সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামছে জনগণ ** গুরুতর অসুস্থ ড. মাসুদের আবারো ১৪ দিনের রিমান্ড ** সরকার যুক্তি নয় শক্তি দেখাচ্ছে ** গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে ** গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ** অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : ছাত্রশিবির ** সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না ** মামলা করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ** ধোঁকা খেলেন ইমরান খান? ** ক্যাট স্টিভেন্স থেকে ইউসুফ ইসলাম ** ব্যক্তি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে ** এরদোগান কেন মুসলিম বিশ্বের জন্য মডেল ** শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬ শতাংশ ব্যয় করা দরকার ** সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ** ধেয়ে আসছে বান ** পদ্মার ভাঙনে কুষ্টিয়ার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ** ড. মাসুদকে নির্যাতনের প্রতিবাদ॥ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ** গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ভাদ্র ১৪২১, ২ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৯ আগস্ট ২০১৪

জোকো উইডোডো

ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। তার শৈশব কেটেছে প্রচণ্ড আর্থিক সঙ্কটে। জোকো উইডোডো কোনো অভিজাত রাজনীতিকও নন, নন কোনো জেনারেল। তার নেই অর্থের দেমাগ। তিনি সারল্যকে পুঁজি করে এগিয়ে গিয়েছেন। তার মুখাবয়বে ফুটে ওঠে সেই সারল্য। প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় বই-খাতা কেনার টাকা ছিল না। কলম-পেনসিল কিনতে পারতেন না টাকার অভাবে। অন্য সহপাঠীরা যখন স্কুলে গিয়ে এটা-ওটা কিনতেন তখন অশ্রুভরা চোখে তাকিয়ে থাকতেন। পকেটে কোনো টাকা ছিল না। বই-খাতা কিনতে, নিজের পকেটে দু’টো টাকা রাখতে তিনি এক সময় উপার্জনে নামলেন। পড়াশোনার খরচ যোগাড় করতে থাকেন নিজেই। পিতামাতা ছিলেন অনেক গরিব। তারা বসবাস করতেন এক নদীর পাড়ে সস্তা ভাড়ার এক বস্তিতে। সেখানেও রক্ষা পেলেন না। তিনবার উৎখাত করা হলো তাদের। বয়স যখন ১২ বছর এই বালকের, তখন তিনি পিতার ফার্নিচারের দোকানে বসা শুরু করলেন। সেখানেই কাজ করতে থাকেন। এক সময় পিতার ব্যবসা যাতে সফল হয়, সে জন্য তিনি ফেলে দেয়া কাঠ কুড়ানো শুরু করেন। এভাবেই এগিয়ে চলতে থাকে তার জীবন। কোনো বাধাকে বাধা বলে মানেন নি। জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়াই ছিল তার লক্ষ্য। তাই তো কঠিন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি এখন ইন্দোনেশিয়ার মতো বৃহৎ মুসলিম দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিনি জোকো উইডোডো। বয়স ৫৩ বছর। তাকে নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা। আলোচনা হচ্ছে কিভাবে তিনি এমন এক অসম্ভবকে সম্ভব করলেন বস্তির ছেলে প্রেসিডেন্ট।  ইন্দোনেশিয়া গত ৭০ বছর শাসন করেছেন পেশাদার রাজনীতিক, না হয় কোনো জেনারেল। তাকে দেখে মনে হয় গ্রামের একজন সাধারণ মানুষ। না আছে কোনো আভিজাত্যের আভা, না আছে গরিমার কোনো ছাপ। তিনি দামি পোশাক পরেন না। পায়ে দেন না দামি জুতা। এসব কারণে তাকে নিয়ে বিরোধী শিবিরে তীব্র সমালোচনা। কিন্তু তিনিই ক্ষমতাসীনদের তখ্ত নাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ¦à§€ ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর জামাতা প্রবোয়ো সুবিয়ানতো। তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক এক জেনারেল। কিন্তু শহুরে বস্তির এক সাধারণ জোকোর কাছে তিনি ধরাশায়ী হলেন। জোকো গড়লেন এক নতুন ইতিহাস। জোকো উইডোডো ইন্দোনেশিয়ায় জোকোয়ি নামেই বেশি পরিচিত। দ্বীপ রাষ্ট্রের দিক দিয়ে ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বড় দেশ। ইতিহাসে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় একদিনে সেখানকার ভোটে সবচেয়ে বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রে ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় দেশ। সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয় ৫ সপ্তাহ ধরে। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি বৈধ ভোটার আছেন। কিন্তু গত নির্বাচনে তাদের প্রায় ৫৭ ভাগ ভোট দিয়েছেন। কিন্তু গত ৯ জুলাই ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটির ১৯ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি বৈধ ভোটারের শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়েছেন একদিনে। এ জন্য বসানো হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ পোলিং স্টেশন। সেখানেই তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ নির্বাচনে যখন জোকোয়ির বিজয় সুনিশ্চিত তখন হতাশায় ভেঙে পড়েন প্রবায়ো সুবিয়ানতো। তিনি নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযোগ করেন, ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তবে যে সব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে, নির্বাচন ছিল স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু।

