জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৮
সোনার বাংলা প্রতিবেদন: এতদিন ‘যৌক্তিক সময়ের’ মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি করে আসছিল বিএনপি। এখন সে জায়গা থেকে সরে এসে দলটি আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলল। রাজনীতি-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন সময় উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্বাচনী চাপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে তাদের এ দাবির সঙ্গে একমত নয় জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ মূলধারার অধিকাংশ প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল।
গত ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণে আমরা সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি।’
মূলধারার অন্য রাজনৈতিক দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তারা মনে করে, কাক্সিক্ষত সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে আত্মঘাতী। এর মধ্য দিয়ে আগের ফ্যাসিবাদী শাসন ফেরার পথ সুগম করবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। কিন্তু সেটা হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন। বিএনপির নেতারা বলছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে, তাই সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
শুধু মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, প্রভাবশালী রাজনীতি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন ভারতীয় বয়ান এবং পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রির মুখে এ বয়ানের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত্ব হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দেয়ার সময়।