সংবাদ শিরোনামঃ

গণদাবি : লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ** লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ** শিগগিরই এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছে ২০ দল ** অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘোচাতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে ** কঠিন পরিস্থিতির মুখে ওবামা ** অবিলম্বে জঙ্গি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : ছাত্রশিবির ** সঙ্কট সৃষ্টির জন্য বিরোধী দল নয় আওয়ামী লীগই যথেষ্ট ** সার্ককে আরো কার্যকর করুন, জনগণের প্রত্যাশা দারিদ্র্যমুক্ত শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া ** জামায়াতের অগ্রযাত্রায় দিশেহারা সরকার ** পলক ফেরে না যেখানে ** অধ্যাপক গোলাম আযম : যিনি আমার শিক্ষক ** বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলিম উম্মাহর প্রয়োজন নিরপেক্ষ মিডিয়া ** ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন দালাল চক্রের হাতে ** বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪২১, ৪ সফর ১৪৩৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৪

সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা
কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেয়া বা বাধ্য করাকে আর যাই হোক গণতন্ত্র বলে না। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রই হচ্ছে নানা পথ ও মতের এক অপূর্ব সমন্বয় ও পরমতের  প্রতি শ্রদ্ধা। গণতন্ত্রে অবাধ বাকস্বাধীনতাও স্বীকৃত। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধ বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও দেশ পরিচালিত হবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে। কিন্তু অন্যান্য মত ও পথের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত হবে। আধুনিককালের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ লর্ড ব্রাইস গণতন্ত্রের সংজ্ঞায়ন করে বলেন, ‘A government in which the will of the majority of the qualified citizens rules …… say, at least three-fourth so that the physical force of the citizens coincides with their voting power.

আর দেশ পরিচালিত হয় শাসনতন্ত্র বা সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের সংজ্ঞায়ন করে দার্শনিক এরিস্টটল বলেছেন, ‘The way of life the state has chosen for itself. প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জেলিনেকের মতে, ‘Determines the supreme organs of the state, which prescribes their modes of creation, their mutual relations, their spheres of action and finally the fundamental place of each of them in their relation to the state.

কিন্তু এসব মহামনিষীদের আপ্তবাক্য থোড়ায় কেয়ার করছেন আমাদের দেশের সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে মুখে যা আসে তা বলা তাদের রীতিমত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আর এধারা আওয়ামী লীগের জন্য নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতা পরবর্র্তী সময়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নয় বরং বঙ্গবন্ধুর শাসন চলবে’। অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র দিয়ে কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়’। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘যেকোনোভাবেই হোক আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে’। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও বাকশাল কনসেপ্টে বিশ্বাসী’। মাত্র কয়েক দিন আগে শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু বলেছেন, ‘দেশ যেভাবে চলছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে থাকবে না’। সরকারের শীর্ষ নেতাদের এমন  বেফাঁস মন্তব্য আর যাহোক দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য মোটেই সহায়ক নয় বরং তা আমাদের অনাকাক্সিক্ষত গন্তব্যের দিকেই পথ নির্দেশ করে।

সাম্প্রতিক সময়ে এমন বেফাঁস কথা বলার ক্ষেত্রে অতীতের সকল সীমা অতিক্রম করেছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। তিনি তার অপছন্দনীয় সংবাদ প্রকাশ করায় এক হাত দেখিয়েছেন সাংবাদিকদের। তিনি তাদেরকে ‘খবীশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলেও গালমন্দ করেছেন। এ সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার কারণে তিনি সাংবাদিকদের আরেক দফা একহাত দেখিয়েছেন। কারও কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়া বা ক্ষোভ প্রকাশ করা বিক্ষুদ্ধ ব্যক্তির অধিকার। কিন্তু সে প্রকাশের সীমারেখা বা মাত্রা আছে। কিন্তু সমাজ কল্যাণমন্ত্রী তার ক্ষোভ এমনভাবে প্রকাশ করলেন যে, তা পত্রিকার পাতায় প্রকাশের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। সংবাদপত্রগুলো তার আপত্তিকর বক্তব্যগুলো ফাঁকা রেখেই কিছু অংশ প্রকাশ করেছে। অবশ্য সর্বাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে দেশবাসী বিষয়টি পুরোপুরিই জানতে পেরেছে। এতে জাতি হিসাবে আমাদের মাথা নিচু হলেও মন্ত্রীবর কিন্তু বীরদর্পেই তার মন্ত্রিত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তার কোনো মর্যাদাহানি ঘটেনি। যা হয়েছে তা সব আম জনতার।

