বিদেশি চাপ ও নিরাপত্তা সংকট : উপজেলা নির্বাচন : রাজপথের আন্দোলন নিয়ে
উৎকণ্ঠা বাড়ছে শাসকশিবিরে
॥ ফারাহ মাসুম ॥
একতরফা নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন এবং উত্তরাধিকার নির্ধারণসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে শাসকদলে তীব্র গৃহদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত এক ধরনের বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এ বিভক্তিতে কোথাও দ্বিধা, কোথাও ত্রিধা আবার কোনো কোনো জায়গায় ৪-৫ ভাগে বিভাজিত হয়ে পড়েছে দল। এ বিভক্তির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে সরকারের হাইকমান্ডে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ কারণে প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখন ক্ষমতাসীন দলের এক ধরনের নিয়ন্ত্রণে রেখে এ নির্বাচন করার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। অবশ্য এজন্য প্রথম দফার ফলাফল কেমন হয়, সেটি দেখার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : এদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের বিভক্তি ও কোন্দল ক্রমেই প্রকাশ্য রূপ নিতে শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভক্তির সূচনা হয়েছিল, তা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ১৫২টি উপজেলার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগ এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছে। দলের কোন্দল কমানো এবং দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বন্ধের জন্যই আওয়ামী লীগ এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন এ সিদ্ধান্তে বিভক্তি আরো বাড়তে শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় যে ১৫২টি উপজেলায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অন্তত ৫ জন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের যত প্রার্থী, ততটা ধারা তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
যেসব উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে এবং এ প্রচারণায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগের যিনি এমপি হয়েছেন, তিনি তার পছন্দের ব্যক্তিকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছিলেন, তিনিও তার কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচনে তার পছন্দের প্রার্থীকে দাঁড় করাতে যাচ্ছেন। আবার যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে উপজেলায় তার অবস্থান আরও দৃঢ় করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তার প্রার্থী দিয়েছেন। আবার যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী, কিন্তু নির্বাচনে স্বতন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছেন, তিনি উপজেলা দখলের জন্য স্বতন্ত্রের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছেন। আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা, যিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি আবার স্বতন্ত্র নির্বাচনও করেননি, তিনি দলে তার অবস্থান ধরে রাখার জন্য তিনি বা তার মনোনীত প্রার্থীকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। পাশাপাশি আবার যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, যারা নিজেদের জনপ্রিয় মনে করেন এবং উন্মুক্ত উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। এরকম বাস্তবতায় প্রতিটি উপজেলায় এ পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রতিটি উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নেই, সেজন্য এসব বিভক্তি টেকসই হবে না। তবে যারা নির্বাচন করছেন, তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং তাদের পদবি রয়েছে। আর এ কারণে এসব পদ-পদবি পাওয়া ব্যক্তিরা যখন নির্বাচন করবেন, তাদের কর্মী সমর্থকরা তাদের পক্ষে দাঁড়াবেন। এর ফলে প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী অন্তত ৫ ভাগে বিভক্ত হচ্ছে। এ বিভক্ত আওয়ামী লীগকে জোড়া লাগানোর উপায় কী থাকবে, সেটি দলের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে অনেকে মনে করছেন।
অন্যদিকে মুখে যাই বলুক না কেন, শাসকদলের অনেকে মনে করছেন, বিএনপির অধিকাংশ স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। প্রথম দফা যে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে প্রায় সবগুলোতেই বিএনপির প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রচারণা এবং প্রাক-প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যেহেতু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হচ্ছে না, কাজেই এ বিষয়টি বিএনপি উপেক্ষা করবে বলে জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে সরকার সমর্থক একটি পোর্টালে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি একটি সুনির্দিষ্ট একটি কৌশল গ্রহণ করেছে।
এদিকে গত ২৫ মার্চ সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলটি এ নির্বাচনে দলগতভাবে অংশগ্রহণ করছে না, তবে কেউ স্বেচ্ছায় প্রার্থী হলে কৌশলী সিদ্ধান্ত আসতে পারে। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির কৌশল কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় সব সদস্য দলগতভাবে নির্বাচনে না গিয়ে কৌশল গ্রহণ করার পক্ষে মত দেন। নেতারা কেউ কেউ বলেন, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, সেখানে এ সরকারের অধীনে অন্য নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে কেউ নিজ উদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া উচিত হবে না বলেও মনে করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক নেতা বলেন, যতটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে, উপজেলায় প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলীয় নেতাদের উৎসাহিত না করা, কেউ নির্বাচনে যেতে চাইলে তাকে দলীয়ভাবে বাধা না দেয়ার বিষয়ে মতামত এসেছে। কয়েকজন সদস্য বলেছেন, বিএনপি দলগতভাবে যে নির্বাচনে যেতে চায় না, তা পরিষ্কার করতে হবে। এরপর কেউ নির্বাচনে আগ্রহী হলে নিজ দায়িত্বে অংশ নিতে পারেন।
