ক্যাম্পাসে অস্থিরতার নেপথ্যে কারা?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৯
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশনায় ভিন্নমতের কাউকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোয় দাঁড়াতে দেয়নি। এ সন্ত্রাসী সংগঠন এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যসব ছাত্র ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন। ওই ঐক্য স্বৈরাচারের গুলিতেও থামেনি, কিন্তু সেই ঐক্য ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু করেছে একটি মহল। আর এ মহলকে উৎসাহ ও কুমন্ত্রণা দিচ্ছে ছাত্রদের ঐক্য বিনিষ্ট হলে যারা সুবিধাভোগী হবে, তারা। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যস্ত, তখন শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে মনোযোগী করতে একসঙ্গে আন্দোলনে থাকা ছাত্রনেতারা তৎপর। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি দেশ গঠনে সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ায় সক্রিয়। কিন্তু এসব কার্যক্রমের মধ্যে বসে নেই কুচক্রীমহল, তারা নানা কুমন্ত্রণায় ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনতার ঐক্য ধ্বংসে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ফলে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ও সিলেট এমসি কলেজে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনায় একে-অপরকে দোষারোপ করছে ছাত্রসংগঠনগুলো। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এবং ছাত্রসংগঠনের নেতারা কোনোভাবে ক্যাম্পাসে অস্থিরতা চাচ্ছেন না। তারা চান পরিস্থিতির উত্তরণ ও শান্তিপ্রিয় ক্যাম্পাস। যেখানে বিরাজ করবে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।
‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে নৃশংস হামলা চালায়। ওইদিন দুপুর ১২টায় সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।’ এদিকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফলে ওই সময় ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এর কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস এলাকা থেকে মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় ডাস এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
কুয়েটে হামলার ঘটনায় বিএনপির চারজন গ্রেফতার, যুবদল নেতা বহিষ্কার
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সমর্থক শফিকুল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর খানজাহান আলী থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রিকাবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন ৫ জনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছিলেন সেনাসদস্যরা। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। রামদা হাতে তার দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপরাধের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে অর্জনগুলো তুলে ধরার আহ্বান শিবিরের
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই খুলনা যান ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো দায় নেই। ছাত্রদল, যুবদল এ হামলা চালিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগও ছিল। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও সেখানে ছাত্রদল তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল, সাধারণ ছাত্ররা বাধা দিলে তাদের ওপর ছাত্রদল হামলা চালায়। হামলার দায় তারা উল্টো অন্যদের ওপর চাপাচ্ছে। ছাত্রদল তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণে এসব করছে।’ ছাত্রশিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘যে ছাত্র রাজনীতির কারণে মানুষ খুন হতে হয়, মায়ের, ভাইয়ের, বোনের বুক খালি হতে হয়, সে ছাত্র রাজনীতি আমরা চাই না। বরং যে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে মেধার চর্চা, সেবামূলক প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক সচেতনতা, গঠনমূলক রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি হবে, আমরা সেই ছাত্র রাজনীতি চাই। কুয়েটে সেই ছাত্র রাজনীতিকে লালকার্ড দেখানো হয়েছে, যে ছাত্র রাজনীতি বুয়েটের আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে।’ বিগত ১৫ বছরে ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্রলীগ যে কালচার শুরু করেছিল, তা থেকে বের হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির সে কাজটিই করছে।
‘ছাত্রশিবির একটি গুপ্ত সংগঠন’ বলে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন থেকে যে মন্তব্য করা হয়, সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৩২টি শাখার প্রতিটিতেই প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সেটআপ সম্পন্ন হয়। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ওই ১৫ বছরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি যথা সময়ে হয়েছে কি না? বরং আমরা দেখেছি, বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রুপিং-লবিং হয়েছে। সুতরাং যারা নিজেদের সংগঠনকেই ঠিকমতো চালাতে পারে না, তাদের মুখে অন্য সংগঠন নিয়ে এমন মন্তব্য কেবলই হাস্যকর’। ‘ছাত্রদলকে আমরা বন্ধুপ্রতিম সংগঠন মনে করি’ উল্লেখ করে ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, ‘আসুন, দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে কার কতটুকু অর্জন, তা জাতির সামনে তুলে ধরি। জাতি যদি আপনাদের গ্রহণ করে, তাহলে আমরা সাধুবাদ জানাব। আর যদি আমাদের গ্রহণ করে, তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।’
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর কোনো সন্ত্রাসের ঠিকানা হবে না’ হুঁশিয়ারি হাসনাতের
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করছি, আমাদের সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর কোনো সন্ত্রাসের ঠিকানা হবে না। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, যুবলীগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এ লড়াই একটা বিপ্লবের। জন্ম থেকে মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে অব্যাহতি থাকবে। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদ, ওয়াসিমরা যে সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাসের জন্য শহীদ হয়েছে, তাদের সেই ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমি ছাত্রদলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা ফ্যাসিবাদী আমলে যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, এটা কি সেই গণতন্ত্র? আমরা প্রবল শক্তিশালী ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছি। ছাত্রদলকে তো আমরা কালকে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছি। তাদের বিতাড়িত করতেও সময় লাগবে না।
কুয়েট ছাড়াও সিলেটের এমসি কলেজে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ছাত্রসংগঠনগুলো পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এদিকে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ছাত্রশিবিরের এক শিক্ষার্থীর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীকে হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস ও আশপাশের সড়কে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইসলামী ছাত্রশিবিরও এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কয়েক মাস আগ থেকে ঢাকার কয়েকটি (ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। ওই বৈঠকে অস্থিরতার তিনটি কারণ উঠে আসে। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। তারা কোনো সমস্যায় পড়লে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ না হয়ে নিজেরাই প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যৌক্তিক হোক আর অযৌক্তিক হোক, কাউকে জিম্মি করে তাদের দাবি আদায় করতে চাচ্ছেন। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী কোনো মহল ঢুকে পড়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। আর তৃতীয় কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না। যেকোনো ইস্যুর প্রাথমিক অবস্থায় হস্তক্ষেপ করে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কলেজ প্রশাসন। ফলে বড় বড় ঘটনার জন্ম হচ্ছে।
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রেষারেষি কোনোভাবেই কাম্য নয়, মন্তব্য রিজভীর
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক দলের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সবাইকে সুষ্ঠু রাজনীতিতে ফিরে আসা উচিত।