চট্টগ্রাম সংবাদ


১ মে ২০২৫ ২২:৫৭

চান্দগাঁওয়ে দাওয়াতি সমাবেশ
আগামীর বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর বিশিষ্ট পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। গত ২৬ এপ্রিল শনিবার সকালে দেশব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় পুলিশ বিটের এক দাওয়াতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড আমীর ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দাওয়াতি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের শূরা সদস্য ও চান্দগাঁও থানা আমীর মো. ইসমাইল, থানা সেক্রেটারি ও ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জসিম উদ্দিন সরকার, চান্দগাঁও থানা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আজাদ চৌধুরী, মো. ওমর গনি, শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য নুরুল মোস্তফা হেলালি, আব্দুল কাদের পাটোয়ারী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চান্দগাঁও থানা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, মোহরা ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য মো. মইনুদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক শাহাদাত হোসাইন।
দাওয়াতি সমাবেশের সঞ্চালনা করেন মোহরা ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. ইলিয়াস ও কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস আরেফিন।
শিক্ষাশিবির
জুলাই বিপ্লবের চেতনা আর গণআকাক্সক্ষার বিপরীত কোনো সিদ্ধান্ত শান্তি ও গণতন্ত্রকামী নতুন বাংলাদেশ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। আমরা সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনোকিছু মেনে নিয়ে বন্ধুত্ব করবে না জামায়াতে ইসলামী। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত দিনব্যাপী রুকন প্রার্থী ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহছানুল মাহবুব জুবায়ের। আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এবং মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহর সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে উপস্থিত ছিলেন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ, অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া, মাহমুদুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমি, এম এ গফুর, নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি মকবুল আহমেদ, সেক্রেটারি আবু তালেব প্রমুখ।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লব জামায়াতে ইসলামীকে অনন্য ভূমিকায় পৌঁছে দিয়েছে। এ ভূমিকা এদেশের মানুষ ও প্রশাসন মূল্যায়ন করেছে। এ দেশের ইসলামী নেতৃত্বের যারা শীর্ষ সারিতে ছিলেন তারা কখনো আওয়ামী লীগের শাসনের কাছে মাথানত করেনি। তারা আল্লাহর আনুগত্যকে মেনে নিয়েছিল। এজন্য তাদের অনেকে শাহাদাত বরণ করেছে। যারা জামায়াত ইসলামীর ভাবমূর্তি ও নৈতিকতাকে নষ্ট করবে, তাদের কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
এডভোকেট এহছানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে বর্তমান সময়ের সালেহ জামায়াত। এটি শহীদি কাফেলার সংগঠন। একটা জনপদে দীন কায়েমের কাজ করলে ওই এলাকায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়ের উন্নতি হয়। মুসলমানদের ক্ষতি হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে মুসলমানদের মারাত্মক বিপর্যয় গেছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক বিষয়ের ওপর। এ কঠিন দুঃসময়ের প্রেক্ষাপটে যাত্রা শুরু করে জামায়াতে ইসলামী।
ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, আমাদের সবকিছু দুজন ফেরেস্তা রেকর্ড করছেন। আল্লাহর হিসাব থেকে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। নিজেকে একটি আয়না সামনে ধরে জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের পরিবারই সবচেয়ে বেশি উপকার করতে পারে। আমাদের পরিবার এবং নিজেদের জাহান্নাম থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের সকলকে আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাবেক চসিক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, দুই সহস্রাধিক শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে সংস্কার অত্যাবশক। সংস্কারবিহীন নির্বাচন নতুন ফ্যাসিস্ট সৃষ্টি করবে। এ ধরনের নির্বাচন শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। জনগণ ভোটের প্রতি আস্থা হারাবে।
তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানা আয়োজিত বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সভাপতি মুহাম্মদ নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক স ম শামীমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলশী থানা ফেডারেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগের কার্যবরী সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, চসিক ১৪ নং ওয়ার্ডের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কামরুল হুদা প্রমুখ।
শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, আমরা লক্ষ করছি দেশের মানুষকে আবারও বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা আয়তনে ছোট দেশ, কিন্তু বিভাজনে নানাভাগে বিভক্ত। জুলাই আন্দোলনে নতুন প্রজন্ম আমাদের এককাতারে এনে সমবেত করেছিল। ফলে আমরা দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা দেশের স্বার্থে, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এক কাতারে থাকতে চাই। নতুন বাংলাদেশে আমরা আর ভেদাভেদ দেখতে চাই না। শ্রমিক জনতা ও মালিকদের মধ্যে রেষারেষি দেখতে চাই না। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে চাই। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খুলশী থানার সহ-সভাপতি এস এম আকরাম, লালখান বাজার ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল মান্নান, সমাজ সেবক শামসুল হক, জামায়াত নেতা মাস্টার জাহাঙ্গীর, শ্রমিক নেতা মজিবুল হক মজুমদার, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।