সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৯

লেবাননে নতুন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস লেবাননের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দেশটিতে নতুন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘ থেকে এএফপি জানায়, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা লেবাননের নতুন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই; বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার বিষয়ে।’ গত ২৭ নভেম্বর লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সাথে অবস্থান নেবে। ইসরাইল ৬০ দিনের মধ্যে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলা সংঘর্ষ হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে ফেলে। এর ফলে প্রায় দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর লেবাননে নতুন সরকার গঠনের পথ সুগম হয়।
লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেছেন, তিনি ‘সংস্কার ও পুনর্গঠনের সরকার’ গঠন করতে চান। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন। কারণ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে লেবাননের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক যুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের এক বিশাল বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এরপর ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন, যাকে হিজবুল্লাহ ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহের মূল পথ হিসেবে ব্যবহার করতো। এ দুই ঘটনায় দলটি বড় ধরনের ধাক্কা খায়। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান জোসেফ আউনকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট। তার নেতৃত্বেই নাওয়াফ সালাম প্রধানমন্ত্রী হন। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সরকার যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনÑ এ তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। লেবাননের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নতুন সরকারের কার্যকারিতা ও কৌশলের ওপর নির্ভর করছে। এএফপি।

এবার রমজান মাসে নাতিশীতোষ্ণ থাকবে সৌদির আবহাওয়া
চলতি ২০২৫ সালের রমজান মাসে মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবের আবহাওয়া থাকবে আরামদায়ক এবং নাতিশীতোষ্ণ। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আকিল আল আকিল আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এ তথ্য। সৌদির আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি। যদি সেদিন চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ১ মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে সৌদিতে। এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের মতো এ সময়টি সৌদিতে ‘বসন্তকাল’ হিসেবে পরিচিত। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল রোতানা খালিজিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকিল আল আকিল বলেন, ‘সৌদি আরবে মার্চ মাস থেকে বসন্তকাল শুরু হয়। চলতি মাস থেকেই শীত বিদায় নিতে শুরু করে এবং পুরো মাস দেশজুড়ে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তাই এবারের রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সৌদিতে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে।’
ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্যও এ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর ধরেই ওমরাহ পালন করা গেলেও সামর্থ্যবান মুসল্লিদের একটি বড় অংশ রমজান মাসে ওমরাহ পালনে আগ্রহী। যদি এবারের রমজানে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে, তাহলে তা বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ওমরাহযাত্রীদের জন্যও স্বস্তিদায়ক হবে। প্রসঙ্গত, মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। ব্যাপক তাপপ্রবাহ এবং গরমের কারণে গ্রীষ্মকালে নাভিশ্বাস ওঠে বিদেশ থেকে আসা ওমরাহ কিংবা হজযাত্রীদের। ২০২৪ সালে হজ হয়েছিল জুন মাসে। এই সময়টিতে সৌদিতে গ্রীষ্মকাল থাকে এবং ব্যাপক তাপপ্রবাহের কারণে সেবার হাজারের অধিক হাজি প্রাণ হারিয়েছিলেন। গালফ নিউজ।

গাজাবাসীদের তাদের মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই : এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান বলেছেন, কোনো শক্তিই ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারবে না। মার্কিন স্থানান্তর প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, ‘হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান গাজাবাসীকে তাদের চিরন্তন মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। গাজা, পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুসালেমসহ ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই থাকবে। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এরদোগান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে এরদোগান বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের চাপে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবগুলো আলোচনার যোগ্য নয়। এ সময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় হামাসের প্রশংসা করেন এরদোগান। ইসরাইলিরা যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য সব চেষ্টা করছে বলেও দাবি তার।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখল করার এবং সেখানে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার বিতর্কিত প্রস্তাব দেন। তার পরিকল্পনার ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ শেষে ইসরাইল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে। ফিলিস্তিনিরা ইতোমধ্যেই অনেক নিরাপদ এবং সুন্দর সম্প্রদায়ে পুনর্বাসিত হয়ে যেতে পারত। যেখানে নতুন এবং আধুনিক বাড়িঘর থাকবে। এটি হলে সেখানে মার্কিন সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন হবে না। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনার যোগ্য। আনাদলু এজেন্সি।

