আমান আযমীকে হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন : শেখ হাসিনা
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০০
সোনার বাংলা ডেস্ক : ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু কিছু গুম এবং হত্যা করার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতে পলাতক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকেও হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
শেখ হাসিনাই আমান আযমীকে সরাসরি গুম-খুনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ বিষয়ে জানেন এমন কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন ভয়ঙ্কর এ তথ্য। গত ২৭ জানুয়ারি সোমবার এইচআরডব্লিউ প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভ্যুলুশন-এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক সেনা কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘরে আযমীর বন্দি থাকা ও তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে শেখ হাসিনা সরাসরি অবগত ছিলেন। তিনি (আযমী) ফেলো মিলিটারি অফিসার হওয়ায় তার মুক্তির বিষয়ে বার বার শেখ হাসিনার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি একপর্যায়ে তিনি (শেখ হাসিনা) আযমীকে হত্যার পরামর্শ দেন। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘আমি সেটা করতে পারিনি। তবে এরপর আমি তার মুক্তির বিষয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিই।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের নির্যাতন বা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিশদ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মাইকেল চাকমা, মীর আহমদ বিন কাসেম (আরমান) ও আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনজনের ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ তাদের হেফাজতে থাকা এসব ব্যক্তির বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে তুলে নেওয়া হয়। রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ৭ আগস্ট বাড়ি ফিরে আসেন আযমী।