সংবাদ শিরোনামঃ

গাজায় ইসরাইলি হামলা : বিপন্ন মানবতা ** ঈদের পর আন্দোলন ** ঈদবাজারের সিংহভাগই বিদেশী পণ্যের দখলে ** দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে হলে রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ** রাজনীতিতে বদ্ধ ও গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে ** ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ** এ যেন সেই ‘ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’র মতো ব্যাপার-স্যাপার! ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল ** ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ** ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য ** সেকালের ঈদ **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪২১, ২৬ রমজান ১৪৩৫, ২৫ জুলাই ২০১৪

যোগাযোগমন্ত্রীর ঘোষণার তিনবছর পরও চলাচলের অনুপযোগী

কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা মহাসড়কের বেহালদশা

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্ষাকালের বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া থেকে : দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্ষাকালের বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অবস্থা এতটাই বেহাল যে এটি কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক নাকি কোনো খাল- তাই এখন বোঝা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের বাজার হলো খাজানগরে। বাজারটি এই সড়কের ওপরেই অবস্থিত। ফলে প্রতিদিন সহস্রাধিক মালবাহী ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন ধরনের যান চলাচলের কারণে ইট-সুড়কি উঠে যাওয়ায় ব্যস্ততম এই সড়কটি ভরে গেছে অসংখ্য স্থানে খানাখন্দে। এসব গর্তে যানবাহন আটকে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরের চাল উৎপাদনকারী কল-কারখানার উপর। কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক এই মহাসড়কটিতে প্রায় প্রতি বছরই বর্ষায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। ২০১১ সালে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কটি পরিদর্শন করে চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হয়নি। জানা গেছে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক হাজার ৪১০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সড়কটি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ওই সময় মাত্র পাঁচ কিলোমিটার কাজ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির বটতৈল থেকে বল্লভপুর মোড় পর্যন্ত অংশের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ। বর্ষায় এই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রী সাধারণের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। খাজানগরের ব্যবসায়ী রহমান আলী বলেন, এই সড়ক দিয়ে এখন চলাচল করার কোনো উপায় নেই।

প্রতিনিয়ত এখানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাক চালক বাদল হোসেন বলেন, ট্রাক গর্তের মধ্যে পড়লে আর উঠতে চায় না। পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে দুই কিলোমিটার যেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বেহাল সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মূলত পোড়াদহ ও চুয়াডাঙ্গা এলাকার জনসাধারণ। রাস্তা জুড়ে পানি আর কাদামাটি থাকায় তা মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল-কলেজের শিার্থীরাও পড়েছেন চরম বেকায়দায়। একবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে সহজে পানি নেমে যাওয়ারও সুযোগ নেই। খাজানগর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, অন্যরা চলাচল না করলেও আমাদের ধান-চাল বোঝাই ট্রাক তো চালাতেই হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমার একটি ট্রাক কাত হয়ে একপাশে পড়ে যাওয়ায় কয়েকশ’ মন ধান ও ট্রাকের ব্যাপক তি হয়েছে। আর সহ্য করা যাচ্ছে না, শিগগিরই এই সড়ক সংস্কার করা না হলে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবো আমরা। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল আঞ্চলিক এই মহাসড়কের দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, য়তির বিবরণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে আগামী অর্থবছরে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।