সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ


২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৫

জেরুসালেম ছাড়া কোথাও ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর করা যাবে না : হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, জেরুসালেম ছাড়া ফিলিস্তিনিদের আর কোথাও স্থানান্তর করা যাবে না। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটি শনিবারে তিন পণবন্দির মুক্তি সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পণবন্দিদের হস্তান্তর স্থানে জেরুসালেম এবং আল-আকসা মসজিদের ছবি এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিশাল উপস্থিতির মাধ্যমে তারা ইসরাইল ও তার সমর্থকদের কাছে বার্তা দিয়েছে যে এটি একটি রেড লাইন।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা সমগ্র বিশ্বকে বলছি, জেরুসালেম ছাড়া আর কোথাও ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর করা যাবে না। ট্রাম্প এবং যারা তার মতোই উপনিবেশবাদ ও দখলদারত্ব সমর্থন করে তাদের ফিলিস্তিনিদের স্থানচ্যুতির আহ্বানের প্রতি এটি আমাদের প্রতিক্রিয়া।’ হামাস আরো বলেছে, ‘ষষ্ঠ পর্যায়ে পণবন্দিদের মুক্তি এটাই নিশ্চিত করে যে, আলোচনার মাধ্যমে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রয়োজনীয়তা মেনে চলা ছাড়া তাদের মুক্তির আর কোনো উপায় নেই।’ দলটি বলেছে, বিশ্ববাসী পণবন্দিদের হস্তান্তরে ‘প্রতিরোধের সাফল্য’ দেখেছে। এটি ফিলিস্তিনি সংহতির প্রতিফলন। আল-জাজিরা।
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা মার্কিন সিনেটরদের প্রত্যাখ্যান
মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেছেন যে, তিনি আশা করেন, আরব রাষ্ট্রগুলো একটি কার্যকর বিকল্প উপস্থাপন করবে। তেলআবিবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সাক্ষাৎ করা দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটরদের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন এ আইনপ্রণেতারা। রোববার নেতানিয়াহু গাজার জন্য ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা এমন পরিকল্পনা করেন, যার মাধ্যমে গাজার ফিলিস্তিনিরা স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও কংগ্রেসের পররাষ্ট্রনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতা গ্রাহাম সাংবাদিকদের বলেন, যে-কোনো উপায়ে আমেরিকা গাজা দখল করবেÑসিনেটের এমন আগ্রহ নেই। আর ব্লুমেনথাল ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ‘অসম্ভব’ বলে সরাসরি খারিজ করেছেন। ট্রাম্পের এ প্রস্তাবকে আরব কর্মকর্তারা ব্যাপকভাবে নিন্দা করেছেন। অনেক সমালোচক একে ‘জাতিগত নিধন’ বলেও বর্ণনা করেছেন। ব্লুমেন্থাল বলেছেন, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ তাকে বোঝাতে পেরেছেন যে, আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। ‘যদি এ উপাদানগুলো একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অংশ হয়, তবে এটি এ অঞ্চলের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে, তিনি বলেন’। রয়টার্স।

ইরানি তরুণী বর্ষসেরা গবেষক
‘ব্রিকস অ্যান্ড এসসিও ইয়ং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’-এ ইরানি নারী হোসনা সালিমি বর্ষসেরা তরুণ গবেষকের খেতাব জিতেছেন। এএমএফের ষষ্ঠ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থী হোসনা সালিমি ফোরাম কর্তৃক প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হন। বৈজ্ঞানিক ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি এ পুরস্কার লাভ করেছেন। ২৬ জানুয়ারি রাশিয়ার কাজান শহরে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারত, ইরান, চীন, মিশর, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, সোশ্যাল এন্টারপ্রেনার, পাবলিক ডিপ্লোমেসি, ইয়াং রিসার্চার এবং ইকো-ইনিশিয়েটিভসসহ বিভিন্ন বিভাগে স্বীকৃতি পান। মেহর নিউজ।

