সংবাদ শিরোনামঃ

অর্থ লুটের মহোৎসব ** ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের ** সারাদেশে গুম হত্যা আতঙ্ক ** ড. মাসুদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিল ** প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : খালেদা জিয়া ** পানির জন্য হাহাকার ** ক্ষমতার নিশ্চয়তা পেলেই আগাম নির্বাচন ** তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর ** তেলের দাম কমানোর নামে প্রহসন ** সরকার দায় চাপানোর কৌশল নিয়েছে ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে ** ওনারা বললে দোষ হয় না! ** মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কি সুদূর পরাহত? ** পার্বতীপুরে পানির জন্য হাহাকার ** টাঙ্গাইলের ছয় উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই! ** কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ বৈশাখ ১৪২৩, ২১ রজব ১৪৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

মো. আব্দুর রহিম, পতœà§€à¦¤à¦²à¦¾ (নওগাঁ) : আজ থেকে ১৫ বছর আগের কথা। অভাব অনটনের সংসার। এর মধ্যেই সাহস করে হ্যাচারির ব্যবসা শুরু করি। সংসারের অভাব মোচন সন্তানের ভরণ পোষণ, স¦à¦¾à¦®à§€à¦•à§‡ সাহায্য করা ছিল আমার স্বপ্ন। চারিদিকে তখন আলোচনার ঝড়। নারীরা আবার কিভাবে হাসের বাচ্চা ফুটাবে? কিভাবে সম্ভব ! তবে হাজারো কথা উপেক্ষা করে ¯à§à¦°à¦¾à§‡à¦¤à§‡à¦° বিপরীতে লড়াই করে আজ তিনিই এক সফল নারী। একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তিনি আর কেউ নন। নওগাঁর  পতœà§€à¦¤à¦²à¦¾ উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামের ফিরোজা বেগম। সততা, প্রবল ইচ্ছা শক্তি, কর্ম আর পরিশ্রমের মাধ্যমে হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায়ে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। তিনি স্বামী সন্তানদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে সহযোগিতা নিয়ে আজ তিনি সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শুধু নিজের জন্যই নয় তার হাত ধরে ৩০ জন নারী-পুরুষের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাছেন। তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। তার দেখে এলাকায় আরো ছয়টি একই ধরনের হ্যাচারি গড়ে উঠেছে বলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ফিরোজা বেগম জানান, ২০০২ সালে মাত্র ১০ হাজার টাকার যোগাড় করে হাসের ডিম ক্রয় ও তুষ পদ্ধতিতে নিজ বাড়িতেই হ্যারিকেনের তাপ দিয়ে হাসের বাচ্চা ফুটানো শুরু করি। হ্যাচারিতে ডিম সেডিং দেওয়া, ডিমের পরিচর্যা করাসহ সব কাজ নিজেই করতাম। রাত দিন পরিশ্রমের ফলে এ সফলতা পেয়েছি। হ্যাচারির পরিধি যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে জনবল। বর্তমানে হ্যাচারিতে প্রতি মাসে গড়ে ২৫ হাজার দেশী-বিদেশী হাসের বাচ্চা ফোটানো হয়। প্রতি পিস হাসের বাচ্চা দেশি ৩০ টাকা ও বিদেশী ২৫ টাকায় বিক্রয় করে থাকেন। প্রতি মাসে গড়ে  সাত লাখ টাকা সমমূলে বাচ্চা বিক্রয় করে তার প্রায় এক লাখ টাকা লাভ হয়। প্রতি দিন সকাল বেলায় বাইসাইকেলযোগে ফেরি করে পাইকারেরা বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে বাচ্চাগুলো বিক্রয় করে থাকেন।

গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি পরিবারে কম বেশি হাঁস পালন করে থাকেন। তাই হাঁসের বাচ্চার চাহিদা বেশি। যা পরবর্তীতে ডিম ও মাংসের যোগান দিয়ে থাকে। আর এই সফলতা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবক যুবতিরা উৎসাহিত হয়ে হাসের ডিম ফোটানোর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। প্রায় ১৫ বছর আগেও এই পরিবারটি আর্থিক অবস্থা ছিল খুব নাজুক। এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘরে ফিরোজা বেগম তার স্বামী বাচ্চুসহ তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ফিরোজা বেগমের পেশা হ্যাচারিতে কাজ করা আর স্বামী ক্ষুদ্রালোকে বাচ্চা ক্রয়-বিক্রয় করা। দুইজনে আয় দিয়ে সংসারের ভরণ পোষণের ব্যয় নির্বাহ করতে তাদের কষ্ট হতো। পুঁজির অভাবে ফিরোজা নিজের ব্যবসাটিকে ও আশানুরুপ সম্প্রসারণ করতে পারছিল না। এ অবস্থায় নিজের বাচ্চা ফোটানো ব্যবসা পুঁজি সরবরাহের জন্য নিজের গয়না বিক্রয় করে পাঁচ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। প্রথমে অবস্থায় ১০০ ডিম বসানো হয় হ্যাচারিতে। তা ক্ষুদ্র আকারের হলেও ব্যবসা সম্প্রসারণে যথেষ্ট পরিমাণে আবদান রাখতে সক্ষম হয়। ২০০২-২০১২সাল পর্যন্ত সংসারে ব্যয় নির্বাহ করে বেশ অর্থ সঞ্চয় হিসাবে তার কাছে জমা থাকত।

শুরু থেকেই ফিরোজা হ্যাচারিতে ফোটানো বাচ্চা ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায় বলে স্থানীয়দের অনেকেই জানায়। তার সুনাম ধিরে ধিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পরে। চাহিদা অনুযায়ী বাচ্চা সরবরাহ করতে গিয়ে ফিরোজা বেগম তিন ছেলে সন্তান, ফিরোজ হোসেন, ফারুক ও ফারহান ওই উদ্যোগের সাথে সামিল হয়েছে। বর্তমানে ছয় লাখ টাকা পুঁজিসহ স্বামী ও ছেলেদের অকান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি বাচ্চা উৎপাদন ক্ষেত্রে একটি  সুপরিচিত নাম। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে সত্বাধীকারীনি ফিরোজা বেগম আট লাখ টাকা ব্যয়ে নিজ বাড়িতে একটি সেমি-পাকা ঘর তৈরি করেছেন। যার সিংহভাগ অর্থের যোগান এসেছে  সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের মুনাফা থেকে। আজ  থেকে এদশক আগেও যে পরিবারটি এক হাজার টাকার বেশি ব্যয় করার সম্ভব ছিল না স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নিজ গ্রামে নিজ মালিকানায় একটি বাসস্থান তৈরি সত্যিই স্বপ্নের মতো মনে হয় বলে এলাকাবাসীর অনেকেই জানায়। নিজের দৃঢ় মনোবল, কঠর পরিশ্রম ও ইচ্ছা শক্তির জোরে স্বপ্নকে  বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

এ বিষয়ে ফিরোজা বেগমের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি স্বামী ও তিন ছেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, হাঁস ও মুরগি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো ও পালনের জন্য সমাজে সর্বস্তরে স্বল্প সুদে ঝণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে রফতানি করা সম্ভব বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।