বিচার ও সংস্কার করেই নির্বাচন


৪ জুন ২০২৫ ১০:৫২

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
আগামী বছরের ৩০ জুনের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকবে না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে এমন সাফ ঘোষণা দেওয়ার পরই জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে নাকি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেÑ এ নিয়ে সরকার ও দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যে বিরোধ অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের শীর্ষমহল ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় অবস্থানে আর বিএনপির শীর্ষনেতারা বলছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। এ বিরোধীপূর্ণ অবস্থায় দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রয়েছে মধ্যবর্তী কক্ষপথে। জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, আগামী রোজার আগে ভোট করতে চাইলে ফেব্রুয়ারি ২০২৬ আর রোজার পরে চাইলে এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোও সম্পন্ন করতে হবে সরকারকে। এদিকে জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বাদানকারী ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ একসঙ্গেই করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ মনে করছেন, বিচার দৃশ্যমান হওয়া জরুরি। এরপর সংস্কারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাও সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার না করে যেনতেন নির্বাচন দিলে জনআকাক্সক্ষা পূরণ হবে না।
গত মে মাসের শুরু থেকেই দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৪ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারকাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে একমত হয় উপদেষ্টা পরিষদ। অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে বলে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের দিনেই (২৪ মে) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরদিন ২৫ মে ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে দলগুলোর বক্তব্য শোনেন তিনি। বৈঠকে দলগুলো গণহত্যার বিচার, সংস্কার এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে জোরালোভাবে দাবি জানায়। সরকারের পক্ষ থেকেও এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মনোভাবের কথা জানানো হয়। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আগামী ৩০ জুনের (২০২৬) পর এ সরকার একদিনও ক্ষমতায় থাকবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনদিন পর বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে জোরালো দাবি জানানো হয়। দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গত ২৭ মে বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পরও সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না আসায় বিএনপি হতাশ। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটিই একই সঙ্গে চলতে পারে। এরপর গত ২৮ মে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশে সব সিনিয়র নেতাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার কথা জানান। সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। এ বিষয়ে এ প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই। জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গঠিত ট্রাইব্যুনালে যে বিচারকাজ চলছে, তা চলমান থাকবে। তিনি বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে আমরা সংস্কার কাজও চালিয়ে নেবো।
বিএনপির এ নেতার বক্তব্যের অনেকটা বিপরীত বক্তব্য এসেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুমের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবে, এ প্রতিশ্রুতিতে জনগণ বিশ্বাস করে না। অতীতে বহু দল ক্ষমতায় গেছে, কিন্তু কেউই প্রকৃত সংস্কারের দিকে গুরুত্ব দেয়নি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন একটি ভিত্তি তৈরি করবে, যার ওপর দাঁড়িয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা অভূতপূর্ব ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের জায়গাগুলো অন্য একটি দল দখল করে নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদ এখনো বহাল তবিয়তে আছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫৩ বছর পর ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয়ী ইসলামের সৌন্দর্য জনগণের সামনে তুলে ধরার সুযোগ এসেছে। জনগণও পূর্বের রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। দেশে ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক, সেটা জনগণ চায় না। জনগণ অতীতের খুন-হত্যা ও দুর্নীতির বিচার চায়। খুনিদের কোনোভাবেই যেন পুনর্বাসনের সুযোগ না দেয়া হয় এবং পতিত সরকারের দোসররা যেন ফিরে আসতে না পারে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা হয়েছে তার বিচারকাজ শেষ করতে হবে। এরপর সরকার যেসব বিষয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সেসব সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যেনতেন নির্বাচন করলে জনআকাক্সক্ষা পূরণ হবে না। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে মানুষে যে আকাক্সক্ষা নিয়ে গুলির মুখে রাজপথে নেমেছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে মানুষের সেই আকাক্সক্ষা পূরণ হবে না।
জুলাই-আগস্ট রাজপথে আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার, সংস্কার এরপর নির্বাচনের দাবি জামায়াতে ইসলামীর। গত ৩১ মে দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরে দলীয় এক সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আগে বিচার হবে, এরপর সংস্কার হবে, এরপর হবে নির্বাচন।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সুবিচার কায়েম করার জন্য বিচার ব্যবস্থাকে মজবুত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘যারা বিচার চায় না, যারা শুধু তাড়াতাড়ি নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না, তাদের কথায় নির্বাচন হবে না। আগে রিফরমেশন তারপর নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী।’
দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান ‘লাউড এন্ড ক্লিয়ার’। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলেছি, জুলাই গণহত্যার যে বিচার শুরু হয়েছে, তা জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে, যাতে জনগণ বুঝতে পারে যে বিচার হচ্ছে এবং সরকার সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। বিচার ও সংস্কারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সরকারকে বলা হয়েছে, রমজানের আগে ভোট করতে হলে আসছে ফেব্রুয়ারিতে আর রোজার পর করতে চাইলে এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে আগেই সরকারকে এ বিষয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত আমলের অপরাধের বিচার এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের আকাক্সক্ষা পূরণের মাধ্যমেই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিক সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে উপনীত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সম্প্রতি দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনÑ এ তিনটিরই রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এবং জনমনে আস্থা তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করব এবং একটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে যাব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সম্প্রতি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা সংস্কারও চাই আবার নির্বাচনও চাই। তিনি বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন এ নিয়ে একটি মুখোমুখি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, সংস্কার এবং নির্বাচন কোনো মুখোমুখি ব্যাপার নয়। নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার আবার সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দরকার।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান না এবং তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আর বাড়াতে চান না। এপ্রিলের পর নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন। মান্না বলেন, দেখতে হবে কোনটা সংস্কার করলেই না হয়, সেক্ষেত্রে যদি সময়ক্ষেপণ হয় নির্বাচন বিলম্ব হবে। তবে নির্বাচন এপ্রিলের পর কোনোভাবেই আর গড়াবে না বলে উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত সব কাজগুলো সমানতালে চালিয়ে নেওয়া। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ রেখে সেপ্টেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে গেলে নানা সমস্যা দেখা দেবে। রোজা, ঈদ, এসএসসি পরীক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষার করণে প্রার্থীরা ঠিকমতো জনসংযোগ করতে পারবেন না। সে কারণে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন করতে চাইলে প্রার্থীদের গণসংযোগসহ নির্বাচনী কাজ করতে অসুবিধায় পড়বে। এ কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারলেই ভালো।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক অংশের সভাপতি আবু জাফর কাশেমী বলেছেন, সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মৌলিক সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচার সম্পন্ন হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে তার দল।