‘ধর্ম বিক্রি করে খাচ্ছেন’, বিজেপিকে মমতা
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় দেয়া ভাষণে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায়, বিজেপি বিধায়করা একটি ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছেন। রাজ্যের শাসকদলকে তা করতে হয় না। তারা সব ধর্মকে নিয়ে চলতে পারে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে যখন বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী ঠিক সেই সময় বিধানসভার সিঁড়িতে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন ‘সাসপেন্ড’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তার তোপ, ‘সরস্বতীর অপমানের প্রতিবাদ করায় সাসপেন্ড হতে হয়েছে।’ সব মিলিয়ে এদিন এক বেনজির সংঘাতের সাক্ষী রইল বাংলার বিধানসভা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কাগজ ছুড়ে একমাসের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দুসহ ৪ বিজেপি বিধায়ক। এরপর রাজ্য সরকারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন এবং সাসপেনশনের কারণ নিয়ে মিথ্যাচার করায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিসও দেয়া হয়েছে।
এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ বয়কট করে বিজেপি। সিঁড়িতে ধর্মঘটে বসেন তারা। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘তারা আমাকে ফেস করতে পারে না। তাই আমি যখন বলতে আসি তারা চলে যায়।’ শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকার আদপে মুসলিমের সরকার। হিন্দু ধর্মের হয়ে বলতে গিয়ে তাকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ উড়িয়ে পালটা তোপ দাগেন মমতা। বলেন, ‘একটা ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছেন। আমি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। ধর্ম বেচে খাই না।’ মমতার চ্যালেঞ্জ, ‘আমায় মুসলিম লীগ বলছেন? আপনারা তো নির্বাচনের সময় সাহায্য নেন মুসলিম লীগের। বেলুন ফাঁস করব? ধর্ম বিক্রি করে খাচ্ছেন, মানুষ নজর রাখছে।’ আনন্দবাজার।

শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম নিযুক্ত
সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি। পাশাপাশি শেখ ইব্রাহিম আল-আকবারকে এ মসজিদের কুরআন তিলাওয়াত প্রোগ্রামের সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীর রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের বরাতে দুই পবিত্র মসজিদবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি সৌদি আরবের নাগরিক এবং তার সুমধুর কুরআন তিলাওয়াতের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এছাড়া তিনি মদিনায় কুরআন ছাপানোর দায়িত্বে থাকা কমিটির অন্যতম সদস্যও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মসজিদে নববীর খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- এর সময়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ, মসজিদে কুবায়ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ আব্দুল রহমান ১৯৪৭ সালের ২২ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর শেখ মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-হুদাইফির তত্ত্বাবধানে কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি মিশরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ইসলামিক আইনশাস্ত্র ও তাওহীদ বিষয়ে সুগভীর জ্ঞানসম্পন্ন শেখ হুদাইফি মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবেও কাজ করেছেন। তার নিযুক্তি মসজিদে নববীর ধর্মীয় কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইনসাইড দ্য হারামাইন।

জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে রাজি পুতিন
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতে অবশেষে সমঝোতার সুর শোনা গেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের গলায়। জানালেন, ‘প্রয়োজন হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসব।’ এ নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে ‘প্রয়োজনে’ কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। যে-কোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসলে জেলেনস্কি আদৌ কী চাই, তা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যদিকে একই দিনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে রিয়াদে শুরু হয়েছে বৈঠক। আমেরিকান-রুশ সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের বিষয়ে আলোচনার কথাও রয়েছে এ বৈঠকে। বৈঠকে একদিকে যেমন যুদ্ধ বন্ধের আশা করছেন বিশ্লেষকরা, তেমনই এ বৈঠকে ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। ট্রাম্প বরাবরই যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা জরুরি বলে মতামত দিয়ে আসছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘ইউক্রেন একটি চুক্তি করতে চায় রাশিয়ার সঙ্গে। অবিলম্বে এ পাগলামি বন্ধ করা দরকার। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু করা উচিত। এ যুদ্ধে ইউক্রেইন প্রায় চার লক্ষ সেনা হারিয়েছে।’ তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘আমি পুতিনকে ভালোভাবে চিনি। এটাই তার সক্রিয় হওয়ার সময়। গোটা বিশ্ব অপেক্ষায় আছে!’ এপি।

যা দেশের স্বার্থ রক্ষা করে, তা অবৈধ হতে পারে না : ট্রাম্প
যা দেশের স্বার্থ রক্ষা করে, তা অবৈধ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী ক্ষমতাবলে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এতে তিনি বিভিন্ন আইনি জটিলতার মুখে পড়েন। এদিকে ইঙ্গিত করে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফরাসি সেনানায়ক ও রাজনীতিবিদ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের উক্তিÑ যা দেশকে রক্ষা করে, তা অবৈধ হতে পারে না উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘যে দেশকে সুরক্ষা দান করে, সে আইন ভঙ্গ করতে পারে না।’ এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগ করা হলে এর বেশি কিছু জানায়নি। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এসব মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। রয়টার্স।