জরুরি আরব সম্মেলন আহ্বান মিশরের
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতি নিয়ে আরব দেশগুলোর অংশগ্রহণে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশর। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এমন একটি সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরিত করার এবং উপকূলীয় অঞ্চলটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। মিশর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি আরব দেশগুলোর সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা করেছে এবং ফিলিস্তিনও সম্মেলনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে ফিলিস্তিনি সংকটের গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।
মিশর এ বিষয়টি নিয়ে বাহরাইন, জর্ডান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করেছে, যাতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব দেশগুলো দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করেছে এবং তারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের পাশে বসবাস করবে। আরব নিউজ।

আনন্দাশ্রুতে অভ্যর্থনা মুক্তি পাওয়া থাই জিম্মিদের
গত মাসে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা পাঁচজন থাই নাগরিক অবশেষে ফিরে এসেছেন ব্যাংককে। ৪৯৯ দিন পর তারা মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্যাংককের সুভর্ণভূমি বিমানবন্দরে তাদের পরিবারের সদস্যরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন এবং আবেগে তাদের চোখে পানি চলে আসে। এ পাঁচজন হলেন পংসাক থান্না, সতিয়ান সুন্নাকাম, ওয়াচারা শ্রিআউন, বান্নাওয়াত সেথাও এবং সুরাসাক লামনাও। তারা সকলেই দক্ষিণ ইসরাইলে কাজ করছিলেন, যখন গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের আক্রমণে তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের মুক্তি ৩০ জানুয়ারি, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে কার্যকর হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত পংসাক থান্না বলেন, “শব্দে বর্ণনা করতে পারছি না। যারা আমাদের মুক্তি দিতে সাহায্য করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমরা এখানে আসতে পারতাম না।” থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সঙ্গিয়াম্পঙসা মুক্তির এ মুহূর্তকে “বহু অনুপ্রেরণাদায়ক” বলে অভিহিত করেন।
এই পাঁচজন বিমানবন্দরে এসে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তাদের পরিবারের সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান এবং একটি ঐতিহ্যবাহী থাই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরবর্তীতে তাদের প্রত্যেককে এককালীন ৬০০,০০০ থাই বাত (প্রায় ১৪,৫১০ পাউন্ড) প্রদান করা হবে এবং মাসিক বেতন হিসেবে ৭২৫ পাউন্ড দেওয়া হবে যতক্ষণ না তারা ৮০ বছর বয়সে পৌঁছান। এ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা আর ইসরাইলে ফিরে না যান। এদিকে গাজায় এখনো এক থাই নাগরিক বন্দি আছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে ষষ্ঠ থাই বন্দি এখনো গাজায় রয়েছে, তার মুক্তির জন্য আমরা অবিরাম কাজ করছি এবং আশা করি দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে সক্ষম হব।” বিবিসি।

মসজিদে নববীতে এবার নতুন নিয়মে ইফতার
পবিত্র মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীতে ইফতারে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইফতারে যেসব সাধারণ খাবার থাকবে- সেগুলোর সঙ্গে ইফতার সরবরাহকারীরা আর মাত্র দুটি খাবার যুক্ত করতে পারবেন। পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে নববীতে অনেক প্রতিষ্ঠান ও অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতার সরবরাহ করে থাকেন। মসজিদে নববীতে ইফতারের সাধারণ খাবার হিসেবে থাকবে খেজুর, রুটি, দই। এছাড়া সঙ্গে দেওয়া হবে প্যাকেটজাত টিস্যু ও পানির বোতল। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নিয়ম হলো, যারা ইফতার সরবরাহ করবেন তারা চাইলে বাদাম, কাপকেক, পাই, কুকি এবং মাংস-পুদিনা-শাক দিয়ে ঠাসা সেদ্ধ খেজুর দিতে পারেন। তবে দুটি আইটেমের বেশি দেওয়া যাবে না। এছাড়া ইফতার সরবরাহ করতে হবে অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে। আর যারা রোজাদারদের সেবা প্রদান করবেন তাদের তথ্য ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিক আপডেট করতে হবে। আরব নিউজ।

