শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম যৌক্তিক মজুুরি নির্ধারণ করতে হবে – ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম


১৫ মে ২০২৫ ১৬:১৫

শ্রমিকরা জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি হলেও তারা আজও নিগৃহীত, অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি গত ১২ মে সোমবার লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাজীপাড়া ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি প্রফেসর হেলালুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবুল খায়ের, চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুর মোহাম্মদ রাসেল, সেক্রেটারি এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খাঁন সুমন, সহকারী সেক্রেটারি তাওসীফ হাসনাইন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ডা. কাউসার হামিদ প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে শ্রমিক সমাজের অসামান্য অবদান রয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধেও শ্রমিকরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু তাদের কখনোই যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। মূলত দেশের শ্রমিক সমাজসহ সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শ্রেণিবিশেষ শ্রমিকদের ব্যবহার করে পাহাড়সমান অর্থ-বিত্তের মালিক হলেও তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাই শ্রমিকদের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে অনতিবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের যৌক্তিক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, দুর্ঘটনাজনিত প্রণোদনা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। শ্রমিকদের সন্তানরা যাতে সম্মানজনকভাবে সমাজে পড়ালেখা করে বেড়ে উঠতে পারে, সেজন্য সরকারকে নিতে হবে আন্তরিক পদক্ষেপ। তিনি মালিকদের উদ্দেশে বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই না করে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিন। তাহলে দেখবেন শ্রমিকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আপনাদের উৎপাদনে গতিশীলতা আসবে। তিনি অধিকার আদায়ে শ্রমিক সমাজকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মূলত দেশে ইসলামী শ্রমনীতি না থাকায় শ্রমিক সমাজ আজ অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত। তাই দেশের শ্রমিক সমাজসহ সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে দেশকে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। তিনি শ্রমিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। পরিবহন শ্রমিকরা পথেঘাটে চাঁদাবাজির শিকার হন। তাই শ্রমিক নিগ্রহ, হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি সকল শ্রেণির শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে একটি নতুন পরিকল্পনাসহ ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় শ্রমিক সমাজ অধিকারবঞ্চিতই থেকে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।