সংবাদ শিরোনামঃ

গণআন্দোলনের ডাক ** সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে দেশজুড়ে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ** বিচারপতিদের অভিশংসন, সম্প্রচার নীতিমালা গণতন্ত্রের ওপর ডেমোকিসের ছুরি ** ইরাকে পশ্চিমাদের হোলি খেলা ** অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন ** সরকার স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ভিত্তিমূলে আঘাত করছে ** বন্যাকবলিতদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন ** হীনম্মন্যতাবোধ এবং সেবাদাসদের দৌরাত্ম্য ** সাম্রাজ্যবাদ ও কাজী নজরুল ইসলাম ** পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর ** উপমহাদেশে রেল দুর্ঘটনার শীর্ষে বাংলাদেশ, ক্ষয়ক্ষতিতে ভারত ** বন্যাপরিস্থিতির চরম অবনতি ** মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই ইসরাইল গাজায় নির্বিচার গণহত্যা চালাচ্ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪২১, ২৫ শাওয়াল ১৪৩৫, ২২ আগস্ট ২০১৪

স্টাফ রিপোর্টার : উপমহাদেশে রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। গত ৬ মাসে এদেশে প্রায় ৮২টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে তুলনায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। গত ৬ মাসে ভারতে ২৭টি ও পাকিস্তানে মাত্র ৯টি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কায় ২০১২ সালের পর কোনো রেল দুর্ঘটনাই ঘটেনি। তবে সংখ্যার দিক থেকে কম হলেও ভারতে রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের রেল চলাচল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ও ভারতীয় রেলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্ঘটনা পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে দেশে রেল দুর্ঘটনা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩১টি। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ১৫৭টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৭৪টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭ জন ও আহতের সংখ্যা ছিল ২ শতাধিক। তবে ২০১৪ সালে কমে আসলেও চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জোনে রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ৮২টি।

আবার ভারতে বিভিন্ন জোনের রেলের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সে দেশে জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুলাই পর্যন্ত ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটে এবং এর ফলে মৃত্যু হয় ৪৭ জনের, আহত হন দুশতাধিক। এতে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান রেলে এ সময়ে মাত্র ৯টি দুর্ঘটনা ঘটে, নিহত হন ১৩ জন, আহত ৫৩ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় কোনো রেল দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দেশটির রেল সূত্রে জানা গেছে। সেখানে সর্বশেষ দুর্ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ১৭ মে।

বাংলাদেশে রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (সিওপিএস) এমদাদুল হক জানান, বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলে রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। এর ফলে পশ্চিমাঞ্চলে মোট ২৩ জন যাত্রী নিহত (রেলের হিসেব অনুযায়ী) এবং আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক।

আবার রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুলাই পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫১টি। এর মধ্যে গত মে মাসে ১৫টি এবং জুন মাসে ১২টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মেইন লাইনে প্রায় ৩১টি এবং বাকি ২০টি ঘটেছে ব্রাঞ্চ লাইনে। এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় সিওপিএস মিয়া জাহান বলেন, এসব রেল দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ঘটেছে পণ্যবাহী ট্রেনে। যেমন জুন মাসে আখাউড়া লাইনের ফৌজদারহাটে তেলবাহী ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রায় ৫০ হাজার লিটার তেল পড়ে নষ্ট হয়। আবার জুলাই মাসের ৮ তারিখে চট্টগ্রাম সল্টগোলা এলাকায় নেভি হাসপাতালের গেটের কাছে ডেমু ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। এর ফলে কেউ নিহত না হলেও বহু যাত্রী আহত হন। একই দিন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের ২টি বগি লাইনচ্যুত হলে প্রায় ৮ ঘণ্টা মেইন লাইনে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ১ দিন পরে ৯ জুলাই নরসিংদীর ঘোড়াশালে রেল দুর্ঘটনা ঘটে। একই মাসের ১৫ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন হ্যাঙ্গার স্প্রিং ভেঙে দুর্ঘটনা কবলিত হলে ওই লাইনে প্রায় ৪ ঘণ্টা রেল চলাচল বিঘিœà¦¤ হয়। ১৮ জুলাই গাজীপুরের ভূরুলিয়ায় রেল ক্রসিংয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ট্রেনের ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এবং ২ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। জুলাই মাসের ২২ তারিখ চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্যাঙ্কার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দক্ষিণ সুরমার মোগলবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৮-১০টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে এ অঞ্চলে।

এদিকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার মধ্যে গত জুন মাসে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঝড়ের মধ্যে পড়ে যমুনা সেতুর ওপরে হেলে পড়ে। এর ফলে একজন রেলকর্মীসহ যাত্রীরা কম-বেশি আহত হন। গত এপ্রিলে একতা এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়লে ৩ জন মারা যান, একজন রেলগার্ডের পা কাটা পড়ে এবং প্রায় ২৫ জন যাত্রী আহত হন। জুলাইয়ে রাজধানীর মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে ১টি প্রাইভেটকারের আরোহীরা গুরুতর আহত হন। সম্প্রতি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বরযাত্রী বোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগলে ১১ জন নিহত ও ৩ জন গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনার কারণ

বাংলাদেশে কেন এতো রেল দুর্ঘটনা ঘটছে এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমাদের দেশে মোট ২ হাজার ৮৩২ কিলোমিটার রেললাইন আছে। প্রতিদিন মোট ৩৩৫টি ট্রেন চলাচল করে। কোনো কোনো জোনে লাইনের মাটি ভারী বর্ষণের ফলে সরে গিয়ে সিøপারের তলা ফাঁকা হয়ে যায়, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এতো দীর্ঘ লাইন পর্যবেক্ষণের জন্য লোকবল কম। কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে কর্মীর অভাবে রেলের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আবার মাল বা পণ্যবাহী গাড়ি লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে ওঠার সময় বেশি গতিবেগ থাকায় অনেক সময় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে রেলের এখন বড় সমস্যা অবৈধ রেল ক্রসিং। দেশে মোট ২ হাজার ৫৪১টি বৈধ-অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদিত রেল ক্রসিং ১ হাজার ৪১৩ এবং অবৈধ ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ১২৮টি। সে কারণে সব কটি ক্রসিংয়ে রেলের কর্মী নেই। ট্রেন চলার সময়ে এসব কর্মীবিহীন ক্রসিংয়ে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। কর্মী নিয়োগ করা গেলে ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

রেলের পূর্বাঞ্চলের সিওপিএস মিয়া জাহান বলেন, দেশে যতোগুলো রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে তার অধিকাংশ ঘটেছে লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে ট্রেন ওঠার সময়। কেননা, কোনো মেইল ট্রেন চলার সময়ে মালগাড়ি বা লোকাল ট্রেন স্টেশনের অদূরে লুপ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে যখন ট্রেনটিকে চলার জন্য সিগন্যাল দেয়া হয় তখন ট্রেনটি ৩০-৩৫ কিলোমিটার বেগে লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে ওঠার নিয়ম। কিন্তু কোনো কোনো ড্রাইভার সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে মেইন লাইনে ওঠার চেষ্টা করে, এতে ট্রেনের পিছনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। আবার তেলবাহী ট্যাঙ্কারগুলো সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলার নির্দেশনা থাকলেও অনেক সময় ড্রাইভাররা তাড়াহুড়া করে আরো বেশি গতিতে চালানোর চেষ্টা করেন। ফলে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এ ছাড়া ড্রাইভারের সংখ্যা কম থাকায় অনেককে শিডিউলের বেশি ডিউটি করতে হয়। ড্রাইভাররা এর ফলে কান্ত হয়ে পড়েন, এ কারণে মেইন লাইনের অনেক ড্রাইভার দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি বেগে গাড়ি চালান। আবার অনেক সময় সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালানোর জন্যও দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণেও রেল দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি দেশের রেলওয়ের সব সিগন্যালিং ব্যবস্থা কম্পিউটারাইজড করার কথা বলেন। মিয়া জাহান মনে করেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা কম্পিউটারাইজড, যেমন ভারতের এতো বড় একটা রেলপথ সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড। ফলে দুর্ঘটনা অনেক কম।