২২ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন জোকোয়িকে নতুন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে। ২০ অক্টোবর তিনি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বের ১০ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে এ দেশটি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পিছনে আছে। কিন্তু ইতালি, স্পেন, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে অগ্রগামী। আর অস্ট্রেলিয়া তো রয়েছে ১৯তম বৃহৎ অবস্থানে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন কঠিন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করছে, ঠিক সেই সময় এত বড় অর্থনীতির দেশটির দায়িত্ব নিচ্ছেন জোকোয়ি। ফলে তাকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তবে আশার কথা, দেশটির শতকরা ৯৭ ভাগ মানুষ চাকরি করে ক্ষুদ্র উদ্যোগের খাতগুলোতে। জোকোয়ি একজন সফল আসবাবপত্র ব্যবসায়ী হলেও তিনি জানেন কিভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগের খাতকে সংস্কার করা যায়। এই সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি সরিয়ে ফেলতে চান বিদেশী ও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সামনে থেকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। জোকোয়ির শারীরিক গড়ন লিকলিকে। দেখতে সাদাসিধে। অনর্গল বলতে পারেন ইংরেজি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কিভাবে কাজ করতে হয় তা জানেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও এক সময় যখন মেয়র নির্বাচিত হন সে সময় কাজের ফাঁকে তিনি এসব রপ্ত করেন। তবে তার উচ্চারণে রয়েছে জন্মস্থান জাভার টান। সাবেক প্রেসিডেন্ট মেগাবতী সুকর্ণপুত্রীর দল পিডিআইপি এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন দেয় জোকোয়িকে। কিন্তু তাদের কাছে কোনো ঋণ নেই জোকোয়ির। কারণ, নির্বাচনকে সামনে রেখে উচ্চাকাক্সক্ষী ছিলেন সুকর্ণপুত্রীর কন্যা পুয়ান। তিনি চেয়েছিলেন নির্বাচন করতে। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে পুয়ান ও তার মা সুকর্ণপুত্রীসহ দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারণার সময় জোকোয়ির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে ভাগ্য ছিল জোকোয়ির পক্ষে। তাকে ভালোবাসে ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষিত মানুষ- সবাই। তাই এক ব্যক্তি সুলভ প্রচারণায় তিনি তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর তিনি গঠন করবেন একটি জোটভিত্তিক মন্ত্রিসভা। এতে থাকবে সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর গোলকার ও প্রেসিডেন্ট ইয়োধোয়েনুর ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু মুখ, যদিও এসব দলের কোনোটাই তাকে নির্বাচনে সমর্থন করেনি। ইন্দোনেশিয়া কখনও দেখেনি এমন একটি মন্ত্রিসভা গঠন করতে চান জোকোয়ি। তার মন্ত্রিসভা হবে রাজনৈতিক বিচারের চেয়ে মেধা ও অসাধারণ টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে। কারা থাকবে তার মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে তিনি একনায়কের মতো সিদ্ধান্ত নিতে চান না। এ ক্ষেত্রেও জনমতকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। তাই একগুচ্ছ নাম অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছেন জনগণের সাড়া পাওয়ার জন্য। জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন ই-পোল ব্যবস্থায় তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে। তিনি শুধুই রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন নি। তিনি সংগীতের ভীষণ ভক্ত। গিটার হাতে তার অনেক ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তিনি মেটাল গ্রুপ ল্যাম্ব অব গড, মেগাদেথ অ্যান্ড মেটালিকার ভক্ত। তার এসব গুণের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তিনি শতভাগ ইন্দোনেশিয়ান। কিন্তু তারপরেও তিনি একটি বৈশ্বিক ফিগার। দেশের যুব সমাজের সামনে এক তরুণ নেতা। এক নজরে তার অতীত জীবনের দিকে তাকালে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য। যেমন, তার জন্ম ১৯৬১ সালের ২১শে জুন। বর্তমানে তিনি জাকার্তার মেয়র। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মেয়রের দায়িত্ব শেষ হবে ২০ অক্টোবর। এ জন্য ওই দিনই তার শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। তিনি জন্মেছেন জাভায় এক দরিদ্র পরিবারে। পিতার নাম নোতো মিহারদজো। মা সুদজিয়াতমি নোতোমিহারদজো। তাদের সবচেয়ে বড় সন্তান জোকো উইডোডো। তার রয়েছে ছোট তিন বোন। তাদের নাম ইইত শ্রীয়ান্তিনি, ইদা ইয়াতি ও তিতিক রেলাবতী। প্রথমে তার নাম ছিল মুলইয়োনো। এ নাম পাল্টে নতুন নাম ধারণ করেন জোকো উইডোডো। তার পিতা, দাদারা ছিলেন বোয়ালালি গ্রামের বাসিন্দা। সেখান থেকেই সয়ে সয়ে তারা শহরমুখী হয়েছেন। তার গ্রামেই গরিব নাগরিকদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয় ছিল। এর নাম স্টেট প্রাইমারি স্কুল ১১১, তিরতোয়োসো। সেখানেই শুরু হয় তার জটিলতা। তিনি বই, খাতা, কলম কিনতে পারছিলেন না। পিতামাতা পকেটে কোনো বাড়তি পয়সা দিতে পারতেন না। স্কুলে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের দেখতেন- তাদের অভাব আছে। কিন্তু তার মধ্যেও তাদের চাহিদার মোটামুটি যোগান আছে। এক্ষেত্রে তিনি রিক্তহস্ত। ক্ষুধায় কাতরালেও তিনি কোনো খাবার কিনে মুখে দিতে পারেন নি। তখনই তার মাথায় আসে এক বুদ্ধি। তিনি পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে শুরু করেন উপার্জন। বিভিন্ন রকম বৈধ কাজ করে উপার্জন করতে শুরু করেন। তা দিয়ে তিনি বই, খাতা, কলম কেনেন। এভাবেই চলতে থাকে তার জীবন। প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি এসএমপি নেগেরি ১ সুরাকারতা স্কুলে পড়াশোনা করেন।

