সংবাদ শিরোনামঃ

গণদাবি : লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ** লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ** শিগগিরই এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছে ২০ দল ** অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘোচাতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে ** কঠিন পরিস্থিতির মুখে ওবামা ** অবিলম্বে জঙ্গি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : ছাত্রশিবির ** সঙ্কট সৃষ্টির জন্য বিরোধী দল নয় আওয়ামী লীগই যথেষ্ট ** সার্ককে আরো কার্যকর করুন, জনগণের প্রত্যাশা দারিদ্র্যমুক্ত শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া ** জামায়াতের অগ্রযাত্রায় দিশেহারা সরকার ** পলক ফেরে না যেখানে ** অধ্যাপক গোলাম আযম : যিনি আমার শিক্ষক ** বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলিম উম্মাহর প্রয়োজন নিরপেক্ষ মিডিয়া ** ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন দালাল চক্রের হাতে ** বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪২১, ৪ সফর ১৪৩৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৪

তৌহিদুর রহমান
বিশাল গ্রাম আমাদের। প্রায় বারো হাজার লোকের বসবাস এ গ্রামে। কৈশোরকালের অনেক ঘটনা এখনো মনকে দোলা দেয়। একদম ছোটবেলায় শুনেছিলাম, গ্রামের কোনো এক নিরক্ষর পণ্ডিত লোক (সবাই তাকে পণ্ডিত বলে ডাকত) আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘শিক্ষিত লোকরা সব খারাপ! শিক্ষিত লোকরা সুদ খায়! শিক্ষিত লোকরা ঘুষ খায়! শিক্ষিত লোকরা মদ খায়! যা পায় তাই খায়!’ তার সে বক্তব্য আজ পুরোপুরি না হলেও সত্য বটে। গ্রামের অধিকাংশ লোক আজ শিক্ষিত হয়েছে! তবে সুশিক্ষিত হয়েছে এ কথা বলবো না। প্রতি বাড়িতেই দু’একজন বিএ পাস, এমএ পাস আছে, আছে ডক্টর, উকিল-মোক্তার, জজ-ব্যারিস্টার। শিক্ষিতের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সুদ, ঘুষ, অনাচার, দুরাচার। সারা বাংলাদেশের মতো এ গাঁয়েরও প্রতিটি লোক কোনো না কোনোভাবে সুদ, ঘুষ, মিথ্যা বা অনৈতিকতার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আজ আর শিক্ষিত অশিক্ষিত বলে ভেদাভেদ নেই। ‘কানার পাও খাদে, কোতের পাও খাদে!’ লক্ষ্য একটায় সবার চেয়ে আমার বেশি টাকা চাই, বেশি সুখ চাই। এ এক সর্বনাশা রাক্ষুসে ক্ষুধা মানুষকে আজ অক্টোপাশের মতো ঘিরে ধরেছে! এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ থেকে শুরু করে একশো টাকায় মাসে দশ টাকা সুদের মতো ভয়াবহ অতি ক্ষুদ্র ঋণও চালু আছে এ গ্রামে! আছে মোটা অংকের ব্যাংক লোনধারী সুদী কারবারী। ‘সুদদাতা, গ্রহীতা, হিসাব রক্ষক, সাক্ষী সকলেই জাহান্নামী!’ মহান আল্লাহ সুবহানু তাআলার এ কথায় আজ আর কেউ কর্ণপাত করছে না। পরকালকে সবাই বাকির খাতায় ধরে রেখেছে।