একঘরে আ’লীগ, চাপ বাড়ছে নানা ইস্যুতে
একতরফাভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করার পর আওয়ামী লীগ এখন আর তার রাজনৈতিক মিত্রদের খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। জাতীয় পার্টির মধ্যে যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনেও সরকারি দলের গোপন হাত রয়েছে বলে দলটির কেউ কেউ মনে করেন। তবে প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকায় কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। আর ১৪ দলের কোনো অংশকে চতুর্র্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর তেমন একটা ডাকা হয় না। তারা বঞ্চনাবোধ থেকে নিজেদের সভা সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ধারায়ও মিলতে পারছেন না। ফলে এসব দলের মধ্যে যেমন অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, তেমনি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসে অনেকখানি একঘরে হয়ে গেছে। মহাজোট বা ১৪ দলের শরিকরা এখন সেভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অংশীদার নয়। এরকম বন্ধুহীন, মিত্রহীন পরিস্থিতিতে বিরোধীদল রাজপথে বড় কোনো আন্দোলন তৈরি করতে পারলে সাফল্য পাওয়া সহজ হয়ে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। দেখার বিষয় এ চাপ কাটিয়ে সরকার কীভাবে সামনের দিকে এগোয়।
সরকারের ওপর আরো নানা ইস্যুতে চাপ ক্রমেই বাড়ছে। তিন মাসের কম বয়সী আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই নানা রকম সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে শাসকদলকে।
নির্বাচনের পর পশ্চিমা বলয় থেকে সরকারের সাথে কাজ করে যাওয়ার বার্তা দেয়ার পর আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, তাদের জন্য স্বস্তির সময় আসবে। কিন্তু বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের ওপর এখন চাপ বাড়ছে এবং এসব চাপ মোকাবিলা করে সামনের দিনগুলোয় শাসকদল কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সঠিক হয়নি বলে উল্লেখ করেছে। এরপর এনডিআই ও আইআরআই-এর প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে। এমনকি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারের কাছে দেয়া বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ান প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় অভিনন্দন জানিয়েছেন, তার চেয়ে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনের ভাষা আলাদা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আরও বাড়বে। বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনগুলোয় দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও জনগণ থেকে জনগণের সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যাশায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার আরও এক বছর উদযাপন করছে, তাই আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। এ প্রচেষ্টাগুলোয় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আরও বাড়াবে।’
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সীমান্তবর্তী রাখাইন স্টেটে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি জান্তার কাছ থেকে একের পর এক শহর দখল করে নিচ্ছে। অন্য স্টেটগুলোয়ও সরকারি বাহিনীর কোণঠাসা অবস্থা। এটি বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে ক্রমাগতভাবে।
অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে
এর মধ্যে সরকারের জন্য শাসন সংকটে এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্যকে আওয়ামী লীগ তার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগই এ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি। বিশেষ করে বিভিন্ন পণ্যের দাম যখন-তখন বাড়ছে। নিত্যপণ্যের প্রতিটা আইটেটমের দাম দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। চিনি, ফলমূলসহ অনেক আইটেমের দাম অন্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণেরও বেশি।
অর্থনৈতিক সংকটও সরকারের জন্য তীব্র মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে। এ সংকট থেকেও সরকার এখন পর্যন্ত মুক্তির কোনো পথ খুঁজে বের করতে পারেনি। বিভিন্ন আর্থিক সূচকে অবস্থা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে খারাপ হচ্ছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকারের তৎপরতা এখন পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। আর্থিক খাতে শুদ্ধি অভিযানের নামে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার যে উদ্যোগ, সেই উদ্যোগেরও সফলতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। সবকিছু মিলিয়ে আর্থিক খাতে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, সেটি থেকে উদ্ধারের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করতে পারেনি।
বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সংকট নতুন করে তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সারা দেশে গ্রীষ্ম মৌসুমে নতুন করে বিদ্যুৎ সংকটের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গ্যাস সংকটে নাগরিক জীবনে একটা দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে। অনেক জায়গায় গ্যাস পাওয়াই যাচ্ছে না। আবার কোথাও কোথাও বিশেষ করে শিল্প কলকারখানাগুলোয় গ্যাসের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এরকম একটি পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ-অস্বস্তি তীব্র হতে পারে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- আমাদের আগামী দিনের পথচলায় আপনাদেরকে পাশে চাই
- তৎপর হচ্ছে বিএনপি
- উন্নয়নের বয়ান ও স্বাধীনতার স্বপ্ন
- সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিকের কারখানা বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : ডা. শফিকুর রহমান
- আকাশচুম্বী ঋণের বোঝায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত
- স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- ঈদযাত্রা : পথে পথে দুর্ভোগের হাতছানি
- শহরাঞ্চলে গরিব মানুষ বাড়ছে