মাছ-গোশত ও চালের দাম বেড়েছে, কমেছে ডিম ও সবজির


২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪০

স্টাফ রিপোর্টার : সবজির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও মাছ-গোশতের দাম এখনো নাগালের বাইরে। দুই কেজির বেশি ওজনের রুই মাছের কেজি সাড়ে চারশ’ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের চিংড়ি মাছের কেজি ৭৫০ থেকে শুরু করে ৯০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি, গরু ও ছাগলের গোশতের দাম কমেনি। অন্যদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির পর তা আর কমেনি। এছাড়া মানুষের জীবনযাপনে নিয়মিত ব্যয় কিন্তু কমছে না, বরং বাড়ছেই।
সম্প্রতি প্রায় সব ধরনের সবজি ও কাঁচামরিচের দামে ক্রেতারা খুবই সন্তুষ্ট। মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫, পেঁয়াজপাতা ১০, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারে এখন এ সবজির মূল্য ২৫ টাকা কেজি। করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৩০, কাঁচকলা হালি ২০, মুলা ১৫, কচুরলতি ৫০, বরবটি ৫০, পুলতা ৪০ ও শসা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু ২৫ টাকা হালি ও লাউ ৪০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় আলু ২৫ টাকা ও দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চালের দামও বাড়ছে। মোটা চাল ৫৫ টাকা ও সরু চাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। গত এক মাসে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি বুটের ডাল ১২২ টাকা, দেশি মসুর ১২৫, মোটা মসুর ১০৮, মুগডাল ১৬৫, ভাঙা মাসকলাই ৮৫, মাসকলাই ১৩০, ছোলা বুট ১১৫, খেসাড়ি ১১৮, চিনি ১২০, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট ৫০, মটর ৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০, দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ ও ভারতীয় আদা ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত অবস্থায় বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৪ ও পাম ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা ও দেশি মুরগির দাম কমেছে ৩০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত অবস্থায় সোনালি ৩২০ টাকা, লাল কক ৩২০ টাকা, সাদা কক ৩০০ ও লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বেড়েছে গরু ও ছাগলের গোশতের। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৭৫০ টাকা ও খাসির গোশত এক হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা, কোয়েল পাখির ডিম ১৫ টাকা ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। তেলাপিয়া কিংবা পাঙাশ, কার্ফু কিংবা ব্রিগেড, মাছের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি বড় রুই ৪৫০-৬০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, ছোট পাঙাশ ১৯০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৬০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি ৩০০ টাকা, মলা ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দোকান ও মানভেদে এসব মাছের দাম ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।