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হলে তিনি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্টারমার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফে লিখেছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কিয়েভকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রয়োজনে আমাদের নিজস্ব সৈন্য মোতায়েন করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন,‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো ভূমিকা আমাদের মহাদেশের ও এদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রচেষ্টা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ মোকাবিলা করার বিষয়ে স্টারমার সোমবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ-স্তরের বৈঠকে যোগ দেন। তিনি জানান, ‘আগামী দিনগুলোয়’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তিনি দেখা করবেন। এছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য একটি অনন্য ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি। স্টারমার বলেন, ‘মার্কিন সমর্থন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী শান্তির জন্য মার্কিন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অপরিহার্যও। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই (প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির) পুতিনকে আবার আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখতে পারে।’ ডেইলি টেলিগ্রাফ।

যুক্তরাষ্ট্রে শিখদের পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলার অভিযোগ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রীগুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করে একটি মার্কিন সামরিক বিমান। এ সময় অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো ছিল। ফেরত আসা ১১২ অভিবাসীর মধ্যে একজন জতিন্দর সিং। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে আটক থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং পর্যাপ্ত খাবার পাননি। তার পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন। ২৩ বছর বয়সী জতিন্দর জানান, অমৃতসরে কর্মসংস্থানের অভাব। তাই বিদেশে স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপরাধে তাকে আটক করা হয়। এরপর দুই সপ্তাহ একটি আটককেন্দ্রে রাখা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, আটককেন্দ্রে থাকার সময় জোর করে তার পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ আমি বাড়ি থেকে বের হই। এরপর নভেম্বরের ২৭ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাই। কিন্তু পৌঁছেই আটক হই। আটকের পর তারা আমাকে পাগড়ি খুলতে বাধ্য করে। যদিও আমি আপত্তি করেছিলাম; কিন্তু তারা আমার কোনো কথা শোনেনি।’ জতিন্দর আরও বলেন, ‘আটককেন্দ্রে থাকার সময় খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। খাবার হিসেবে শুধু লেস চিপস ও ফ্রুটি জুস দেওয়া হতো।’ জতিন্দর সিং অভিযোগ করেন, ফেরত পাঠানোর সময় সামরিক বিমানে টানা ৩৬ ঘণ্টা হাতকড়া ও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শিখধর্মীয় সংগঠন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী মার্কিন কর্তৃপক্ষের এ আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবকদের পাগড়ি খুলে নেওয়া হয়েছে, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’ ইন্ডিয়া টুডে।

মার্কিন-ইসরাইল হুমকি উপেক্ষা করে পরমাণু কর্মসূচি চালাবে ইরান
ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি চলমান রাখার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করেছে এটি এমন একটি সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। ইরান দাবি করছে, তার পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক আইন মেনে বৈধ এবং এটি কখনোই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে; বিশেষ করে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
ইরান-ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে, যখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। নেতানিয়াহু জানান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল একসঙ্গে কাজ করবে ইরানের পরমাণু হুমকি মোকাবিলার জন্য। তিনি দাবি করেন, ইসরাইল গত ১৬ মাসে ইরানের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরানকে কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে দেওয়া হবে না এবং ইসরাইল এর বিরুদ্ধে প্রস্তুত। এ অবস্থায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘ইরানকে হুমকি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ এবং ‘এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।’ বাঘাই আরও দাবি করেন, ইরান গত তিন দশক ধরে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এবং এটি কখনো থামবে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলকে প্রশ্ন করেন, ‘একদিকে ইরানকে হুমকি দেবেন; আরেকদিকে সংলাপের কথা বলবেন, এটা কেমন নীতি?’ দ্য টাইমস অব ইসরাইল।

মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার
অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতার হলেন মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগুনাথ। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেলেন প্রভিন্দ জগুনাথ। আর গত বছরের নভেম্বরে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপরে মরিশাসের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হন নবীন রামগুলাম। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত কমিশনের মুখপাত্র একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, অর্থ পাচার মামলায় মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগুনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের আগে প্রভিন্দ জগুনাথের বাসভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন ঋঈঈ-র পুলিশ কর্মকর্তারা। এবং তল্লাশি অভিযানে তার বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ১১ কোটি ৪০ লাখ মরিশাস রুপি বা ২৪ লাখ ডলার জব্দ করেছেন গোয়েন্দা বিভাগ। এরপরেই মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
বর্তমানে মরিশাসের মধ্যাঞ্চলের মোকা ডিস্ট্রিক্টের মোকা ডিটেনশন সেন্টারে তাকে রাখা হয়েছে। গত শনিবার ৬৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার স্ত্রী কবিতা জগুনাথকে আটক করে কয়েক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ঋঈঈ-এর পুলিশ বিভাগ। এরপরই পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে ছেড়ে দেয় এবং রোববার ভোরে প্রভিন্দ জুগনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী রৌফ গুলবুল জানিয়েছেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার মক্কেল। এর আগে মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারির বিষয়ে মরিশাসের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম জানিয়েছিলেন, প্রভিন্দ জগুনাথের শাসনকালে কিছু সরকারি খরচের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তদন্তে একাধিক প্রমাণের ভিত্তিতে গত মাসে মরিশাসের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নরকে আটক করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেও ছিল জালিয়াতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এ ঘটনার এক মাস পরে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলো। এএফপি।

