সাহিত্যে নৈতিকতা


২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০০

॥ মনসুর আহমদ ॥
এভাবে ভারতীয় কাব্যতত্ত্বে নৈতিকতা গুণের অবেশ লক্ষ করা যায় না। অবার পশ্চিমা সাহিত্যসেবীদের অনেকে কলা কৈবল্যবাদের দোহাই পেড়ে সাহিত্যে আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার বিচরণ দেখতে রাজি নন। কিন্তু যেহেতু মানুষের জীবনে সাহিত্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাই ‘শিল্প দর্শন ধর্ম প্রভৃতি সমস্তই অধুনা ক্রমশ মিলিবার পথে চলিয়াছে এবং এ সকল ভিন্ন ভিন্ন সাধনার সমন্বয় করাই যে পরিপূর্ণ জীবনের আদর্শ হইয়া উঠিতেছে, ইউরোপীয় কোন ভাবুকের লেখায় আজকাল এমনতর আভাস পাওয়া যায়। তাহার কারণ এই যে, খুব সম্প্রতি ইউরোপীয় মন বুঝিতে আরম্ভ করিয়াছে যে বৈচিত্রকে সাজালেই তাহাকে মেলানো হয় না-তাহাতে বৈচিত্রের ভেদচিহ্নগুলো সমানই থাকিয়া যায়।’ একমাত্র আধ্যাত্মিকর অখণ্ড বোধের মধ্যেই সব ভেদের বিলোপ এবং সব বৈচিত্র্যের মিলন ঘটিতে পারে।… আর্টের জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি যদি আধ্যাত্মিক জীবনে না হয়, তবে মাঝ খানের অভিব্যক্তিটাই আমরা দেখতে পাই খুব জাঁকালো রকম-তখন এমন একটা নদীর দীর্ঘ বিচিত্র ধারা অমরা দেখি যাহার কোন শান্তি-সমুদ্রের মধ্যে অবসান ঘটে নাই, হঠাৎ এক যায়গায় যাহার ধারা বালু মরুর মধ্যে শোষিত হইয়া গিয়াছে।
সুতরাং আর্টের ভেতর হতেই মানবজীবনের পরিপূর্ণতার আদর্শ দেখিতে পাইলেও এ ভুল যেন না করি যে ইহাই পর্যাপ্ত- ধর্মের আর কোন প্রয়োজন নাই, সে ‘ডগমা’ অথবা শুষ্ক মত মাত্র। ইহা মনে রাখিতে হইবে যে, অনুভূতি এবং প্রকাশ এক জিনিস এবং জীবন অন্য জিনিস। আর্টের প্রকাশও এক জায়গায় থামিয়া নাই- জীবনের গভীরতার সঙ্গে সঙ্গে সেও বিচিত্র হইয়াই চলে। আর্টের স্বাভাবিক পরিণাম আধ্যাত্মিকতায় ছাড়া হইতে পারে না- নদীর যেমন স্বাভাবিক অবসান সমুদ্রে।’(৫)
কাব্যে নৈতিকতার জোর দিয়ে শেলী বলেছেন, ‘কোনো প্রকার নির্দিষ্ট নৈতিকতার সুপারিশ না করলেও কবিতার একটি নৈতিক প্রভাব আছে; কারণ নৈতিকতা হচ্ছে শুধু মানস জীবনের উন্নততম এবং সুন্দরতম রূপ এবং মনের প্রাণ শক্তি নিহিত এর কল্পনা শক্তির মধ্যে। কাব্য এ কল্পনা শক্তিরই পরিপোষণ করে। কাব্যে অমরা সেই পৃথিবীতে বাস করি যেখান থেকে বস্তুর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের ধারণা এবং কর্মের নৈতিকতা উদ্ভূত হয়।’
কাব্য ব্যক্তিগত হওয়া না চাই, যখন কাব্য হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত তখন তা সমাজ মানসে প্রচুর অনুভূতি প্রকাশে ব্যর্থ হয়। কিন্তু কাব্যে, কবিতায় কবি তার নিজ ব্যক্তিগত অনুভূতিকে নৈতিকতা রসে সিক্ত করে প্রকাশ করেন- তখন তা গোটা মানুষের অনুভূতির রূপ নেয়। দিবসের রবির কিরণ, রজনীর স্নিগ্ধ জোৎস্নার ধারা, মেঘ-মালার বারিপাত, ঘাসের মাথায় জমে ওঠা শিশির বিন্দুর গভীর প্রাণের রস যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য শোভায় অপূর্ব বিকাশ ঘটাতে পারে, তেমনি সংগীত, শিল্প সাহিত্যের মাঝে নৈতিকাবোধের পুণ্যপ্রবাহ ও একটি জাতির উন্নতি, স্থায়িত্ব ও সংস্কৃতিতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। আমাদের সাহিত্য নৈতিকতার উপাদান হতে বঞ্চিত হয়ে কত বড় শূন্যতার মুখোমুখী তা আমরা অনুভব করতে সক্ষম নই।
