গোটা দেশকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে : মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া

গত ১৮ আগস্ট রোববার রাজধানীর মহাখালীতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল, পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণকারী শিবির নেতা খলিলুর রহমান ও জামায়াত কর্মী সোলাইমান শেখের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে

স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে আটক করে কথিত বিচারের নামে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা জামায়াতকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশায় লিপ্ত। এজন্য তারা গোটা দেশকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। শত শত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট রোববার রাজধানীর মহাখালীতে কেন্দ্রঘোষিত বিােভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ও ওলামাদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল, জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণকারী শিবির নেতা খলিলুর রহমান ও জামায়াত কর্মী সোলাইমান শেখের হত্যার প্রতিবাদে এক বিােভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। বিােভ মিছিলটি মহাখালী আমতলী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ  সড়ক প্রদণি করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তাসনীম, ড. রেজাউল করিম ও এডভোকেট হেলাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের শিবির সভাপতি আহমেদ সালমান, পূর্বের সভাপতি রাশেদুল হাসান রানা, ঢাকা মহানগরী মসলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন, এইচ এম আতিকুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, মাওলানা বেলাল হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মিজানুল হক, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান, ছাত্র নেতা সালাহউদ্দীন, তামীম, খালিদ হাসান, মিজানুর রহমান ও মশিউর রহমান প্রমুখ। মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো বলেন, গত ১৪ আগস্ট হরতালে শিবির নেতা খলিলুর রহমান ও জামায়াত কর্মী সোলাইমান শেখকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ রা হবে না। ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদানের রক্তের বদলা নেয়া হবে। তিনি সরকার হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি, জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও গণগ্রেফতার বন্ধ এবং ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় আগামী দিনে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সকল সময়ের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে। আওয়ামী সরকারের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ও জুলুম-নির্যাতনের কারণে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন মতা হারানোর ভয়ে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। তারা পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো মতা কুগিত করতে চায়। জনগণ সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না এবং কোনো দলীয় সরকারের অধীনে যেকোনো ধরনের নির্বাচন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না বরং এমন চেষ্টা করা হলেও জীবন দিয়ে হলেও নীলনকশার নির্বাচন প্রতিহত করবে।

 à¦¤à¦¿à¦¨à¦¿ সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারকে করুণ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।