॥ জামশেদ মেহ্দী ॥
গত নির্বাচনটা যেরকমই হোক না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে। এবারে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি সংহত হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৮-এর নির্বাচনও মোটামুটি একতরফা হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকেই শেখ হাসিনার ক্ষমতা সংহত হতে শুরু করে। ২০১৮-তে তার ক্ষমতা আরো বেশি সংহত হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেটা হয়েছে, সেটা প্রফেসর আলী রীয়াজের ভাষায়, পার্সোনালাইজড অটোক্র্যাসি বা ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। (তথ্যসূত্র : ডেইলি স্টারের বিগত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা)।
রাষ্ট্রক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় এবং তার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কোনো দল, মহল বা শক্তি দৃশ্যমান না হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে যা হওয়ার, সেটি হয়নি। দলনিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ মনে করেছিল একচেটিয়া ক্ষমতা হস্তগত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার; বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবার কিছুটা উদার হবেন। কারণ গত ২৮ অক্টোবরের পুলিশি অভিযানের পর থেকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন এবং তারপর গত ১৮ মার্চ সোমবার পর্যন্ত এ চরম সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ; বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। এসব ক্ষেত্রে শাসক মহল উদারতা দেখান এ জিনিসটি বোঝার জন্য যে, তার উদারতার সুযোগে কোনো মহল অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে কিনা। আর যদি পারে, তাহলে সেই অশান্তিকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে। বিগত ২ মাস ১০ দিনে এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে, নিকট ভবিষ্যতে রাজপথে কোনো শক্তিশালী বিরোধীদলের আবির্ভাব দৃশ্যমান নয়।
এ পটভূমিতে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতৃবৃন্দকে যখন একের পর এক কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সহনীয় সীমার মধ্যে থাকলে বিরোধীদলকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে। এ আশাবাদ কতদূর বাস্তববাদী, সেটি আগামী দিনগুলোয় দেখা যাবে। কিন্তু এ দুই মাস ১০ দিনে; বিশেষ করে গত পহেলা রমযান থেকে এমন কতগুলো ঘটনা ঘটছে, যেগুলো রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা এবং অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু গত ৭ রমযান পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো রাজনীতির চেয়েও বেশি সিরিয়াস। এগুলোর সাথে ৯২ শতাংশ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি জড়িত। এগুলোর সাথে দেশের সার্বভৌমত্ব জড়িত।
ওবায়দুল কাদের একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসে আজ তিনি আওয়ামী লীগের দুই নম্বর ব্যক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকুণ্ঠ আশীর্বাদধন্য ও স্নেহপুষ্ট। সেই ওবায়দুল কাদের ইলেকশনের আগে এবং পরে এমন এমন সব উক্তি করেছেন, যেগুলোকে অনেকে হালকাভাবে নিলেও তার কতগুলো উক্তিকে আমি হালকাভাবে নিইনি। যে কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি বলেন না, সেসব কথা ওবায়দুল কাদের যে সরাসরি বলেন, তা নয়। কিন্তু তার কিছু তাৎক্ষণিক মন্তব্যের আড়ালে কিছু গুরুতর সংবাদ বা ঘটনার আভাস পাওয়া যায়। তেমনি একটি উক্তি তিনি করেছেন গত ১৬ মার্চ শনিবার। রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাংলা একটি দৈনিক তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ঐ সংবাদটির শিরোনাম দিয়েছে নিম্নরূপ, “ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন সমীচীন নয়/ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে বড় রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারেনি -ওবায়দুল কাদের”।
ওবায়দুল কাদের জানেন না যে, তার এ কথা কত সুদূর তাৎপর্য বহন করে। ঐ খবরে আরো বলা হয়েছে যে, গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে তিস্তাসহ কোনো সমস্যা সমাধান সম্ভবপর নয়। এসব কথা তিনি বলেছেন রাজধানীর ঢাকেশ^রী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে। তিনি বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্যধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি, এটি তাদের অপপ্রচারের একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারতবিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।
এ সম্পর্কে আরো বেশি মন্তব্য করার আগে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। সেটি হলো, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার উপলক্ষে গত ১২ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা। সভার উদ্বোধন করা হয় ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। উপলক্ষ্যটি ছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের ৫২তম বার্ষিকী। প্রথম কথা হলো, অনুষ্ঠানটি হয়েছে ঢাকায়। আর এটা ভারতীয়দের কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। তাহলে সেখানে ভারতীয়দের জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে কেন? আরো কথা আছে। ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৫২ বছর আগে। এর আগে বিগত ৫১ বছরে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার সম্পর্কিত কোনো অনুষ্ঠান ঢাকায় হয়েছে বলে আমাদের মনে পড়ে না।
ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার বিষয়টিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। এ সম্পর্কে একটি পুস্তকে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। বইটির নাম Liberation and Beyond. লেখক জেএন দিক্ষিত। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যে কয়জন আমলা এবং কূটনীতিক তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাদের মধ্যে জেএন দিক্ষিত অন্যতম। অন্য দুজন হলেনÑ ডিপি ধর এবং পিএন হাকসার। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অজিত দোভাল (যাকে বলা হয় ভারতের আন্ডার কভার রাষ্ট্রীয় স্পাই) বর্তমানে যে পদে আছেন, ড. কিসিঞ্জার আমেরিকায় প্রথমে যে পদে ছিলেন সেই নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে ভারতে ছিলেন জেএন দিক্ষিত। যারা আগ্রহী, তারা এ বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। এ বইয়ে বাংলা-ভারত ২৫ বছরের চুক্তি এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার সম্পর্কে কিছু তথ্য আছে।
