আল্লামা ইকবালের কাব্যে নারী
![](images/thumbs/1715784029Iqbal.jpg)
॥ মনসুর অহমদ ॥
পৃথিবীর মায়াবী কোড়ে যুগে যুগে এসেছে কমল-কোমল হৃদয় নিয়ে মধুর মধুর অধর নিয়ে, আঁখিতে সাগর সাগর তৃষ্ণা নিয়ে অসাধারণ মানবশিশুর দল। তারা ধরণীর রূপ-রস-গগ্ধ-সুধার খোঁজ পেয়েছেন, উপভোগ করেছেন আর সাধারণ মানবকুলকে তার বার্তা শুনিয়েছেন। তারা দেখেছেন এ ধরাতলের সৌন্দর্য শুধুমাত্র বাইরের আঁখি দিয়ে নয়, দেখেছেন অন্তরের চোখ দিয়ে কল্পনার শক্তি দিয়ে। তারা খুঁজে পেয়েছেন প্রতিটি বস্তুর মাঝে গোপন রহস্যের সন্ধান, শুনতে পেয়েছেন প্রতিটি হৃদয়ের মাঝে ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠা ভালোবাসার আহ্বান। এসব ধূলির ধরণীর দুলালরাই মনের মাধুরী মিশিয়ে শব্দের প্রসূন দিয়ে গেঁথেছেন কথার মালা, সৃষ্টি হয়েছে কবিতা ও গান। এসব কবি সত্য ও সৌন্দর্যের সন্তান, মানবতার অলঙ্কার ও গৌরব। এ শতদলের নিকুঞ্জে ফোটা ফুল কবি ইকবাল বিশ^মানবতার সম্পদ মুসলমানদের অহঙ্কার।
তিনি এলেন কাব্যজগতে বুকে হেরার রোশনি নিয়ে। যখন পৃথিবী বস্তুবাদের কুহেলিকায় আচ্ছন্ন, গণতন্ত্রের জগদ্দলে নিষ্পেষিত, সমাজবাদে মোহাবদ্ধ, নাস্তিক্যবাদের স্রোতে বিশ্ব প্লাবিত, তখন এলেন ইকবাল বুকে উত্তুঙ্গ পর্বতের দৃঢ়তা নিয়ে, অন্তরে এক সাগর ওহিনিষিক্ত জ্ঞানের বার্তা নিয়ে, চোখে অনন্ত মালাকুতি জ্যোতি নিয়ে সব বিশ্বের গৌরব কিরীট রূপে। এ কারণেই মহীশূর টাউন হলে কবির সংবর্ধনা সভায় বলা হয়েছিল ‘The Muslim may claim Dr. Iqbal a million times their property, but he belongs to us all.’
হ্যাঁ, ইকবাল সবার কবি, সাধারণের কবি অসাধরণের কবি, মুটে-মজুর-চাষির কবি, ....বিস্তারিত
মোশাররফ হোসেন খান-এর কবিতা
রূপ-রূপান্তর
শুঁয়োপোকা থেকে রূপান্তরিত হয় প্রজাপতি
গুঁটিপোকা থেকে রূপান্তরিত হয় রেশমি সুতা
গোবরেও পদ্মফুল ফোটে
মানব-জন্মের পেছনে রয়েছে অশেষ কদর্যতা
হে মানুষ—-
স্পর্ধা দেখানোর আগে
মানব-জন্মের রূপ-রূপান্তর নিয়ে একবার ভাবো
বনেদি রক্ত বলে কোনো কিছু নেই
চেহারা যেমনই হোক
টোকা দিয়ে দেখো—-
রাজা-বাদশাহ-ফকির-সাদা-কালো —-
সকলের রক্তই সমান লাল
সৌন্দর্যের পেছনে রয়েছে
ছোপ ছোপ কদর্যতার ইতিহাস
মূলত মানুষ
ছাইভস্ম থেকে উঠে আসা হীরক খণ্ড
অসুন্দর থেকে সুন্দরে
অন্ধকার থেকে আলোয় প্রত্যাবর্তন
আবেগ কিংবা ভাবাবেগ নয়—-
প্রয়োজন প্রজ্ঞার প্রক্ষালন...!
