশনি সঙ্কেত। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের এখন প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এমন সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো কঠিন হবে। শান্তি, সহনশীলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু তদন্ত নয়, দরকার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খোঁজা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি দায়িত্ব। এএফপি।

ধ্বংসস্তূপের বাস্তবতা দেখাতে ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জেলেনস্কির
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় বছর চলছে এবং প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে প্রাণহানি, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানবিক সংকট। ঠিক এ সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরেজমিন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার মতে, যুদ্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা আলোচনায় বসার আগে ইউক্রেনের বাস্তবতা চোখে দেখা দরকার। গত রোববার (১৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনি আসুন, আমাদের জনগণকে, বেসামরিক নাগরিকদের, যোদ্ধাদের, হাসপাতাল, গির্জা, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল বা নিহত শিশুদের দেখে যান। এরপর আপনি বুঝবেন, ভøাদিমির পুতিন আসলে কী করেছেন এবং কাদের সঙ্গে আপনি আলোচনায় বসতে চাইছেন।’ এই আহ্বান শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা সরাসরি উপলব্ধির এক আহ্বান হিসেবেই এসেছে।
এ মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক উত্তপ্ত বৈঠক, যেখানে জেলেনস্কি, ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মুখোমুখি হন। সেখানে ভ্যান্স অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেন যেন বিদেশি নেতাদের ‘প্রচারণামূলক সফরের মঞ্চ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অভিযোগের জবাবে জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দেন, ট্রাম্প ইউক্রেন সফরে গেলে কোনো নাটক বা বিশেষ আয়োজন হবে না। তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে যেকোনো আক্রান্ত শহরে যেতে পারবেন নাটক নয়, বাস্তবতা দেখুন।’
নিজ শহর ক্রিভি রিহ থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিনের প্রতি আমার ঘৃণা শতভাগ। কেউ যদি আমাদের শিশুদের হত্যা করে, আপনি কীভাবে ভিন্ন কিছু ভাববেন?’ তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, এ ঘৃণাবোধ কখনোই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টাকে বাধা দিতে পারে না। তার মতে, ন্যায্য শান্তির মানে হলো সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং রাশিয়ার দখলে থাকা সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা যা হারাইনি, রাশিয়ানরাই তা ছিনিয়ে নিয়েছে, আমরা আমাদের সব কিছু পুনরুদ্ধার করবই।’ এ আবেগঘন বার্তা কেবল ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির নয়, বরং একটি নিপীড়িত জাতির সম্মিলিত কণ্ঠ। যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতা দেখে তবেই হোক যে কোনো আলোচনার সূচনা এ আহ্বান এখন কেবল ট্রাম্প নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকের প্রতি। বিবিসি।

হোদেইদা পুনর্দখলের প্রস্তুতি ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জানানো হয়েছে, প্রায় ৮০ হাজার সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে হুথি নিয়ন্ত্রিত এ বন্দর শহরে আক্রমণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবে অবস্থিত গালফ রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. আবদুল আজিজ সাগের বলেন, আমার ধারণা অনুযায়ী, ইয়েমেনি সরকার হোদেইদা দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৮০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করছে। এ বিপুলসংখ্যক সৈন্য ইয়েমেনে হুথিবিরোধী সব সেনাবাহিনীর বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি হবে গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। একইসঙ্গে এটি হুথিদের দখলে থাকা রাজধানী সানা’য় ভবিষ্যৎ আক্রমণের মঞ্চ তৈরি করবে। ‘দ্য ন্যাশনাল’ নামের আমিরাতি পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, হুদেইদাসহ বিভিন্ন হুথি লক্ষ্যবস্তুতে সম্প্রতি চালানো বিমান হামলা আসন্ন অভিযানকে সহজ করার ভূমিকা রাখছে। এসব হামলায় হুতিদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার নিহত হওয়ার খবরও প্রকাশ পেয়েছে। হোদেইদা বন্দরটি ইয়েমেনের অন্যতম প্রধান বন্দর এবং যুদ্ধ শুরুর আগে খাদ্য আমদানির প্রধান উৎস ছিল। সাগের জানান, সম্প্রতি সৌদি আরবে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সগীর হামুদ আহমেদ আজিজ। এ বৈঠক ও কুরিলার মধ্যপ্রাচ্য সফরকে তিনি আসন্ন অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসেবে উল্লেখ করেন। রয়টার্স।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নাইজেরিয়ায় ৫২ জন নিহত
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ফের রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মালভূমি রাজ্যের বাসসা এলাকায় চালানো বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। ধর্মীয় বিভাজন এবং জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরে বার বার সহিংসতায় আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকা, যার সর্বশেষ উদাহরণ এ ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। স্থানীয় সময় গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে মালভূমি রাজ্যের বাসসা এলাকার জিকে ও কিমাকপা গ্রামে চালানো হয় এ সংঘবদ্ধ হামলা। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম ফুলানি পশুপালক এবং খ্রিষ্টান কৃষকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ প্রায়ই প্রাণঘাতী সহিংসতায় রূপ নেয়, বিশেষ করে সেইসব গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি দুর্বল। এ হামলা সেই ধারাবাহিকতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। একই রাজ্যে এর আগে বোক্কোস এলাকায় চালানো আরেক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ৫২ জন। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হামলার পর রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং ৩০টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তাদের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫৪ এবং হামলার কারণে শত শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একজন বাসিন্দা ডোরকাস জন বলেন, ‘ওরা হঠাৎ এসে চারদিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে, কেউ পালানোর সুযোগ পায়নি।’ এ বর্বরতার ঘটনা শুধু মালভূমি রাজ্যেরই নয়, বরং গোটা নাইজেরিয়ার জন্যই এক অশনি সঙ্কেত। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের এখন প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এমন সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো কঠিন হবে। শান্তি, সহনশীলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু তদন্ত নয়, দরকার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খোঁজা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি দায়িত্ব। এএফপি।

ধ্বংসস্তূপের বাস্তবতা দেখাতে ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জেলেনস্কির
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় বছর চলছে এবং প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে প্রাণহানি, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানবিক সংকট। ঠিক এ সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরেজমিন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার মতে, যুদ্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা আলোচনায় বসার আগে ইউক্রেনের বাস্তবতা চোখে দেখা দরকার। গত রোববার (১৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনি আসুন, আমাদের জনগণকে, বেসামরিক নাগরিকদের, যোদ্ধাদের, হাসপাতাল, গির্জা, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল বা নিহত শিশুদের দেখে যান। এরপর আপনি বুঝবেন, ভ্লাদিমির পুতিন আসলে কী করেছেন এবং কাদের সঙ্গে আপনি আলোচনায় বসতে চাইছেন।’ এই আহ্বান শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা সরাসরি উপলব্ধির এক আহ্বান হিসেবেই এসেছে। বিবিসি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান