সংবাদ শিরোনামঃ

নতুন কৌশলে আন্দোলনের মাঠে ২০ দলীয় জোট ** সতর্কতার সাথে এগুচ্ছে বিএনপি ** ভরাডুবির আশঙ্কা আ’লীগে ** নেতানিয়াহুর জয় মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট ঘনীভূত করবে ** গণতন্ত্র ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না ** স্বাধীনতা হোক অর্থবহ ** আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মার্কিন দলিলপত্র ** আগৈলঝাড়ায় খাল বিল বেদখল ** গ্রেফতার নির্যাতন উপেক্ষা করে সারাদেশে হরতাল অবরোধ অব্যাহত ** রাজনীতি ও সহিষ্ণুতা ** আমাদের স্বাধীনতার ৪৪ বছর **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ চৈত্র ১৪২১, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৩৬, ২৭ মার্চ ২০১৫

জাকারিয়া জামান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত অস্ত্র আর লোকবল নিয়ে যুদ্ধ করতে হয়েছিল বাঙালির। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশকে ১১টি যুদ্ধ সেক্টরে ভাগ করা হয়। ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে যুদ্ধ অঞ্চলের অধিনায়কদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন থেকেই বাংলাদেশকে ১১টি যুদ্ধ সেক্টরে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও তৎকালীন নোয়াখালী জেলার ফেনী মহকুমার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সেক্টর। এর দায়িত্ব পান মেজর রফিকুল ইসলাম। তাঁর আগে এই সেক্টরের নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান। কুমিল্লা জেলার অংশ, ঢাকা জেলা ও ফরিদপুর জেলার অংশ নিয়ে গঠিত ২ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পান মেজর খালেদ মোশাররফ। কুমিল্লা জেলার অংশ, ময়মনসিংহ জেলার অংশ, ঢাকা ও সিলেট জেলার অংশ নিয়ে গঠিত ৩ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পান মেজর কে এম সফিউল্লাহ। পরবর্তী সময়ে এ এম এন নূরুজ্জামান এই সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। সিলেট জেলার অংশ নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পান মেজর সি আর দত্ত। সিলেট জেলার অংশ ও ময়মনসিংহ জেলার অংশ নিয়ে গড়া ৫ নম্বর সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় ৬ নম্বর সেক্টর, যার নেতৃত্বে ছিলেন উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার। রংপুর জেলার অংশ, রাজশাহী জেলার অংশ, পাবনা জেলার অংশ ও দিনাজপুর জেলার অংশ, বগুড়া জেলা নিয়ে গঠিত সেক্টর ৭ নম্বরের দায়িত্ব পান মেজর নাজমুল হক। সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মেজর নাজমুল হক নিহত হওয়ার পর লে. কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান সেক্টর অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যশোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা ও বরিশাল জেলার অংশ নিয়ে গঠিত সেক্টর ৮ নম্বরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। ১৮ আগস্ট লে. কর্নেল এম আবুল মঞ্জুর এই সেক্টরের সেক্টর অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বরিশাল জেলার অংশ, পটুয়াখালী, খুলনা জেলার অংশ, ফরিদপুর জেলার অংশ নিয়ে গঠিত সেক্টর ৯ নম্বরের দায়িত্ব পান মেজর আবদুল জলিল। পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করেন মেজর জয়নুল আবেদিন। প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণে সমগ্র বাংলাদেশে নৌ-সেক্টর হিসেবে গঠন করা হয় ১০ নম্বর সেক্টর। ময়মনসিংহ জেলার অংশ, সিলেট জেলার অংশ ও রংপুর জেলার অংশ নিয়ে প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান এবং পরে মেজর আবু তাহেরকে সেক্টর কমান্ডার করে গঠন করা হয় ১১ নম্বর সেক্টর। এম হামিদুল্লাহ খান সর্বশেষ ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ১১টি সেক্টরের যোদ্ধারা প্রাণপণ যুদ্ধ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করে।

(কালের কণ্ঠ, ২৭ এপ্রিল ২০১৪)

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।