ড. ইউনূসের জাতিসংঘ মিশন
অনন্য উচ্চতায় দেশ
॥ জামশেদ মেহ্দী॥
রাশিয়া ও বেলারুশ ছাড়া সমগ্র ইউরোপে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। এমনকি যে ফ্রান্সে ২৩৫ বছর আগে রক্তাক্ত ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, সেই ফ্রান্সেও এখন নির্ভেজাল গণতন্ত্র বিরাজ করছে। রাশিয়ায় ১০০ বছর আগে বলশেভিক কমিউনিস্ট বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এখন অবশ্য রাশিয়া গণতন্ত্রে ফেরেনি। তারা ভøাদিমির পুতিনের কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে রয়েছে। ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করে আমেরিকা ২৪৮ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মার্কিন স্বাধীনতার লড়াই মার্কিন বিপ্লব হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছে। আমেরিকায় আরেকটি রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে। সেটি হলো মার্কিন গৃহযুদ্ধ। এটি সংঘটিত হয়েছিল ১৫৯ বছর আগে ১৮৬৫ সালে। আমেরিকায়ও দুই দফা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি শতাব্দীরও বেশিকাল ধরে নির্ভেজাল গণতন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ঐসব বিদেশি রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে ৯ মাস ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক সাহায্যপুষ্ট মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন সত্তা হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হয়। যেসব দেশের কথা আগে উল্লেখ করলাম, সেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য হলো এই যে, ঐসব দেশে রক্তক্ষীয় সংগ্রাম বা বিপ্লবের পর তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সর্বোত্তম ব্যবস্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৩ বছরের মধ্যেই দেশটি একদলীয় প্রেসিডেন্সিয়াল স্বৈরতন্ত্রের নিগড়ে বন্দি হয়। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ দেখেছে তিনটি সামরিক অভ্যুত্থান। এগুলো হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর। এরপর বাংলাদেশ ১৯৮২ সালে পতিত হয় এরশাদের সামরিক শাসনের অধীনে। ৯ বছর পর এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের পতন হয়। এরশাদের পতনের পর (১৯৯০) ১৭ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের স্বাদ আস্বাদন করে।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি সেনাশাসিত সরকারের অধীনে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও মাত্র দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১১ সালে তিনি স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী রাজত্বের সূচনা করেন। এরপর ২০২৪ সালে মে মাস পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ এবং নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়। এমন একটি পটভূমিতে ২০২৪-এর ৫ আগস্ট বাংলাদেশে সংঘটিত হয় যেন গণঅভ্যুত্থান, যেটি স্বৈরাচারবিরোধী বিপ্লব হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত থাকবে।
সংবিধানের পথে নয়, কোটি কোটি জনতা রাজপথে নেমে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাই এটি ছিল একটি গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ ইউনূসের সরকারকে সাদরে বরণ করেছে। ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর- এ ৫ দিনে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ বিজয় করেছে বলে পণ্ডিত ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন। এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে, একমাত্র ভারত ছাড়া পৃথিবীর সব দেশ ইউনূস সরকাকে ওয়েলকাম করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ড. ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টেলিফোন করেন। নরেন্দ্র মোদি এ টেলিফোন সংলাপে ছিলেন অত্যন্ত শীতল।
তারপরও ড. ইউনূস হাল ছাড়েননি। জাতিসংঘে যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর থেকে ভারতকে অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ড. ইউনূস জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে আগ্রহী। ভারত শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, ভারত বাংলাদেশের সাথে কোনোরূপ শীর্ষ বৈঠকে আগ্রহী নয় এবং শেষ পর্যন্ত মোদি-ইউনূস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক আগ্রহী না হলে কি হবে, বিশ^নেতৃবৃন্দ অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছিলেন ড. ইউনূসের সাথে বৈঠকের জন্য। এর কারণ নোবেলজয়ী হিসেবে ইউনূসের ব্যক্তিগত খ্যাতিই নয়, বরং ইতিহাসে বিরল এক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ইউনূস তার দেশকে নির্ভেজাল গণতন্ত্রের মহাসড়কে দাঁড় করানোর জন্য দেশে এবং বিদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে রয়েছেন। ড. ইউনূসকে এ নবরূপে দেখে তার সাথে সাক্ষাতের জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দ প্রতীক্ষা করছিলেন। তাই দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৃষ্টি করলেন এক বিরল দৃষ্টান্ত। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ব্যস্ত সময়ের মাঝে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে তিনি অধিবেশনের সাইডলাইনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলেন, ইউনূস-বাইডেন বৈঠকের ফলে বাংলা-মার্কিন সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যার ফলে পশ্চিমা বিশ্ব এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে।
মাত্র ৫ দিনের সফর। তার মধ্যেও যেতে আসতে দুদিন। মাঝখানে মাত্র তিন দিন। এ তিন দিনে ড. ইউনূসের সাথে দেখা করেছেন জো বাইডেন ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিওর্জিয়া মেলনি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় কমিশন, ইউসএইড, ইউএনডিপি প্রভৃতি দেশ ও বহুজাতিক সংস্থা।
প্রতিটি বৈঠকে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে ইউনূস এককথাই বলে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন, তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, সাংবিধানিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্যই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার এ বক্তব্য বিশ্বনেতৃবৃন্দ গ্রহণ করেছেন। তাই দেখা যায় যে, ইউনূসের সাথে বৈঠকের পর বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ অধিবেশন ড. ইউনূসকে পৃথিবীর ২০০ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিয়ময়ের এক বিরল সুযোগ এনে দিয়েছিল। আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির পর্যন্ত বলেছেন যে, ড. ইউনূস এ বিরল সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, যেসব বিশ্বনেতার সাথে ইউনূসের দেখা হয়েছে, তাদের তিনি সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যথা- রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়ে দিয়েছেন। জো বাইডেনের সাথে বৈঠকের সময় ইউনূস তার যে সংস্কার ফর্মুলা তুলে ধরেন, সেই ফর্মুলার প্রতি জো বাইডেন সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছেন।
এবার ইউনূসের অ্যাপ্রোচে একটি নতুন উপাদান সংযুক্ত হয়। সেটি হলো, দেশ গঠনে এবং সংস্কার কার্যক্রমে দেশের তরুণ সমাজকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা। মাত্র সাড়ে ৩ দিন নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ড. ইউনূস অন্তত ৪০টি বড় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মানবাধিকারের প্রতি তিনি যে কতটুকু কমিটেড, সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করার আহ্বানের মাধ্যমে। তিনি জাতিসংঘের ঐ মিশনকে আরো বলেছেন যে, জুলাই ও আগস্ট বিপ্লবে এবং গুম খুনে মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তার অনুপুঙ্খ তদন্ত করার। হুমায়ুন কবির বলেছেন যে, ড. ইউনূসের এ সফরের পর বাংলাদেশ একটি দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থনের ভিত্তি পেয়েছে। আরো পেয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সাহায্যের আশ্বস। তরুণরা যারা বিপ্লব করেছে, তারা সমাজ ও রাজনীতি থেকে বৈষম্য দূরীকরণের ওপর যে অব্যাহত গুরুত্ব দিচ্ছে সেই গুরুত্বের প্রতি বিশ্ব সমাজ সর্বাধিক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন দেশ এবং দাতাগোষ্ঠী বিশ্বব্যাংকের ঐ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারসহ মোট ৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জনৈক অধ্যাপক বলেছেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্বাবাদী শাসনের ফলে বিশ্ব সমাজ; বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগের ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলেন। এখন তারা সেই দ্বিধা কাটিয়ে উঠেছেন।
এ সফরের সময় ড. ইউনূস আঞ্চলিক দিকটিও অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব ভুলে যাননি। তাই তার সাথে দেখা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এবং মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মইজ্জু। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভোলকার তুর্ক, জাতিসংঘ শরণার্থী এজেন্সি প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি এবং নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দি হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সাথে। করিম এ এ খানের সাথে বৈঠকটি অতীব গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ এ চিফ প্রসিকিউটর বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, নরেন্দ্র মোদি ইউনূসের সাথে দেখা না করে ইউনূসকে ছোট করেননি। বরং তিনি নিজেই ছোট হয়েছেন। তিনি চিত্তের ঔদার্য দেখাতে পারেননি।
মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্ব সভায় ড. ইউনূস বাংলাদেশকে সম্মান ও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করালেও দেশের ভেতর একশ্রেণির পঞ্চম বাহিনী তার এ সফলতাকে ম্লান করার জন্য দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, এসব চক্রান্তের নটরাজ হলো আধিপত্যবাদী ভারত এবং তাদের লোকাল এজেন্ট আওয়ামী ঘরানা। তারই সর্বশেষ আলামত দেখা যায় আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্ত থামেনি। তাই গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। ফলে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
চক্রান্তকারীরা শুধুমাত্র তৈরি পোশাকশিল্পকেই ধ্বংস করার চেষ্টা করছে তাই নয়, তারা প্রশাসনেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। তাই দেখা যায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর কয়েকশত যুবক সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫-এ উন্নীত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন একটি সংরক্ষিত এলাকা। এখানে কোনোরকম আন্দোলন বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ গণভবন এবং বঙ্গ ভবনের সামনে আন্দোলন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু এখন তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনেও চড়াও হতে চায়। একটি সহযোগী বাংলা দৈনিক রিপোর্ট করেছে যে, যারা এ ইস্যুটি নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদের প্রায় সকলেই ছাত্রলীগ করা মানুষ। এরা আওয়ামী লীগ আমলের সাড়ে ১৫ বছরে এ ধরনের দাবি তোলেনি। কিন্তু ইউনূসের মাত্র ১ মাস ২৬ দিনের মধ্যে তারা সেই দাবির বাস্তবায়ন চায় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারের গেজেট নোটিফিকেশন চায়।
পর্যবেক্ষকরা বলেন যে, ড. ইউনূসের সরকার গণতান্ত্রিক উদার নৈতিকতায় (Democratic Liberalism) বিশ্বাসী। তাই তারা এসব বিষয়ে এখনো কঠোর হননি। কিন্তু এদেরকে প্রশ্রয় দিলে এরা সূচ হয়ে ঢুকবে এবং ফাল হয়ে বের হবে।
Email: jamshedmehdi15@gmail.com
এ পাতার অন্যান্য খবর
- অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে বিশ্ব
- আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন, সেটাই হবে তারিখ
- জাতীয় স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব : ডা. শফিকুর রহমান
- রেমিট্যান্স আয়ে ৫০ বছরের রেকর্ড
- আনোয়ার ইব্রাহিম আসছেন
- সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জামায়াতের
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন আহতরা
- আন্দোলনে নিহত ১৫৮১