জনসচেতনতা কম : জনসচেতনতা কম বা জনসাধারণ নিয়মকানুন মেনে রেলক্রসিং পারাপার হন না বলেও অনেক সময় ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানি হয় বলে জানান রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্রসিংয়ে গেট পড়ে যাওয়ার পরে বা সিগন্যালিং ঘণ্টা বাজার পরেও মোটরসাইকেল, রিকশা বা প্রাইভেটকার অবৈধভাবে যাতায়াতের চেষ্টা করার কারণ সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটি দুর্ঘটনা কমানোর জন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়া অবৈধ রেলক্রসিংয়ের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। রেলসূত্রে জানা যায়, ডিসিসি বা এলজিইডি রেলের অনুমতি না নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এসব পথে কোনো গেট বা গেটম্যান রাখার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। নাশকতার চালানোর উদ্দেশ্যে কোনো কোনো লাইনের ফিস প্লেট খুলে ফেলার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, গত বছরের শেষ দিকে দেশের রেল লাইনের ওপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ হয়। সে সময় বহু জায়গায় রেললাইন উপড়ে ফেলে বা আগুন দিয়ে রেল দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

উপমহাদেশের রেলচিত্র : ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ভারতে মোট রেললাইন ১ লাখ ১৫ হাজার কিলোমিটার। তবে এটি রেলপথের দৈর্ঘ্য, সেখানে ডাবল লাইন, ট্রিপল লাইন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফোর্থ লেন হওয়ায় সেখানকার রেল লাইনের মোট দৈর্ঘ্য আরো কয়েক গুণ বেশি। ভারতে প্রতিদিন মোট ৯ হাজার ৪০০ ট্রেন চলাচল করে। মোট স্টেশনের সংখ্যা ৭ হাজার ১৭২, প্রতিদিন ৮ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী চলাচল করেন, প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ কর্মচারী এ সংস্থায় কর্মরত। সে দেশের রেলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের (হাওড়া) স্টেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ট্রাফিক) রামপ্রসাদ বাইন মুঠোফোনে বলেন, ভারতে রেল দুর্ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। চলতি বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো রেল দুর্ঘটনা ঘটেনি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রথমত এতো বড় রেল সেক্টরের সার্বিক তত্ত্বাবধানের ওপর আমরা বেশি জোর দেই। তা ছাড়া স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে ইন্টার লকিং সিস্টেম ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা চলে। কন্ট্রোল রুমে বসে কম্পিউটার স্ক্রিনে সব পর্যবেক্ষণও করা হয়। এ ছাড়া যাত্রীরা রেলের তত্ত্বাবধানে বিশেষ সচেতন বলেও জানান তিনি। রেলক্রসিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের লক্ষাধিক রেল ক্রসিংয়ে সব কটিতে কর্মী নিযুক্ত রয়েছে। তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করায় ক্রসিং-দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তবে মাঝেমধ্যে কোনো কোনো ট্রেন গার্ডের ভুলে বা সিগন্যালম্যানের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে রেললাইনের মাটি সরে যাওয়া, বন্যা বা বৈরী আবহাওয়ার কারণেও কখনো কখনো ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৮৩২ কিলোমিটার। মোট স্টেশন চার শতাধিক। রেলওয়ের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। পাকিস্তানে মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার। সেখানে ৮২ হাজার ৪৩২ জন কর্মী নিয়োজিত। আবার শ্রীলঙ্কান রেলপথের দৈর্ঘ্য মাত্র ১ হাজার ৫০৮ কিলোমিটার। এ ছাড়া নেপালেও স্বল্প দৈর্ঘ্যরে রেলপথ রয়েছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।