সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকালে শোক


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৭

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রউফের ইন্তেকালে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান ও সেক্রেটারি ইবরাহীম বাহারী। শোক বিবৃতিতে তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের ধৈর্যধারণের তাওফিক কামনা করে বলেন, মোহাম্মদ আবদুর রউফ ছিলেন দেশ, মানবতার নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মগবাজারে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। আবদুর রউফ দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সাল ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি আবদুর রউফের ছেলে মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল। বিচারপতি রউফের মৃত্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাইমারি ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি পেয়ে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, আনন্দমোহন কলেজ থেকে আইএসসি ও বিএসসি ডিগ্রি; সরকারি বৃত্তি নিয়ে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ও এমএ ইন এডুকেশন ডিগ্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। আবদুর রউফ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে তদানীন্তন ঢাকা হাইকোর্টে আইন-ব্যবসায় নিয়োজিত হন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২৯ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি পদে থাকাকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেন, তিনি বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ও বিচারপতি এ কে এম সাদেক তার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন ও জুন ১৯৯৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ হামদর্দ (ওয়াক্ফ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত কয়েকটি দেশেও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।