তাছাড়া গ্রামের প্রতিটি পাড়ার রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে টি-স্টল। সেখানে রাত দিন দেদারছে চলছে অশ্লীল নৃত্য-গীত, সিনেমা। প্রতি ঘরে ঘরেই আছে ডিশ লাইন। এই অশ্লীলতার প্রভাব পড়ছে শিশু-কিশোরদের মনে। এক কিশোর ইতোমধ্যেই বাংলা সিনেমার ভিলেনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে ছয় বছরের এক শিশু কন্যার ওপর। ধর্ষণ করেছে শিশু তানিয়াকে। ধরা পড়ার পর সে সরাসরি স্বীকার করেছে সিনেমা দেখে ফেরার পথে তার মাথা ঠিক ছিল না, তাই এই খায়েশ জেগেছিল তার মনে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও প্রাইমারি স্কুলের শিশুরা ধরে পিটিয়েছে স্কুলের শিক্ষিকাকে। ছোট-বড় বাছ বিচার নেই ইভটিজিং চলছে অবাধে। এ নিয়ে কেস কালামও হয়েছে। ভ্যান চালক থেকে দিনমজুর সবার হাতেই আছে মোবাইল। তাতে মেমোরি কার্ডে রেকর্ড করা হয়েছে বিভিন্ন হিন্দি সিনেমার অশ্লীল নাচ-গান। ইন্টারনেট থেকে অবাধে নীল ছবি ডাউনলোড করে তা মোবাইলে ভরে দেয়া হচ্ছে। টিনএজাররা এর প্রধান গ্রাহক। পঞ্চম বা নিন্ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই প্রায় দিন-রাত মেতে থাকে ফেসবুকে। নীল ছবি ডাউনলোড হচ্ছে ইচ্ছে মতো। পিতা-মাতা বা বড়দের অগোচরে চলছে এসব নীল ছবি। ব্লু-টুথ করা হচ্ছে সময় সুযোগ মতো অন্যকে। পথে-প্রান্তরে, হাটে, ঘাটে, মাঠে, পাবলিক প্লেসে, যানবাহনে সময়ে অসময়ে ধূমছে বাজানো হচ্ছে এসব অশ্লীল নাচ-গান। লাজ-শরম সব যেন ধুয়ে মুছে গেছে। বাপ মা, ছেলে মেয়ে কেউ কারো পরোয়া করছে না। ডিজিটাল সংস্কৃতির অপ্রতিরোধ্য গতি বেহায়াপনা ও মিথ্যার বেশাতি ছড়াচ্ছে সুনামির বেগে। হাতে টাকা গুণছে অথচ মোবাইলে দেনাদারকে বলছে, না ভাই, হাতে একদম টাকা পয়সা নেই। এখন আপনার টাকা দিতে পারবো না। ঘরে বসে বলছে, এখন বাজারে আছি, পরে কথা হবে। প্রতিনিয়ত এভাবে শিশুদের সামনেই চলছে মিথ্যার বাহাদুরী। গণ্ডমূর্খ মোবাইলের ওপ্রান্তে কে আছে না ভেবেই শুধুমাত্র নারী কণ্ঠের আওয়াজ পেয়েই মায়ের বয়সের, নানীর বয়সের মহিলাকে দিচ্ছে অশ্লীল অফার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে করছে ইভটিজিং। মাদক ব্যবসাও চলছে রমরমা। মাদক সেবীর সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আল্লাহ-রাসূলকে বাদ দিয়ে ভণ্ডপীর-ফকিরের আস্তানা বাড়ছে দিনকে দিন। এগুলো হয়ে উঠছে মাদক সেবনের প্রধান আখড়া। এটা শুধু আমার গ্রাম নয়, আজ বাংলাদেশের প্রতিটি গাঁয়েরই একই চিত্র। শহরের ইটালিয়ান টি-স্টলের চিত্র আরও করুণ আরও ভয়াবহ।

বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় ডিজিটাল সন্ত্রাসের অসংখ্য রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ফল হচ্ছে উল্টো।

শুধু আমাদের গ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশের আজ একই চিত্র। চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর এলাকাবাসীর পক্ষে উৎপল বড়–য়ার লেখা দৈনিক নয়াদিগন্তের ৫ নভেম্বর ২০১৩ একটি রিপোর্ট ঠিক এরকম :

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোহাম্মদনগর, শান্তিনগর, আলীনগর, নবীনগর, আমিন জুট মিলস কলোনিসহ থানার আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বখাটে যুবকদের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে পর্নোগ্রাফি ব্যবসায়ীরা। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র, অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে কম্পিউটারের দোকান। এসব দোকানের বেশির ভাগের কাজই হচ্ছে মোবাইলে গান আর পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা। প্রতিটি কম্পিউটারেই ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এরা অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ক্লিপ কিশোর ও যুবসমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে বিপথগামী করে তুলছে। এসব দোকানের গানবাজনায় কান ঝালাপালা হয়ে উঠছে। আমিন জুট মিলস কলোনি এলাকার একটি হোটেলের সামনে থেকে জামে মসজিদ হয়ে একেবারে আমিন টেক্সটাইল গেট পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি কম্পিউটারের দোকান। এসব দোকানে ভোর ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গান বাজিয়ে এলাকায় মারাত্মক শব্দদূষণ সৃষ্টি করা হচ্ছে। গার্মেন্টকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে অতিরিক্ত ভলিউমে গান বাজিয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করে উত্ত্যক্ত ও অশ্লীল আচরণ করা হয়। এ ছাড়া পাশের স্কুল চলাকালে এবং নামাজের সময়ও সজোরে গানবাজনা চলতে থাকে। কেউ প্রতিবাদ করলে দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটছে। বখাটেরা মদ-গাঁজা সেবন করে, চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মও করছে। আইন অনুযায়ী কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ এবং সব ধরনের পর্নোগ্রাফি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও বায়েজিদ থানার সামনে কোনো কোনো দোকানি বখাটে বন্ধু-যুবকদের নিয়ে আড্ডা বসিয়ে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি ব্লুটুথের মাধ্যমে আদান-প্রদান করে প্রকাশ্যেই। কিছু পুলিশ কনস্টেবলও ওই দোকানে আড্ডা জমায়। বিভিন্ন স্টুডিওতেও কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি চক্র আর্থিকভাবে লাভবান হতে এবং প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে স্কুল-কলেজপড়–য়া সুন্দরী মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে কাটপিস জুড়ে দিয়ে ভিডিও ক্লিপ তৈরির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। বন্ধুত্বের নামে প্রতারণার মাধ্যমে কিংবা প্রেমের অভিনয় করেও বিশেষ মুহূর্তগুলো মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে কিংবা মেয়েদের জিম্মি করে অশ্লীল ছবি তুলে বাজারে ছেড়ে দেয়ার অপকর্মও করেছে চক্রটি। এক্ষেত্রে অনেক স্টুডিও মালিক জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ২০১২ সালের এপ্রিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদনগর, জুট মিলস কলোনি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক কম্পিউটার জব্দ করেছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাপক তৎপরতার কারণে চক্রটি তখন থেমে গেলেও আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আমরা সিএমপি কমিশনারসহ বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসব কিসের যেন অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে! এসব সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে এখনই ভাবতে হবে আমাদের। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা আক্ষেপ করে বলছিলেন, তাদের জন্য শিক্ষকতা করা এখন দায় হয়ে পড়েছে। তাদেরকে বলা হচ্ছে, নম্বর দিতে। কিন্তু ছাত্ররাতো খাতায় কিছুই লিখে না। কোথায় নম্বর দেব! শুধু মোবাইল টেপাটিপি করে। এমনকি ক্লাসে বসেও টেপাটিপি করে। এ এক মরণ নেশায় পেয়েছে জাতিকে! এটা সর্বনাশা এক নেশা! এক শিক্ষক রাগত কণ্ঠে বললেন, তার বাড়িতে অনেকেই কাঁথা মুড়ি দিয়ে টেপাটিপি করে। এটা হচ্ছে, ডিজিটাল কালচার! এর কারণেই আজ ঢাবিতে ইংরেজিতে দু’জন পাস করে। এই সর্বনাশা নেশা জাতিকে মেধাহীন করে ছাড়বে!

সব শেষে বলতে চাই, শ্রেষ্ঠ মানুষের সংজ্ঞা কী? দেখতে ফর্সা হওয়া? দামি ব্রাান্ডের শার্ট-প্যান্ট পরা? দামি পারফিউম, ওয়ালেট, কাফলিং ঘড়ি ব্যবহার করা? দামি মোবাইল, আইপ্যাড, আইফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার? ফেসবুক, ইন্টারনেট, ব্লগে পড়ে থাকা?  আমরা মনে করি, এসব কখনোই একটা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড  যাচাই করে না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যার তাকওয়া সবচেয়ে বেশি (সূরা হুজরাত, আয়াত : ১৩)’।

অর্থাৎ যিনি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে চলেন তাকে মহান আল্লাহ শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আজ আমরা তাকওয়া অর্জনের জন্য কেউ প্রতিযোগিতা করছি না! এখন অনেকেই ধর্মের কথা শুনলে বিরক্ত হন, তাদের উদ্দেশে à¦¬à¦²à¦›à¦¿Ñ à¦†à¦²à§à¦²à¦¾à¦¹à¦­à§€à¦¤à¦¿ মানে এই নয় যে, সারা দিন নামাজ আর তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। বরং শ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যক্তি, যিনি তার স্রষ্টাকে ভয় করেন, তাঁর দেওয়া আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন। নিজে ভালো কাজ করেন ভালো কাজের আদেশ দেন, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকেন অন্যকে মন্দ কাজ করা থেকে নিষেধ করেন অর্থাৎ যিনি তার জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি চান এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার চেষ্টা করেন তিনিই শ্রেষ্ঠ। আসুন নিজেকে ইসলামের আলোকে ডিজিটাল হিসেবে গড়ে তুলি।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।