শাহজাদপুরের ১০টি ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

বিএনপিÑজামায়াত প্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : আগামী ২৮ মে শাহজাদপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে গত শুক্রবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে নির্বাচনী এলাকাগুলোর দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। পোস্টার দিয়ে ছেয়ে ফেলা হচ্ছে রাস্তাÑঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো। এ বছর ১০টি ইউনিয়নে মোট ৩৯জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯০টি ওয়ার্ডে ৩৫৭ জন পুরুষ সদস্য এবং সংরক্ষিত ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৬জন মহিলা সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনেও বেশ কয়েকজন প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন প্রার্থিতা। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিএনপিÑজামায়াত প্রার্থীদের হুমকি, ধামকি প্রদান করে আসছে। এবং প্রচার প্রচারনায়ও ব্যাপক বাঁধা প্রদান করছেন বলে জানা গেছে। প্রকাশ্যে বিএনপি জামায়াত প্রার্থীদের পক্ষে কেউ প্রচারনা চালাতে পারছেন না। ফলে নিরবেই প্রার্থীরা  প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে ব্যাপক জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের কারণে আগামী ইউপি নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। প্রার্থী ও ভোটাররা শঙ্কায় রয়েছেন ইউপিতে ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে।  গত ইউপি নির্বাচনে জামায়াত দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার কমপক্ষে ৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে শাহজাদপুরের ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে  চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ৮টিতে বিজয়ী হয়। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৩টিতে বিজয়ী হয়। সর্বশেষ আইনি জটিলতায় বন্ধ থাকার পর অবশিষ্ট ২টি ইউনিয়নে ২০১৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে  ২টিতেই আওয়ামী লীগ সমির্থত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনেও ১১টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল। অপরদিকে বিএনপি পৌর নির্বাচনে হারলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চায়। শাহজাদপুরে ১০টি ইউনিয়নে যারা চেয়ারম্যানপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হচ্ছেন :

কায়েমপুর ইউনিয়ন :  হাসিবুল হক হাসান (আ’লীগ),  বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম ঝুনু (স্বতন্ত্র),  জামায়াতের মাওলানা আব্দুল লতিফ (মটরসাইকেল), জহুরুল ইসলাম রানা (স্বতন্ত্র আ’লীগ)

গাড়াদহ ইউনিয়ন : বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার (বিএনপি)

নরিনা ইউনিয়ন : ফজলুল হক (আওয়ামী লীগ)  ফজলু, মন্ত্রী (স্বতন্ত্র) হযরত আলী (বিএনপি), বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম টেক্কা (স্বতস্ত্র) আফতাব উদ্দিন ( ইসলামী আন্দোলন) শাহাদত হোসেন (স্বতন্ত্র)

পোতাজিয়া ইউনিয়ন :  মোহাম্মদ আলী বেপারী (আওয়ামী লীগ) আবু তালেব মণ্ডল (বিএনপি) মীর্জা আলী আশরাফ বাচ্চু (জাসদ ইনু)

রুপবাটি ইউনিয়ন : রফিকুল ইসলাম শিকদার (আওয়ামী লীগ), গোলাম সারোয়ার (বিএনপি) হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র)

গালা ইউনিয়ন :  আব্দুল বাতেন (আওয়ামী লীগ), মো. শামসুল হক (বিএনপি) জামায়াতের মাষ্টার আব্দুস সাত্তার ( ঘোড়া), শামসুল হক (স্বতন্ত্র), আব্দুল মান্নান (স্বতন্ত্র)

সোনাতুনী ইউনিয়ন :  লুৎফর রহমান (আওয়ামী লীগ) রুবেল রানা (বিএনপি), শামমুসুল হক (স্বতন্ত্র)

বেলতৈল ইউনিয়ন : ফেরদৌস হোসেন ফুল (আওয়ামী লীগ), তোফাজ্জাল হোসেন (ধানের শীষ), ওয়ালিদ হোসেন (জাপা), রেজাউল করিম রবিন (স্বতন্ত্র)

জালালপুর ইউনিয়ন : সুলতান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ) আব্দুর রশিদ (বিএনপি) মাওলানা জামায়াতের আনোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র),আব্দুর রহমান (স্বতন্ত্র)

খুকনী ইউনিয়ন : মুল্লুক চাঁদ (আওয়ামী লীগ) গাজী দিলির আহমেদ (বিএনপি)   মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)

কৈজুরী ইউনিয়ন : সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) কায়েম উদ্দিন (বিএনপি)

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই জমে উঠবে প্রচার প্রচারণা। তবে স্বতন্ত্র ও বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।