সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দিয়েছে

দেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বড় বন্যার আশঙ্কা!

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে ফসলের মাঠ। গবাদি পশু-পাখি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে প্রচুর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা মোকাবেলায় সরকার সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এবার আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আগাম বন্যা হতে পারে।

কুড়িগ্রাম : টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও সদর উপজেলার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে পাট, সবজি, কলাসহ আমন বীজতলা। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এরশাদুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পানি নামতে না নামতে আবারও বন্যার পানি বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় ছেলে-মেয়ে ও গবাদিপশু নিয়ে মানুষজন আবারও দুর্ভোগে পড়েছে। গত ১৮ জুলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান, ১৭ জুলাই থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বন্যা দেখা দেওয়ায় বন্যা কবলিত মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন। কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমোরের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

নীলফামারী : গত দুইদিনের ভারি বর্ষণ আর উজানের ধেয়ে আসা পানিতে ফুলে ফেঁপে আবারো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে তিস্তা। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ চিত্র ছিল ১৭ জুলাই। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। এই নিয়ে বর্ষা মওসুমে তিস্তা তিনবার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। সময়ের সাথে সাথে তিস্তা ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষের মাঝে। ইতোমধ্যে শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে উঠেছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ১৬ জুলাই রাত থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। রাত ৩টায় তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। ১৭ জুলাই সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেমি)। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি সøুইচগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল এখন হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, ছাতুনামা, ঝাড় সিংহের চর, কিসমত ছাতনাই, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী, দোহলপাড়া, চরখড়িবাড়ী, ভাসানীর চর, টাবুর চর, ভেণ্ডাবাড়ী, বাইশপুকর, ছোট খাতা ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেকে রাতেই উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। অপরদিকে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একতার বাজার, চরখড়িবাড়ী, ঝিঞ্জির পাড়া, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের বসত বাড়ি হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে ওই এলাকার ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। বর্ষা মওসুমের শুরুতেই তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে হাঁটু পানি উঠেছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করছেন।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে ঘাঘট-করতোয়া, তিস্তা-যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্লাবিত হওয়া এসব গ্রামের অনেকের বসতবাড়ির লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শত শত একর ফসলি জমি, পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত বীজতলা তলিয়ে গেছে। জেলার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, মদনের পাড়া, আমদির পাড়া, কাঠুয়া, গোবিন্দপুর, জটিরপাড়া, থৈকরের পাড়া, চিনিরপটল, পালপাড়া, চকপাড়া, পবনতাইর, কু-পাড়া, চানপাড়া, গোবিন্ধি, বাঁশহাটা ও মিয়াপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কাউয়াবাঁধা, পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর, চন্দনস্বর, পশ্চিম খাটিয়ামারী, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, এরেণ্ডাবাড়ী ইউনিয়নের তিনথোপা, পাগলার চর, বুলবুলি, দক্ষিণ হরিচণ্ডি, উত্তর হরিচণ্ডি, ঘাটুয়া, দক্ষিণ সন্যাসী, আনন্দবাড়ী, পশ্চিম ডাকাতির চর, আলগার চর, পশ্চিম জিগাবাড়ী, ধলি পাটাধোয়া, গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আ ক ম রুহুল আমীন জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। শাক-সবজি, পটল, মরিচ ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

লালমনিরহাট : টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার নি¤œà¦¾à¦žà§à¦šà¦²à§‡à¦° ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, পাটগ্রাম উপজেলার ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতি ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা কলতারপাড় চরাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পাউবো সূত্র জানায়, ভারত গজলডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গত ৩ দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। পানি গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হাতিবান্ধা অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয়া হয়েছে। তিস্তার পানিতে জেলার ৫ উপজেলার চর এলাকাগুলোর হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ে। অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবগুলো গেট খোলা রাখা হয়েছে। পানি পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব নদ-নদীর পানি একযোগে বাড়ছে। পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি আরও বাড়তে পারে। প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার আবহাওয়ায় গত বছর ‘এল নিনো’ নামের এক বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক এলাকাজুড়ে খরা দেখা দিয়েছিল। এ বছর চলতি মাস থেকে ওই এলাকায় এল নিনোর বিপরীতে ‘লা নি-না’ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মাঝারি বন্যা হতে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ু ও আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করে এমন সংস্থাগুলো বলছে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্র দ্বীপমালা থেকে শুরু করে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বৃষ্টি বেশি হবে। এর ফলে এসব এলাকায় বন্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট প্রেডিকশন চলতি মাসে বৈশ্বিক আবহাওয়ার ধরন নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে লা নি-না শক্তিশালী হয়ে ওঠায় প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। তাই মওসুমি বায়ু ভূখণ্ডের দিকে তীব্রগতিতে এগোচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন এলাকাগুলোয় বৃষ্টি ও বন্যা বেশি হবে।

কুড়িগ্রাম : সম্প্রতি কুড়িগ্রাম সফর করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘এবার আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বন্যা মোকাবেলায় সরকার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। মন্ত্রী জানান, খাদ্যের কোনো অভাব নেই, প্রস্তুতিরও অভাব নেই। আমরা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারব।’ মন্ত্রী মায়া বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সিরাজগঞ্জসহ এ অঞ্চলের ৫ থেকে ৭টি জেলা বর্ষা মওসুমে প্রায় সময় প্লাবিত হয়ে পড়ে। মানুষ খুব দুঃখ-কষ্টে থাকে। তাই আমরা এবার চিন্তা করেছি বাংলাদেশের ১৭টি থেকে ২১টি জেলা, যারা বন্যা কবলিত হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে যারা আক্রান্ত হয়। সেই সব জেলাকে আমরা আগাম প্রস্তুত করে নেব। বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস হলে আমরা যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি।’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।