সরকারের কতিপয় মন্ত্রী আছেন যারা সব সময় বিতর্ক সৃষ্টিতে পারঙ্গম এবং এটি তারা পছন্দ করেন বলেই মনে হয়। জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ আপিল বিভাগে বহাল হওয়ায় আইনমন্ত্রী এক মারাত্মক বেআইনি কথা বলে ফেললেন। তিনি আপিল বিভাগের আদেশ হতে না হতেই গণমাধ্যমের কাছে বললেন, ‘জামায়াত নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’। অথচ আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামায়াত নেতার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। এমন কি সাবেক আইনমন্ত্রী ও কথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যারিস্টার শফিক রহমানও স্বীকার করলেন যে, আইনমন্ত্রী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিতে পারে না।  অবশ্য থেমে নেই বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অতিকথন। তিনি ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঘুষকে বৈধ ঘোষণা দিয়ে ‘স্পিড মানি’ আখ্যা দিলেন। পিছিয়ে থাকলেন না সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। তিনি ১৯ নভেম্বর তার নির্বাচনী এলাকা মৌলভী বাজার সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে তাকে কলেজের আগের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা মূল্যায়ন না করার অভিযোগ করে অবলীলায় বলে ফেললেন, ‘ আগের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা গরু ছিলেন’। আর প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে গঙ্গাস্নান করিয়েছেন তা তো মোটেই কারো অজানা নয়। মূলত আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন সব বেফাঁস মন্তব্য অনেক আগেই শুরু হয়েছে, এখনো চলছে আর কাঁহাতক চলবে তা অবশ্য এখনই বলার সময় আসেনি। তবে অতিকথন ও বেফাঁস মন্তব্য করা যে আওয়ামী নেতাদের আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে বসেছে তা দিব্যি দিয়ে বলা যায়। তাই আম জনতাকে প্রায়ই বলতে কোনোা যায়, ‘এক কলসী ফাটা, আরেকটা ফুটা আর অন্যটার তো তলায় নেই’। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলতেই হবে।

হালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সাথে কোরাস গাইতে শুরু করেছেন তার প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন। তিনি যা বলেছেন তাতে দেশের সচেতন মানুষ না ভেবে পারে না। বিষয়টি কথার কথা মনে করার সুযোগ থাকতো যদি না সরকারের কোনো দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমন কথা বলতেন। তিনি ১৮ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জয়বাংলা লীগ আয়োজিত ‘স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, ‘একবার হলেও জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু বলতে হবে। তা না হলে এদেশে থাকতে দেয়া হবে না’। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলার কারণে মৃত্যুর পর এক ব্যক্তির মুখমণ্ডল পচেনি। তাই বিরোধী দলকে বলব-একবার হলেও বঙ্গবন্ধু বলুন, জয়বাংলা বলুন। না হলেও কেউ দেশে থাকতে পারবেন না। সবাইকে বাংলাদেশ ছাড়তে হবে’।

শেখ মুজিবকে মূল বৃক্ষ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘ যারা জয়বাংলা বলতে পারছে না, এখনো জিন্দাবাদের মধ্যে আছেন তাদের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। অন্তত একবার জয়বাংলা বলুন, জিন্দাবাদ ছাড়–ন। যারা আজকে জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু বলছেন না, তাদের সবাইকে একদিন এটা বলতে হবে। কারণ, তাদেরকে জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু বলতে বাধ্য করা হবে। তা না হলে তারা এদেশে থাকতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশ থাকবে, জয়বাংলা থাকবে। এখানে জিন্দাবাদের কোনো স্থান নেই। একদিন জিন্দাবাদ বিদায় হবেই হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে দেশ চললে আমি মন্ত্রী হতে পারতাম না। এখানে আসতে পারতাম না। আপনারাও এখানে আসতে পারতেন না। তিনি বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্ম দিয়েছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশ গড়ছেন, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্বীকার করে নিয়েছেন।

