বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
২৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৩৭
গত ২৪ অক্টোবর বিভিন্ন সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত খবর তুলে ধরা হলো বিবিস বাংলার সৌজন্যে।
মানবজমিনের প্রথম পাতার খবরের শিরোনাম— বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
এটি ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের মন্তব্য, যিনি ঢাকায় পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত হয়েছেন।
সিনেট শুনানিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে রাখা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। দেশটি তার বৃহৎ প্রতিবেশীদের ছায়ায় পড়ে আছে। এ কারণে বাংলাদেশ তার প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ সব সময় পাচ্ছে না।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এটি কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে। বাংলাদেশবাসী একটি নতুন পথ বেছে নেবে। একটি উজ্জ্বল এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের ওই যাত্রাকে পুরোপুরি সমর্থন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন।
অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির— দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ এটি।
এতে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী অতীতে যত ভুল করেছে তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন (কোবা) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ক্ষমা চান।
এ সময় শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং আমি ইতোমধ্যেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। কিছুদিন আগে এ টি এম আজহার যখন জেল থেকে মুক্তি পেলেন, তখনও আমি এ কথাটি জানিয়েছি।’
তার ভাষ্য হচ্ছে, ‘আমরা ভুল করিনি–এটি বলা কেমন হবে? আমাদের ১০০টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৯৯টি সঠিক, কিন্তু একটি হয়তো বেঠিক হতে পারে। সেই একটি ভুল সিদ্ধান্তও যদি জাতির ক্ষতি করে, তবে আমার কোনো দোষ নেই বললে হবে না। সেই অবস্থায়, যদি আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য জাতির ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে তার জন্য ক্ষমা চাইতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।’
Chinese firms turn to Bangladesh as US tariffs squeeze homegrown exporters, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপে বাজার সংকুচিত হওয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠাগুলো বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে। ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান সংবাদ এটি।
এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপ ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন খরচ ও শ্রমিকদের বেতন কম এবং ইউরোপের বাজারে শুল্ক-মুক্ত প্রবেশের সুবিধা থাকায় দেশটির কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যা তাদের জন্য খুব লাভজনক, একইসাথে চীনের পণ্যে কঠোর শুল্কের সাথে সম্পূর্ণ বিপরীতও।
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে কয়েক মাস আগে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেখানে ৩৬ শতাংশ; সেখানে চীনের ক্ষেত্রে এই হার ৫০ শতাংশ, যা আরও বাড়তে পারে।
জানা যাচ্ছে যে, চীনা বিনিয়োগকারীরা কেবল নতুন কারখানা স্থাপন করে নয়, বর্তমানে থাকা কারখানা ভাড়া বা অধিগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা তাদেরকে দ্রুত উৎপাদন শুরু করার সুযোগ দিচ্ছে।
সম্প্রতি চীনের কয়েকটি ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান ঢাকায় তাদের লিয়াজোঁ অফিসও খুলেছে।
এদিকে, গত এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ২০টিরও বেশি পোশাক কারখানায় চীনের বিনিয়োগ আসার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির জেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান।
পত্রিকা: ‘রাজনৈতিক সংঘাতে দেশে এক লাখ ৫৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত’
২৪ অক্টোবর ২০২৫
রাজনৈতিক সংঘাতে দেশে এক লাখ ৫৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত— সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, সংঘাত ও বিরোধী মত দমনের কারণে বাংলাদেশে ২০২৪ সালে এক লাখ ৫৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থা দুইটি বলছে, বাংলাদেশে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ছিল চার লাখ ২৬ হাজার।
আইডিএমসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির যে হিসাব (পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার), তার মধ্যে ১৯৭০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাহাড়ে বাস্তুচ্যুত দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষও অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই সংখ্যা বাদ দিলে গত ১৬ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার।
তবে গত বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যাটি বেশ বড়।
ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
এর মধ্যে রয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা।
তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি তুলেছে দলটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়।
দলটির আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হচ্ছে— বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়া; পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে সিসি ক্যামেরা রাখা; প্রতি জেলা, উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালু।
এছাড়াও প্রস্তাবের মধ্যে আছে, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে জানানো; ভোটে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়— এমন অপপ্রচার রোধ ইত্যাদি।
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
কোনও দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে, এমন বিধান যুক্ত করেই গতকাল বৃহস্পতিবার এই অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত খবর পত্রিকাগুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আজ।
জোটের প্রার্থী হলেও নিজ দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার বিষয়টিকে জামায়াত, এনসিপি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তবে এই সংশোধনী না মানার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
এ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা, ছোট দলগুলো জোটভুক্ত হয় শরিক বড় দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুবিধার জন্য। অথবা নিজস্ব প্রতীকেও করতে পারে। এটা থাকা উচিত। তা না হলে ছোট দলগুলো জোটভুক্ত হবে কেন?
এদিকে, অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
এছাড়া, পলাতক আসামিদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না রাখা, প্রার্থীদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, কোনও আসনে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা রাখা, ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কিত বিধান বিলুপ্ত, ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা বা অনুদান ব্যাংকে লেনদেনসহ আরও কিছু সংশোধনী রয়েছে অনুমোদিত খসড়ায়।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম— জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন কে?
এই খবরে বলা হয়েছে, আন্তোনিও গুতেরেসের দায়িত্বের মেয়াদ আরও এক বছরের বেশি সময় থাকলেও জাতিসংঘের মহাসচিব কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত জোরালোভাবে তিনজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে। তারা হলেন— চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে, আর্জেন্টিনার নাগরিক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি এবং কোস্টারিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান।
এছাড়া আরও কয়েকজনের সম্ভাবনা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ, যার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অবশ্য বলছে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি গুজব।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু না থাকলেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম আলোচনায় থাকার বিষয়টি পুরানো এবং তার নাম আলোচনায় আসা অস্বাভাবিক নয়।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘ মহাসচিব পদের প্রার্থী নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার একটি খবরের শিরোনাম— উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের গুঞ্জনের মধ্যে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের থেকে জানা গেছে, নিষ্পন্ন না হওয়া সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার দফতরে ‘তাড়া’ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ‘বিতর্কিত’ ও ‘দলীয়দের’ বাদ দিতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।
সব মিলিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ নতুন করে গঠন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করে একাধিক উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) প্রায় অভিন্ন ভাষায় জানিয়েছেন, ‘উপদেষ্টা স্যাররা আর কদিনই বা আছেন? আমাদের এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। যেকোনো সময় আমাদের চাকরি নট হয়ে যাবে!’