সসাসের আয়োজনে ইসলামী সংস্কৃতির রূপরেখা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা

সসাসের আয়োজনে ইসলামী সংস্কৃতির রূপরেখা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা

সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দিতে দেশে একটি সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক আন্দোলন এখন সময়ের দাবি। আর তার জন্য প্রয়োজন একদল প্রতিশ্রুতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মীর। যা তাদের বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটাবে নাটক, গান আর কবিতায়ই শুধু নয়, জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ফেলে আসা মুহূর্তগুলোকে। ফলে সমাজ হবে কলুষমুক্ত, জীবন হবে পরিচ্ছন্ন। গত ১৭ আগস্ট রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ সসাস আয়োজিত ‘ইসলামী সংস্কৃতির রূপরেখা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনায় খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এসব কথা বলেন ।

সসাসের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা মনোয়ারের সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও সংবাদ পাঠক সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, সসাসের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার তাফাজ্জল হোসাইন, কবি আসাদ বিন হাফিজ, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক চিত্রনায়ক শেখ আবুল কাসেম মিঠুন, বিশিষ্ট ছড়াকার, গীতিকার, কবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক গবেষক ড. কামরুল হাসান, সসাসের ভাইস চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ দেশের খ্যাতনামা শিল্পী, নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্য প্রয়োজনীয় রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, এর জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট সংগঠন কাঠামো, সংবিধান ও অর্থনৈতিক কাঠামো। সেই সাথে প্রয়োজন সাহিত্য পত্রিকা, সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠার।

অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা সমাজে একেবারে কম নয়, সর্বস্তরে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

সসাস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিরোধে দেশের সুস্থ ধারার সংস্কৃতি কর্মীদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সেই কাজের জন্য প্রয়োজন নীতি নির্ধারণ, আমরা সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।