মন্ত্রীর কথার নির্যাসটা হচ্ছে দেশে আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী আদর্শ ছাড়া কিছুই থাকতে পারবে না। মূলত প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন ও শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’ একথারই প্রতিধ্বনি করেছেন মাত্র। মি. মানকিনের কথায় মোটেই অভিনবত্ব নেই। আওয়ামী লীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে রাষ্ট্রের সংবিধানকে দলীয় ইস্তেহারে পরিণত করলেও বহুদলীয় গণতন্ত্র এখনও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। অবাধ গণতন্ত্রে ভিন্নমত ও পথ থাকবেই এবং সকল মত-পথের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মতের ভিন্নতার কারণে কারো ওপর রাষ্ট্রীয় নিগ্রহ বা দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকী ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই পরিচয় বহন করে। আর প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ‘জয়বাংলা’র সাথে ‘কালেমা তাইয়্যেবা’র তুলনা করেছেন। এতে কী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়নি? তিনি জিন্দাবাদের পরিবর্তে জয়বাংলা বলার পরামর্শ দিয়েছেন, তাও তো আওয়ামী লীগের হীনম্মন্যতার অংশ। কারণ, শাব্দিক অর্থ একই শুধু ভাষার ভিন্নতা মাত্র। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী নিজেকে বড় করেন নি বরং ছোট করেছেন বলা যায়। আমাদের বাংলা ভাষাতে অনেক বিদেশী শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, উর্দু, চৈনিক ও ফরাসি এসবের অন্যতম। ক্ষেত্র বিশেষে এসব ভাষা থেকে আসা শব্দের কোনো যুতসই বাংলা প্রতিশব্দও নেই। কিছু ক্ষেত্রে থাকলেও তা এতো বহুল ব্যবহৃত যে, তা বাংলা ভাষা থেকে মুছে ফেলা মোটেই সহজসাধ্য নয়। চেয়ার, টেবিল, সাইকেল, গ্লাস, চিনি, পাউরুটি, লিচু ও পানি। এমন কী ‘ আওয়ামী লীগ’ শব্দটাও কথিত অচ্ছুত উর্দ্দু ভাষা থেকে এসেছে। তাই একই শব্দের ভাষান্তর নিয়ে মন্ত্রীকে সময় নষ্ট না করে অন্যকাজে মনোনিবেশ করা শ্রেয় ছিল বলে সচেতন মহল মনে করে।

মন্ত্রী বলেছেন ধর্মের ভিত্তিতে দেশ চললে নাকি তিনি মন্ত্রী হতে পারতেন না। কিন্তু মন্ত্রীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ধর্মের ভিত্তিতেই ভারত বিভাজিত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দু’টি পৃথক জাতিসত্ত্বার সৃষ্টি হয়েছিল। আর পাকিস্তান হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামের লাল-সবুজ পতাকা স্থান লাভ করেছিল। আর আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, গণতন্ত্র মানেই হলো সকল মত ও পথকে সম্মান প্রদর্শন করে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। মন্ত্রী মহোদয় কী সেকথা ভুলে গেছেন? আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী বললেন আর না বললেন সেদিকে খেয়াল না করে এদেশের আম জনতার কথা আমলে নিন। তারা কী বলেন জানার চেষ্টা করুন। তাতে আপনারাও বাঁচেন, দেশ ও জাতি মহাসঙ্কটের হাত থেকে রক্ষা পায়। জোর-জবরদস্তি ও বাধ্য করা কোনো অবস্থাতেই গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না।

ই-মেইল :  smmjoy@gmail.com 

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।