....বিস্তারিত
নূরুন্নাহার নীরু-এর কবিতা
এই গরমে
সস্তার সময় লেবুর রস করে ডিপে রেখেছিলাম- শেষ,
তেঁতুলের কাথ করে রেখেছিলাম শেষ।
কাঁচা আমের রস করে রেখেছিলাম- শেষ।
আমসত্ব ভেজানো পানি- তাও শেষ।
আরো শেষ হলো চালতা! জলপাই, আমড়াসহ যত টক আচার।
জমেছে টক দইয়ের বাটি- ভরেছে বিনের ঝুড়ি ট্যাংগের প্যাকেটে।
তবু তো মিটছে না দহন তাপ জ্বালা,
এবারে কণ্ঠ বসে যাবার পালা।
জ্যাম, জেলি, জুস সারা বছরের খাবার,
এক মাসে হলো শেষ গরমে সাবাড়।
শুনছি আরো রবে মে মাসজুড়ে,
আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে আকাশ ফুঁড়ে।
খরায় পুড়ে মরে আমাদের দেশে,
কোথাও বা পানিতে গাড়ি যায় ভেসে।
বৈশাখী ঝড়টা গেল কোথা উড়ে,
ক্ষয়ক্ষতি নয় তবু আসো কোলজুড়ে।
হাত তুলে চাই পানি চাই চল সবে,
মঙ্গল শোভা নয়, চাই রহমত রবে।
তবেই তবে শেষ হয়েও হবে না শেষ,
রহমের বারি যবে ঝরবে অশেষ।
....বিস্তারিত
সুফি চৌধুরী-এর কবিতা
প্রার্থনা
আল্লাহরই তরে সকল তারিফ
শুকুর গোজারি সব,
তামাম জাহান যিনি লালিছেন
তিনিই আমার রব।
রহমান যিনি রহীমও তো তিনি
বহমান দয়া তাঁরই
সেই কৃপা সনে আরো কৃপা ঢালি
বিচার হইবে জারি।
মহা সে দিনের তিনিই মহারাজ
আর নেই কোনো কাজী
আসামি নিজেই সাক্ষ্য দানিয়া
ইনসাফে হবে রাজি।
গোলামি সে করি কেবল তোমারই
দোসরা কাহারো নয়
যা কিছু চাওয়ার তব কাছে চাই
তব দানে লাভি জয়।
আমারে দেখাও ওই সোজা পথ
সিরাত মুস্তাকীম
যাদেরে দিয়েছ নিয়ামতরাজি
তাঁরাই মহান মহিম।
নয়কো সে পথ যে পথে গজব
নিত্য করিছে হানা
নিও না সে পথেও গোমরাহ যাহারা
মানে নাই কোনো মানা।
কবুল করো হে মোর মোনাজাত
আমি যে গোলাম তব
নফসও স্বাধীন ছাড়িও না মোরে
তোমারই গাহি যে স্তব।
আমিন।
সূরা ফাতেহার কাব্যিক ভাবানুবাদ।
....বিস্তারিত
মুহাম্মদ ইসমাঈল-এর কবিতা
বুক সেলফ
আমাদের ঘরে বইয়ের তাক ছিল না
তবে কিছু বই ছিল এলোমেলো স্থানে
বাবা বই পড়তেন বাবাকে ভাবতাম বই।
মাকে ভাবতাম আলমারি
বাবা সকাল সাঁঝে বই পড়তেন
বাবাকে পড়ে ঘুমানোর সময় মায়ের
কাছে রেখে আসতাম।
মা বইটিকে খুব যত্ন নিতেন।
সকালে নামাযের পরে এক গ্লাস
কুসুম গরম পানির সাথে
দুই চামচ মধু দিয়ে দিতেন।
মা বইটিকে আড়ালে চুমু দিতেন।
আমি একদিন গোপনে তা দেখে
ছোট বোনকে বলি মায়ের এ গোপন প্রেমের কথা।
ছোট বোন আমাকে বলল তুমি কি গোয়েন্দা?
