মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটনে রাসূল মুহাম্মদ (সা.)
॥ আবু রাশাদ ॥
মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে বিভিন্নকালে মানুষের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন জেগেছে। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে রহস্য যবনিকা উন্মোচন করে মহাসত্য উদ্ঘাটনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু আজও যবনিকার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা সব রহস্যাবলি মানুষের দৃষ্টিতে এল না; হয়তো কোনোদিনই আসবেও না। তাই বলে মানুষের চেষ্টা-সাধনাও থেমে থাকবে না।
বিশ^রহস্য সম্পর্কে প্রশ্ন জেগেছিল শৈশবেই হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর অন্তরে। তিনি সব রহস্যের পেছনে খুঁজে পেয়েছিলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহকে তাঁর ইলহামী জ্ঞানের মাধ্যমে।
সাধারণ মানুষ চরম সত্য জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল। অস্থির হয়ে উঠেছিল মহাবিশে^র ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে। এরিস্টটল থেকে শুরু করে টলেমী, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস, কেপলার, নিউটন বিভিন্নভাবে মহাবিশে^র ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাঁদের মূল্যবান মতামত পেশ করেছেন। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে প্লাংক, আইনস্টাইনসহ অন্যান্য প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা বিশ্ববাসীর সামনে নতুন নতুন তথ্য পেশ করেছের। তাঁদের প্রস্তাবিত ব্যাপক অপেক্ষবাদ ও কোয়ন্টাম মেকানিক্স মহাবিশে^র রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেননি।
বিজ্ঞানীগণ বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগে এসে যা কিছু সত্য জানতে সক্ষম হয়েছেন, তার কিছু কিছু তত্ত্ব জাগতিক শিক্ষার সাথে অপরিচিত রাসূল (সা.) বেশ কয়েকশত বছর আগেই বিশ^বাসীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাসূলের জ্ঞান ছিল চরম সত্যের জ্ঞান। দেড় হাজার বছর আগে অন্ধকার পৃথিবীর কাছে রাসূলের বিশ্বরহস্যের তথ্য প্রকাশ যে কত ....বিস্তারিত
২২ জুন ইবনে সিনার মৃত্যুবার্ষিকী
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র ইবনে সিনা
॥ আহমদ উল্লাহ॥
মুসলিম স্বর্ণযুগের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং ইতিহাসের নায়ক ইবনে সিনা; পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন। তার নাম শোনেননি এমন কেউ নেই। এ ক্ষুদ্র পরিসরে সংক্ষেপে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এ জ্ঞানীর জীবন আলোচনা-পর্যালোচনা করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। তাঁর জীবনের কতিপয় বিভাগে সামান্যতম নাড়া দিয়ে একটু জানার চেষ্টা করি। ইবনে সিনা সকল জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। জ্ঞানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। মধ্যযুগীয় জ্ঞানের ভিত্তি স্থাপনে ইবনে সিনার অবদান ছিল অপরিসীম। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি, তাই তাঁকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ইবনে সিনা শুধু একজন চিকিৎসকই ছিলেন না, তিনি একজন গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও দার্শনিকও ছিলেন!
আরবরা তাকে ‘আল-শায়খ আল-রাঈস’ তথা ‘জ্ঞানীকুল শিরোমণি’ বলে ডাকত। আর পশ্চিমে তিনি আভিসেনা নামেই বেশি পরিচিত। যিনি সারা জীবন কাটিয়েছেন শুধুমাত্র জ্ঞানের সাধনায়। তার কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি বিশ্বের অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তিতে পরিণত হন।
প্রথম জীবন : ইবনে সিনা ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বুখারার খারমাতায়েন জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, যা এখন উজবেকিস্তানে অবস্থিত। তার পুরো নাম আবু আলী হোসেন ইবনে আবদুল্লাহ আল হাসান ইবনে আলী ইবনে সিনা। তিনি সাধারণত ইবনে সিনা বা আবু আলী সিনা নামে পরিচিত। ইবনে সিনা নামের অর্থ সিনার পুত্র হলেও তার পিতা আব্দুল্লাহ এবং মাতা সিতারা বিবি। ইবনে সিনার পিতা বুখারার সামানিয়ান ....বিস্তারিত
শরীরের চর্বি দূর করে ৫টি পানীয়
সোনার বাংলা ডেস্ক : শরীর ও পেটের চর্বি নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন- এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এর জন্য প্রধানত দায়ী অনিয়মিত আর অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত ঘুম, শরীরচর্চার অভাব, তথা অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল ও খাবার। তাই পেটের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য লাইফ স্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি। সেই সাথে পান করতে পারেন কিছু উপকারী পানীয়। যেগুলো পান করলে পেটের চর্বি কমানোর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয়।
১. পালংশাকের জুস : পালংশাকের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কম ক্যালোরি ও প্রচুর ফাইবারসমৃদ্ধ এ শাক আপনার মেদ কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। এই শাকের প্রচুর আয়রনও থাকে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। পালংশাকের জুস তৈরি করে খেলে তা আপনাকে পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
২. শসা ও মাল্টার জুস : শসায় ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এবং মাল্টা ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ। এ দুই উপকরণ একসঙ্গে জুস করে খেলে তা আপনাকে একগুঁয়ে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। তাই পেটের মেদ কমাতে এ জুস তৈরি করে খেতে পারেন।
৩. লাউয়ের জুস : লাউয়ে উচ্চ ফাইবার এবং কম ক্যালোরি থাকায় এটি পেটের চর্বি কমানোর জন্য আদর্শ একটি খাবার। লাউয়ের জুস তৈরি করে খেলে এ উপকার পাবেন। পানীয়টি আরও সুস্বাদু এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ করতে এ রেসিপিটিতে আনারস এবং কমলাও যোগ করতে পারেন।
৪. আমলকীর জুস ....বিস্তারিত