এখানে তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করতে চাইলেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় হলেন অকৃতকার্য। ফলে এখানে পড়ার পরিবর্তে তিনি গেলেন এসএমএ নেগেরি ৬ সুরাকারতায় পড়তে। তারপর তিনি গাডজাহ মাদা ইউনিভার্সিটিতে ফরেস্ট্রি ফ্যাকাল্টিতে পড়াশোনা চালিয়ে যান। এ সুযোগকে ব্যবহার করে তিনি কাঠের গঠন, এর ব্যবহার ও প্রযুক্তি শিখে নেন। তিনি ‘স্টাডি অন প্লাইউড কনজামশন ইন ফাইনাল কনজামশন ইন সুরাকারতা মিউনিসিপ্যালিটি’ নামে থিসিস সম্পন্ন করে অর্জন করেন ডিগ্রি। ১৯৮৫ সালে অর্জন করেন গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি। এরপর তিনি যোগ দেন বিইউএমএন পিটি কেরতাস ক্রাফট আচেহ’তে। তিনি এক নিকট-আত্মীয়ের কাঠের ব্যবসায় ‘সিভি রোডা জাতি’তে কাজ করার বিষয়ে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ১৯৮৮ সালে নিজেই শুরু করেন ব্যবসা। নাম দেন সিভি রাকাবু। প্রথম সন্তান রাকাবুমিং-এর নামে এ নাম রাখেন। এ ব্যবসা সফলতা পায়। কিন্তু এক পর্যায়ে তা বন্ধ করে দেন। এরপর ১৯৯০ সালে মায়ের কাছ থেকে প্রায় ১৬ হাজার ডলার নিয়ে ফের শুরু করেন। জোকোয়ি সুরাকারতায় মেয়র হিসেবে প্রথম যখন তিনি দায়িত্ব শুরু করেন, তখন অনেকেই তার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুখ বাঁকিয়ে বলতে থাকেন একজন কাঠ ব্যবসায়ীর কি এমন সক্ষমতা আছে মেয়রের দায়িত্ব পালনের। কিন্তু তাদের মুখে ছাই দিয়ে তিনি টানা ৭ বছর ওই এলাকার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে তিনি রাজধানী জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হন। সেখানেই সফলতা তার হাতে ধরা দেয়।

রাজনৈতিক জীবন : তিনি প্রথমে সুরাকারতার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০১২ সালে জাকার্তার প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি¦à¦¤à¦¾ করেন। ওই বছরে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উপনির্বাচনে ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হন। পরাজিত হন তখনকার গভর্নর ফাউজি বোয়োকে। এ নির্বাচনে জোকোয়ির বিজয়কে দেখা হয় নতুন, নির্ভেজাল এক নেতার উত্থান হিসেবে। ইন্দোনেশিয়াতে দীর্ঘদিন ধরে যে ধারার রাজনীতি প্রচলিত তিনি তাতে পরিবর্তন আনছেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে। ফলে বেশির ভাগ মানুষ তার পক্ষাবলম্বন করে।

২০১২ সালে তিনি জাকার্তার মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর তার জনপ্রিয়তা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকে। ২০১৩ ও এ বছরের শুরুর দিকে তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে যায় যে, তাকে এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ বাড়তে থাকে। অবশেষে এ বছরের ১৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট পদে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন হয়। এর ফল প্রত্যাখ্যান করেন তার প্রতিদ্বন্দ¦à§€ প্রবোয়ো সুবিয়ানতো। তাকে নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দিয়েছিল সংবিধান। কিন্তু তিনি সেই সুুযোগ ব্যবহার করেন নি। নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করার সময় এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। ফলে জোকোয়ির সামনে এখন আর কোনো বাধা রইলো না।                    ইন্টারনেট অবলম্বনে সাঈদ

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।