মাঝখানে অনেকদিন বই পড়া হয়নি।
তখন নিজেও লিখতাম কবিতা, ছড়া ও গল্প।
আর কিছু ডায়েরি।
একদিন বাবাকে পড়তে ইচ্ছে হলো।
গিয়ে দেখি আলমারি ভেঙে বাবা
পড়ে আছে এ নশ্বর পৃথিবীতে।
বাবাকে কোলে তুলে আমার রুমাল দিয়ে
তার শরীরের ধুলো বালি মুছে দিলাম।
আমার বই ও আলমারির
কিচ্ছা শেষ।
....বিস্তারিত
শাহীন আরা আনওয়ারী-এর কবিতা
লড়াকু সত্যের জন্য
যারা সত্যের জন্য লড়ে
বিজয় আসে সেই পথ ধরে।
জাগ্রত বিবেক নিয়ে পথ চলা।
হুমকির মুখেও
ন্যায্য কথা বলা
জীবনে এর চেয়ে
বড় কিছু কি আছে?
জগৎ রবের দান
স্বাধীনতার মূল্য অফুরান।
তাই তো যুগে যুগে
আন্দোলন হয় একযোগে।
রক্ত ঝরে,
তবুও ঠেকানো যায় না।
সারা বিশ্বে এই সত্যিটাই
মানুষ মাত্রেই চোখে পড়ে।
....বিস্তারিত
বই পরিচিতি
![](images/thumbs/1715784728Book.jpg)
বইয়ের নাম: ইসলামের মৌলিক বিষয় সঞ্চয়ন ইকরা
লেখক: খন্দকার রুহুল আমিন
প্রকাশক: উম্মু আহমাদ রাদিত
পথিকৃৎ প্রকাশন, ৪৫ কম্পিউটার মার্কেট, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।
মোবাইল: ০১৩০৮০০৭৭৬৯, ইমেইল: pathikritprokassion@gmail.com
প্রচ্ছদ: আলেক হোসাইন।
পৃষ্ঠা: ৩২০, বোর্ড বাঁধাই সাদা কাগজে ছাপা, মূল্য: ৫০০ টাকা মাত্র।
বাজারে ইসলামী মৌলিক জ্ঞান; বিশেষ করে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের অনেক সংকলন আছে। দোয়া-দরূদ ও মৌলিক ইসলামী জ্ঞানের সংকলনের বইও আছে। কিন্তু নবীন লেখক খন্দকার রুহুল আমিনের গ্রন্থিত এ সংকলনটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। যেকোনো পাঠক সংকলনটি হাতে নিয়েই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন লেখক চেষ্টা করেছেন প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু পাঠকের হাতে তুলে দিতে। বিশেষ করে যারা নিজের জীবন ইসলামের আলোয় আলোকিত করার সাথে সাথে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা গোটা বিশ^বাসীর কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন, তাদের জন্য গ্রন্থটি গাইডবই হিসেবে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ^াস। বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষী দাঈ ও ইসলামকে জানতে এবং জানাতে আগ্রহী প্রত্যেকের সংগ্রহে এর একটি সংকলন থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি। খন্দকার রুহুল আমিন বিন্দুতে সিন্ধুকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে। লেখকের যত্নের ছাপ রয়েছে গ্রন্থটির পাতায় পাতায়।
এ যুগের জাঁতাকলে পিষ্ট জীবন-জীবিকার কারণে যারা বড় বড় বই পড়ার সময় ও সুযোগ পান অথচ ইসলাম, ....বিস্তারিত