সাহিত্যে নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা আছে তাই বলে যদি সাহিত্য নৈতিকার নামে ধর্মীয় পুস্তকরূপে গড়ে ওঠে, তাহলে সাহিত্যের অপমৃত্যু ঘটবে। সব সাহিত্যে নৈতিকতার ছাপ থাকবে বলে সব যায়গায় ধর্মীয় নির্দেশ-নিষেধের বাণীর বজ্র নির্ঘোষ ধ্বনি বেজে উঠতে হবে তা নয়। কারণ ‘ধর্ম নৈতিকতার মৌল ভিত্তি হলেও ধর্ম ও নৈতিকতা এক জিনিস নয়। নীতিগতভাবে ধর্ম ছাড়া নৈতিকতা আস্তিত্বহীন কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে নৈতিকতা ধার্মিকতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু সামাজিকভাবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক ধরে রাখে যে নিয়ন্ত্রক শক্তি তা সভ্যতর জগতের। কাজেই একদিকে যেমন ধর্ম ও নৈতিকতা স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন আর একদিকে তাদের রয়েছে আন্তনির্ভরতা… ধর্ম এক ধরনের জ্ঞান এবং নৈতিকতা হলো সেই জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকার জীবনের অনুপ্রেরণা। কীভাবে চিন্তা ও বিশ্বাস করতে হয় ধর্ম সে প্রশ্নের উত্তর, কিভাবে আকাক্সক্ষা ও লক্ষ্যবিন্দু নির্ধারণ করতে হয় এবং কিভাবে জীবনযাপন করতে হয় সে প্রশ্নের উত্তর হল নৈতিকতা। অন্য কথাায় ধর্ম হলো বিশ্বাস নীতি হলো কর্ম।’ (৬)
মানব জীবনের প্রধান অবলম্বন সাহিত্যের স্থায়িত্বের মূল সুর নৈতিকতা তথা নীতিচেষ্টাকে কেউবা সাহিত্যিকদের জন্য বড় অপদ মনে করেন। তাই আর্টের দোহাই দিয়ে সাহিত্য থেকে নীতির ইঙ্গিত টুকু সযত্নে মুছে ফেলতে চান। তবুও নীতি-নৈতিকতা তার নিজস্ব শক্তি বলে কল্পপন্থার (জড়সধহঃরপরংস) কল্পনারাগে রঞ্জিত হয়ে, বস্তুপন্থার (জবধষরংস) বাস্তব চিত্রে বিচিত্র হয়ে শ্রেয়পন্থার (ওফবধষরংস) রূপ নিতে সক্ষম হচ্ছে। সাহিত্যে জীবন-সমাজ-জ্ঞান-বিজ্ঞান সব কল্পনার উত্তাপে বিগলিত হয়ে সূক্ষ্ম সুকুমার বৃত্তি জন্ম লাভ করে, তার মধ্যে যদি জগৎ সংসারের কল্যাণরূপী নৈতিকতার ছায়াভাসটি ফুটে ওঠে, তখন ঐ সাহিত্য মানব পরিত্রাতার আসন দখল করতে সক্ষম হয়।
আমরা অনেক সময় নৈতিকতার আদর্শ হিসেবে মিষ্টিসিজমকে গতিশীল সাহিত্যের পরিণত অবস্থার সামগ্রী ধরে নেই। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ‘মানব-মন জড়ত্বের ভারে পিষ্ট এবং জীবনসমস্যায় ক্লিষ্ট হইয়া দৈনন্দিন বাস্তব জীবনের ক্ষুদ্রতা তুচ্ছতা হইতে মুক্তি মাগিয়া অবার সাহিত্যে অজানা রাজ্যের লঘু কল্পনার আবাদ করে ইহাই মিষ্টিসিজম’(৭) অর্থাৎ ‘মিষ্টিসিজম’ হচ্ছে পরিণত বয়সের রোমান্স। কিন্তু নৈতিকতা শুধু ‘মিষ্টিসিজম’ এর মধ্যেই নয় বরং ‘কল্পপন্থা’, ‘শ্রেয়পন্থা’ ও ‘অলেকপন্থা’-এর সর্বস্তরে সমানভাবেই প্রবাহিত হয়ে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের উপকরণ হিসেবে গ্রহণীয় হতে পারে।