দুঃখ হয়, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে বিদেশি রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। অথচ দেশের কোনো নামকরা দৈনিক এ সম্পর্কে মন্তব্য করা তো দূরের কথা, সংবাদটি পর্যন্ত ছাপেনি। এটি তো বাংলাদেশ ভারতের ক্রিকেট খেলা নয় যে খেলার আগে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজাতে হবে।
ভারতীয় পণ্য বর্জন সম্পর্কে আমরা এ পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দিইনি। তবে এটুকু বলতে চাই যে, ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করুন অথবা ভারতীয় পণ্য বয়কট করুন- এ উভয় ধরনের প্রচারণা করার অধিকার জনগণের আছে। বিরোধী জোটভুক্ত ১২ দলীয় জোট ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন লিখিত ব্যানার নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। সেই মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশি হস্তক্ষেপের কারণে মিছিলটি পণ্ড হয়ে যায়। নেতৃবৃন্দ এবং অন্যরা ব্যানার কেড়ে নেওয়ার কারণ জানতে চান। পুলিশ বলে, ভারতীয় পণ্য বর্জনের আওয়াজ নাকি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী। পৃথিবীর ইতিহাসে এ প্রথম জানা গেল যে, একটি গণতান্ত্রিক দেশের পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধেও নাকি কথা বলা যাবে না। এটা কীসের ইঙ্গিত বহন করে? বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ উদ্দিন কারাগার থেকে বেরিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, বাংলাদেশ কতটা স্বাধীন, সেটিও এখন বিবেচনার বিষয়।
সাধারণত কয়েকটি বিষয় বিতর্ক বা সমালোচনার ঊর্ধ্বে। সেগুলো হলো সামরিক বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্ম। কিন্তু পররাষ্ট্রনীতি; বিশেষ করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান যে নিষিদ্ধ, সেটা আর কেউ নয়, পুলিশের মুখে জানা গেল।
অনেক ঘটনাই ঘটছে। একটি ঘটনার উল্লেখ করছি। মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতীমা রানি বিশ^াসকে শিক্ষার্থীর হিজাব খুলতে বাধ্য করাসহ ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের পর এবার ওএসডি করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে ৫ কলামব্যাপী প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রধান সংবাদের শিরোনাম, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও ইন্ডিয়া আউট প্রচারণা-সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথে।’ খবরের এক স্থানে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়সে ভেলের ‘বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ভারতীয়দের দাপট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ভারতীয় বিভিন্ন খাতে চাকরি করছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। বেশিরভাগই আসেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। অর্থাৎ সাড়ে ৪ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে অবৈধভাবে কাজ করছেন। এদের বেতন ডলারে ভারতেই পাঠিয়ে দেয়া হয়। সফটওয়্যার ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কারণে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে ভারতীয়দের দাপট বেশি। ট্রাভেল এজেন্টদের বড় একটি অংশ ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণে। পোশাক খাতের টেকনিশিয়ান ও ডিজাইনার কাজে ভারতীয় বেশি। এমনকি সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কনসালটেন্সি, অ্যাকাউনটেন্ট, প্রশাসনিক খাতেও ভারতীয়রা রয়েছেন।
এ বছর হঠাৎ রমযানে ইফতারের আয়োজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ। ক্ষমতাসীন দলের ফ্রাংকেনস্টাইন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সংগঠনটি বেশ কয়েক জায়গায় ইফতার পার্টিতে হামলা এবং তাণ্ডব চালিয়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীনদের দলদাস হিসেবে চিহ্নিত ভাইস চ্যান্সেলর দিয়ে পরিচালিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে। এর প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণইফতার কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ছাত্রলীগ বাধার সৃষ্টি করেছে।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো এই যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার একদিকে ইফতার মাহফিলকে ডিফ্যাক্টো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; অন্যদিকে পবিত্র ইসলাম সম্পর্কে তাফসির মাহফিলেও হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের গেটের কাছে তাবলিগের আলোচনা সভায় এ হামলা করেছে ছাত্রলীগ। তবে সুখের বিষয় হলো এই যে, ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী এসব হামলার বিরুদ্ধে ড. আসিফ নজরুল কঠোর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘শিবির ট্যাগ দিয়ে হামলা এ্যাটেম্পট টু মার্ডারের’ মতো অপরাধ।
পরিশেষে উল্লেখ করা যায়, ওবায়দুল কাদের যখন বলেন, তলে তলে সব ঠিক হয়ে গেছে। বড় শক্তিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। ভারত আছে তো আমরা আছি। আর সব শেষে গত ১৬ মার্চ ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন (যেটি ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে)। সেটিকে কী বলা হবে? সেটি কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো নয়? কোনো বিদেশি রাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের কোনো সরকারকে হটাতে চায়, তাহলে সেটি যেমন হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ, তেমনি কোনো সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করে, তাহলে সেটিও হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ।
অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- দেশজ শক্তিনির্ভর কৌশল বিরোধীদের
- সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে হাসপাতালে আমীরে জামায়াত
- প্রতিবাদে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ-ইফতার
- বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়লো
- বেঁধে দেওয়া মূল্যে পণ্য মিলছে না
- নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা
- ১৭ রমযান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- ৪ মে উপজেলা নির্বাচনের ১ম ধাপ
- ইসলামভীতি মোকাবিলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
- আইআইইউসিতে ফটকের বাইরে প্রতিবাদী ইফতার
- ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় জুলুম চলছে : গোলাম পরওয়ার
- বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহতের ঘটনায় বিএনপির নিন্দা