নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে : মাওলানা আবদুল হালিম


১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জুলাই সনদ দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এক ঐতিহাসিক দলিল। নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের মাধ্যমে এ সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ জনগণের অংশগ্রহণ ও মতামতের মাধ্যমেই জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছরের দুঃশাসন, জুলুম ও নির্যাতনের অন্ধকার অতিক্রম করে আজ নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এ যাত্রায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জনগণের পাশে থেকে ইসলামের আদলে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। ইসলামের আলোকে গঠিত ইনসাফভিত্তিক সমাজই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও মুক্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম। আর আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই আদর্শই বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছে জামায়াতে ইসলামী।
মাওলানা হালিম আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজকের দিনে আগামী দিনের সম্ভাবনা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক। অতীতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারা জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ গভীর সংকটে পড়েছে। জামায়াত জনগণের আস্থা ও ঐক্যের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছে।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-কচাকাটা-ভাঙ্গামারী) আসন এবং কুড়িগ্রাম-২ (সদর-রাজারহাট-ফুলবাড়ী) আসনের উদ্যোগে আয়োজিত পৃথক দুটি দায়িত্বশীল সমাবেশ (পুরুষ ও মহিলা) অনুষ্ঠিত হয়। এ দুটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণ আগের তুলনায় অনেক সচেতন হয়ে উঠেছে। ইসলামপ্রেমী জনগণ এখন এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রত্যাশা করছে যেখানে সকল মতামত ও শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, জামায়াতসহ ৭টি ইসলামী ও সমমনা দল ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয়ভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ দলসমূহের ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি আদায়ের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি উৎসবমুখর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।