আমাদের বাংলা সাহিত্যে, জগৎ সাহিত্যের সব উপকরণে নৈতিকতা বোধ অতি লঘু অবস্থায় বিরাজ করছে। কিন্তু আদিম যুগ থেকে চলে আসা কল্পলোকের ও বস্তুলোকের প্রেমলীলার পরেই অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে নৈতিকতার নিয়ন্ত্রণ শক্তির অবসান ঘটে। এর পরেই সাহিত্যানুমোদিত বস্তুর পরিচয় ঘটে অষ্টাদশ শতাব্দীতে Marivaux এর Marianneতে এবং Ges Richardson I Fielding-এর রচনার মাধ্যমে। উনবিংশ শতাব্দীতে অস্টেন, গ্যাস্কেল এবং George sand-এর শেঘ বয়সের রচনায় বাস্তবের চিত্র আর্ট বলে গণ্য হলো। কিন্তু বস্তুপন্থী সাহিত্য এ স্থানে এসে থেমে যায়নি। এই বস্তুপন্থা ধীরে ধীরে Blicher এবং ওনংবহ এ, Ibsen G, Turgenieff, Tolestoi, Gorky Ges Shaw-এ এবং সর্বোপরি Zola-য়’ এসে চরম অবস্থায় ঠেকেছে। আবার বস্তুপন্থার চরমতা হতে হৃদয় মনকে অব্যাহত রাখার জন্য জর্জ এলিয়টেরর চেষ্টা বহুল পরিমাণে সফলতা লাভ করেছে।
স্কট, হুগো যেমন কল্পপন্থা ও বস্তুপন্থার মিশ্রণের শুভফল, জর্জ এলিয়ট তেমনি বস্তু ও শ্রেয়ঃপন্থা মিশ্রণের শুভফল। মেরিডিথ, আতোল ফ্রাস শ্রেয়ঃপন্থারই প্রতীক। তবে কবি গ্যেটের মধ্যে শ্রেয়ঃপন্থায় ধ্রুবতার সাথে অলোকপন্থাসুলভ অতিরিক্ততা ফলানোর চেষ্টা দেখা যায়।
জার্মান সাহিত্যের মহাকবি গ্যেটে, শীলার, হের্ডার সকলেই যুক্তির নৈতিক শক্তি এবং ‘ সত্য, শিব ও সুন্দর’ এ বিশ্বাসী ছিলেন। তারা নাটককে একটি সুসংবদ্ধ ক্লাসিক্যাল রূপ দিলেন একটি গভীর নৈতিক দায়িত্ববোধবশত মানুষ যাতে তার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সেজন্য তারা মানুষকে তার স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাকে অন্তর ও বাইরের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।
অডালবেট স্টিফারের চেতনায় মিলছে মহাকবি গ্যেটের প্রজ্ঞা ও ধর্মীয় ট্রাডিশন। তার চেতনার মর্মস্থলে রয়েছে হৃদয়ের ঔদার্য ও পবিত্রতা। তিনি তার গল্পগুলোয় সমাজের কথা, প্রকৃতির কথা বর্ণনার সাথে সাথে বিশ্বপ্রকৃতির একটি অচঞ্চল নিয়মের প্রতি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যে নিয়ম সর্বত্রই সর্ববিশ্বয়ে মহান আল্লাহর প্রতি আমাদেরকে সচেতন করে। আধুনিক জার্মান শিল্পী ফ্রানৎস মার্ক বলেছেন, ‘ধর্ম ছাড়া কোনো মহৎ ও শুদ্ধ আর্ট হতে পারে না। আর্ট ততই আর্ট হয়ে উঠবে, যতই সে ধর্মের দিকে ঝুঁকবে।’