মোদির ব্যর্থ আমেরিকা সফর ও ইন্ডিয়ান মিডিয়ার তিরস্কার!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার আমেরিকায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকা সফর করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে নানা বিষয় উঠে এলেও ফলপ্রসূ কোনো চুক্তি করতে পারেননি মোদি। এতেই চটেছে ইন্ডিয়ান প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো। মোদির এমন ব্যর্থতার কারণে দেশটির একটি গণমাধ্যম সম্প্রতি তার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছেন। আর তাতেই চটেছে বিজেপি সমর্থকরা। বিভিন্নভাবে সেই মিডিয়াকে দেওয়া হচ্ছে নানা হুমকি-ধমকি। এমনকি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে তাদের সকল কার্যক্রম। আর তাতেই চটেছে দেশটির মিডিয়াপাড়া। বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই মিডিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছে দেশের সকল মিডিয়া। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভিডিও। যেখানে মোদির হাতে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। এতে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় মোদিকে। তার চেহারার এক্সপ্রেশন এমনটাই বলে দেয়। অন্যদিকে ট্রাম্প যেন অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পকে মোদির সামনে প্রশ্ন করে ভারতের এক সাংবাদিক। ঐ সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প পুরো বিষয়টির জন্য মোদিকে জিজ্ঞেস করতে বলেন, যা একপ্রকার চপেটাঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। এছাড়া মোদি অবস্থানকালীন সময়েও থেমে থাকেনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ভারতীয় নাগরিকদের ধরপাকড়। এতে একেবারেই নাখোশ দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেবল এটিই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্যারিফ বাড়ানোর কথা বলেন। এছাড়া দেশটি থেকে অনেক বেশি দামে তেল এবং সমরাস্ত্র কিনতে মোদিকে এক প্রকার বাধ্যই করে ফেলেছেন। তাই অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, এত টাকা খরচ করে কেন তবে আমেরিকা থেকে এসব জিনিস কিনতে হবে। এছাড়া বহুল আকাক্সিক্ষত এ সফরে উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি মোদি। তাইতো দেশটির মিডিয়াগুলো তার এমন ব্যর্থতাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এমন কাণ্ডে বিরোধীদলসহ বিভিন্ন মহলে হচ্ছেন সমালোচিত। সিয়াসত ডেইলি।

 

ইসরাইলের গণহত্যায় সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব : মাহাথির
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে গাজা সংকটে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি সভ্য মানুষের আচরণ নয়, বরং বর্বরদের আচরণ এবং এসব দেশের নীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’ ৯৯ বছর বয়সী এ প্রবীণ রাজনীতিবিদ তার দেশবাসীকে ‘সভ্যতার’ ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, আমেরিকা মহান হতে চায়, কিন্তু ইসরাইলের গণহত্যায় সাহায্য এবং উৎসাহিত করছে এবং দেশগুলোর এ ধরনের আচরণকে বর্বরদের আচরণ হিসেবে অভিহিত করেন। তার এ বক্তব্য ইসরাইলি বাহিনীর গাজার ওপর আক্রমণের সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতি ছিল। মাহাথির আরও বলেন, যারা মানবাধিকার, জীবনধারণের অধিকার এবং নির্মমতার বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা ইসরাইলের গণহত্যাকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সমর্থন করছে। তিনি দাবি করেন যে, হাজার হাজার মানুষ খুন হচ্ছে, মারা যাচ্ছে এবং তাদের পানি বা ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ চলছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মাহাথির মনে করেন সভ্যতা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এও বলেন, যে দেশগুলো নিজেদের সভ্য দাবি করছে, তারা যদি এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ্য করে, তবে তারা আসলেই সভ্য নয়। তার মতে, এমন পরিস্থিতি সারা বিশ্বের কাছে একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন সৃষ্টি করেছে। আনাদলু এজেন্সি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান