সংবাদ শিরোনামঃ

নির্বাচনী বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে ** ত্রুটিপূর্ণ আইনে জামায়াত নেতাদের বিচার করা হচ্ছে ** রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিন ** সরকার দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ** দেশ আজ গভীর সঙ্কটে॥ প্রয়োজন দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ** জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নয় উৎপাদন বাড়ান ** আরো এক কাপুরুষ জেনারেলের কাহিনী ** দুঃস্থ সাংবাদিকতা ** নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ** সিলেট বগুড়া ও রাজশাহীতে শিবিরের মিছিলে পুলিশের গুলি ** কবি ফররুখ আহমদ এক দুঃসাহসী সিন্দাবাদ **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২১, ২৭ মহররম ১৪৩৬, ২১ নভেম্বর ২০১৪

স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাংক ব্যবস্থায় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেপ্টেম্বর শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭,০০০ কোটি টাকার বেশি। এটি ব্যাংক খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের ১১.৬০ শতাংশ। পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪,০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ঠিকমতো আদায় করা গেলে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের পাশাপাশি দেশের আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়।

অথচ জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৫১,০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০০০ কোটি টাকা।

আর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ১৬,৫০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৪০,৫৮৩ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক অনুষ্ঠানে বলেন, এখন ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা ততটা খারাপ নয়। তবে খেলাপি ঋণের হার ৮ শতাংশ হলে তিনি খুশি হতেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা খেলাপি সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণ পেয়েছি। সংবাদপত্র যদিও মাঝেমধ্যে লেখে খেলাপি ঋণ নিয়ে। তারা অবশ্য দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে। খেলাপি হওয়া সম্মানের জন্য হানিকর, এখন ব্যবসায়ীরা এটি মনে করেন বলে মত দেন মন্ত্রী।

সর্বশেষ ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণের যে হিসাব দেওয়া হয়, তা আসলে এক ধরনের প্রতারণা।  কেননা এর মধ্যে অবলোপন বা রাইট অফ করা ঋণের হিসাব থাকে না।

অথচ অবলোপন করা ঋণের আদায় তেমন নেই এবং আদায়ের চেষ্টা করা হয় না।

মইনুল ইসলাম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) মহাপরিচালক থাকাকালে বড় বড় কয়েকটি খেলাপি ঋণগ্রহীতার ওপর সমীক্ষা করেন। খেলাপি ঋণ বিষয়ে তাঁর অনেক কাজ রয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুত করা ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং প্রতিবেদন অনুসারে, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের পরিমাণ হয়েছে ৪  লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

আগের প্রান্তিকে অর্থাৎ জুন শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে রাজনৈতিক অসন্তোষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কেস টু কেস বা প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথক বিশ্লেষণ করে ঋণ পুনঃতফসিলে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।

এ সময় এককালীন জমা বা ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। যদিও কেস টু কেস আর থাকেনি।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরানো খেলাপিরাও ঢালাওভাবে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে। সেসব ঋণ এখন আবার খেলাপি হয়ে পড়ছে বলে বলা হচ্ছে।

খেলাপির শর্ত শিথিল করায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আগের প্রান্তিকের অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের তুলনায় খেলাপি ঋণ ১৬,১৩৭ কোটি টাকা কমে যায়। তখন খেলাপি ঋণ নেমে আসে ৪০,৫৮৩ কোটি টাকায়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।