আধ্যাত্মিক সাধনার আদর্শ ব্যতীত জীবনে পূর্ণতা আসে না। তাই কবি সাহিত্যিকেরা যখন খণ্ডতা হোক তা মানব প্রেম, বাহ্য সৌন্দর্য বা স্বদেশানুরাগ এর মধ্যে হাবু ডুবু খেতে থাকেন- তখন তাকে পূর্ণতার তীরে নিয়ে আসতে পারে; জীবন ও বিশ্বের অখণ্ড রূপ ও রস আস্বাদনে সহায়তা করতে পারে একমাত্র আধ্যাত্মিক সাধনার অমিত তেজ ও নৈতকতার প্রবল অকর্ষণ। শুধুমাত্র ভোগ নয়, ভোগ ও ত্যাগের সামঞ্জস্যের পথ আবিষ্কার করে বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক জীবনকে এক সঙ্গে মেলানো কবি সাহিত্যিকদের কাজ। সুরভী ব্যতীত সৌন্দর্যসর্বস্ব প্রসুন যেমন অস্থায়ী আনন্দ দেয়, নৈতিকতাবিহীন শিল্প সৌন্দর্যও মানুষকে ক্ষণস্থায়ী আনন্দ দিয়ে থাকে। তাই শুধুমাত্র আর্টের মাঝে কবি জীবনকে নিঃশেষ না করে যদি আধ্যাত্মিক জীবনে কবি জন্ম লাভ করেন- তখন তার সৃষ্টি ধরণীর পরিপুষ্টির স্তন্যদুগ্ধ রূপে কাজ করে। তাইতো ‘যৌবন স্বপ্ন’ ভেদ করে যখন কবি আধ্যাত্ম জীবনের অসীম মুক্ত রূপে স্নান করে ওঠেন- তখন তার কাব্যকলা পাঠকের অন্তরের লোকাতীত রহস্যময় পরম বিস্ময়কর সুরটিকে জাগিয়ে তুলতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ ‘ছবি ও গান’, ‘কড়ি ও কোমল’-এটা পাই কল্পনার স্বপ্নারেশ; কিন্তু ‘নৈবেদ্য’-তে পাই শুচী শুভ্র সাধনার আদর্শকে জীবনের মাঝে লাভ করবার প্রবল ইচ্ছা। পাই ‘দেওয়ানে হাফিজ’ কাব্যে প্রেমের জোয়ারে বিশ্বকে উজ্জীবিত করার আহ্বান, যেন সব জীবন স্পন্দনে ঐ প্রেমের সুরই বাজে-
‘সাকী বনূরে বদাহ বর আফরোজ জানে মা,
মতরব বগো কেহ কায়ে জাহাঁ শোদ বকাম মা।’
সাকী! শরাব আলোয় আমার পেয়ালা উজল করিয়া দাও,
আনন্দগীত গাহিয়া ধরাকে প্রেমিকা বানায়ে দাও।
আধুনিক কালের পক্ষে নৈতিকতার উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি- এ জগতে নানা জায়গায় শোনা যায়। কারণ ধর্ম ও সমাজ, পরমার্থ ও সংসার পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে ধর্মকে করেছে নিষিদ্ধ বাইরের বস্তু, আর সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে করেছে আধ্যাত্মিকতাশূন্য মেকিজৌলুসে ভারাক্রান্ত। যেখানে নৈতিকতার সাধনা চলে সেখানে জীবনযাত্রা সহজ ও নির্মল হয়ে ওঠে, সংস্কারের সংকীর্ণতা দূরীভূত হয়। ফলে জীবনচিত্র সাহিত্যও নির্মল হয়ে ওঠে। পরিণতিতে আমাদের দৃষ্টি ও অনুভূতি সমাজ থেকে নিখিলে, নিখিল থেকে আধ্যাত্ম ক্ষেত্রের শেষ পরিণাম অভিমুখে মহা অভিসারে যাত্রা করে। আজ তাই অতীন্দ্রিয় রাজ্যের অনির্বচনীয় রসের কবি ও কবিতা পশ্চিমাদের কাছে অতি প্রিয়। এর কারণ ওরা বলছেÑ এভাবে ‘প্রেমের কবিতা আমদের দেশে এত জমিয়াছে যে, পাঠকেরা আর তাহাতে স্বাদ পায় না। টেনিসন, ব্রাউনিং, জর্জ এলিয়ট প্রভৃতির বস্তুতন্ত্র সাহিত্যে ও জগৎটা এমনি গায়ে ঘেঁসিয়া দাঁড়াইয়াছে যে, তাহার মায়া যেন সূর্যাস্তের মেঘের চতুর্দিকের চঞ্চল বর্ণচ্ছঠার মতো আর হিল্লোলিত হইয়া বেড়ায় না- সব যেন স্পষ্ট, বড্ড নিরেট বড় বেশি গোচর। আমরা তাই অতীন্দ্রিয় রাজ্যের মোহাঞ্জন চোখে পরিতে চাই। ইয়েটস প্রভৃতি কেল্টিক অভ্যুত্থানের কবিদল, ফ্রান্সিস টম্পসন, জন মেসফিল্ড প্রভৃতি আধুনিক ইংরেজ কবিগণ- সেই অঞ্জন চোখে মাখাইয়াছেন বলিয়া পাঠকেরা তাহাদের আদর করে।’ (৮) (চলবে)।