মিসরে গণহত্যার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের মিছিলে পুলিশী বাধা

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মিসরে ইতিহাসের জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ঈঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট সেনাবাহিনী বিশ্ব থেকে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চায়। এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী গণজাগরণকে ঠেকানো যাবে না। আর জাতিসংঘ নামকাওয়াস্তে নিন্দা জানিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করে মুসলিম নিধনে সহযোগিতা করছে। এই জন্য আলাদা মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে।

গত ১৭ আগস্ট শনিবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মিসরে ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে আয়োজিত বিােভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সময়াবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্য মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এ ছাড়াও  বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউর রহমান আরেফীন, মহানগর সেক্রেটারি মো. আবু সাঈদ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশ হয়েও এখনো আনুুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ না করে ঈঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীকেই পরোভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সাথে সাথে বিশ্ব মুসলিমকে এই হিংস্র হায়েনাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বিনা অপরাধে আজ মিসরের মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টসহ পশ্চিমা বিশ্ব আজ নীরব রয়েছে। এই নীরবতার কারণ হলো মার্কিন ইন্ধন। যদি এই মুসলিম হত্যা বন্ধ না হয় তাহলে সারাবিশ্বে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা কঠোর সংগ্রাম গড়ে তুলবে। প্রয়োজনে মুসলিম দেশগুলো আলাদা একটি মুসলিম জাতিসংঘ গড়ে তুলবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা। আর সরকার যদি তা না করে তাহলে আমরা বুঝবো এই সরকার মার্কিনীদের দালাল। তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, এই সমাবেশটি বিকেল ৪টায় হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ বেলা ২টা থেকেই কেন্দ্রীয় অফিস অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে গেট খুলে দেয়। তবে রাস্তায় সমাবেশ মিছিল করা যাবে না বলে মাইক খুলে নেয় পুলিশ। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অফিসের সামনে অল্প সময়ের জন্য কথা বলার অনুমতি দেয় মিছিল না করার শর্তে। পরে সমাবেশ শেষে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে মিছিল বের হয়ে হাউজবিল্ডিং পর্যন্ত পৌঁছলে চতুর্দিক থেকে মিছিলটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এ সময় নেতৃবৃন্দ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করলে পরিবেশ শান্ত হয়।

হেমায়েত উদ্দীন বলেন, মিসরে বর্বরতা আমি আমার এক ছাত্র থেকে শুনে স্থির থাকতে পারিনি। বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। কত নির্মম ও বর্বর হলে এভাবে হাজার হাজার মানুষকে মেরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে। জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।