পাকিস্তানে কোটা ব্যবস্থা বাতিল
সরকারি চাকরিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করল পাকিস্তান সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরের ১৮ অক্টোবর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বলে রায় দেন। এরপর সরকার এ ব্যবস্থাটি তুলে নিল। পাকিস্তান সরকারের বাতিল করা কোটা ব্যবস্থায় মৃত সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী বা স্ত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীর সন্তানরা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়াই সরকারি চাকরি পেতেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, রায়ের তারিখ থেকে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে মৃত সরকারি চাকরিজীবীদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা এখনো পাচ্ছে। আর যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তাদের জন্য কোটা বহাল থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে ওই কোটার মাধ্যমে যারা সরকারি চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সেনাবাহিনীর উচিত তাদের ‘সাংবিধানিক’ ভূমিকা পালন করা : ইমরান খান
পাকিস্তান তাহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের কাছে দ্বিতীয় খোলা চিঠি লিখে কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কথিত ভূমিকার সমালোচনা করে তাদেরকে ‘তাদের সাংবিধানিক সীমানায় ফিরে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। ৩ ফেব্রুয়ারির আগের চিঠির পর এ চিঠিটি এসেছে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনী এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব দাবি করেন এবং কথিত বিভাজন দূর করার জন্য নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান।
প্রথম চিঠির পর, নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছিল যে, এটি সেনাবাহিনী গ্রহণ করেনি এবং এর অস্তিত্ব সম্পর্কে মিডিয়া রিপোর্টগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, সামরিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের চিঠি পাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা তার সর্বশেষ চিঠিতে ইমরান খান বলেছেন, ‘আমার (পূর্ববর্তী) চিঠির জবাব ছিল খারিজ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’, তিনি আরো যোগ করেছেন যে, তার উদ্বেগ ‘শুধুমাত্র আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম এবং সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের বিপজ্জনক পরিণতির জন্য। এ কারণেই আমি চিঠিটি লিখেছি’। ডন অনলাইন।

অসহনীয় মিথ্যাচার করছে যুক্তরাষ্ট্র: পানামা
পানামা খাল কর্তৃপক্ষও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা তাদের টোল বা ফিতে কোনো সমন্বয় করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দাবি করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে পানামা খাল পারাপারের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না এবং এতে সম্মতি জানিয়েছে পানামা। আর এ দাবি অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পানামা খালের বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ অসহনীয় মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগ করেছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। পানামার প্রেসিডেন্ট মুলিনো আরো স্পষ্টভাবে পররাষ্ট্র দফতরের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণায় আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি, কারণ তারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটা অসহনীয়, সম্পূর্ণ অসহনীয়।
মুলিনো ঘোষণা করেন যে, তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই দ্বন্দ্ব শুরু হয় চার দিন আগে যখন ট্রাম্প আবারও ভিত্তিহীনভাবে দাবি করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মূর্খতার কারণে ১৯৯৯ সালে মার্কিন নির্মিত খালটি পানামার নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দিয়েছিল যা এখন চীনের দখলে চলে গেছে। ট্রাম্প তখন সতর্ক করে বলেন, আমরা এটি পুনরুদ্ধার করবো অথবা খুব শক্তিশালী কিছু ঘটতে চলেছে। ট্রাম্প যখন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পানামায় অবস্থান করছিলেন। পররাষ্ট্র দফতরের মতে, রুবিও মুলিনোকে বলেছিলেন যে ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, পানামা খাল অঞ্চলের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণ একটি হুমকি এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। রুবিও আরো যোগ করেন, তাৎক্ষণিক পরিবর্তন না হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে তার অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।

চার বছরে মারা যেতে পারে ৬০ লাখ মানুষ
যুক্তরাষ্ট্র এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য বন্ধ করলে আগামী চার বছরে ৬০ লাখ মানুষ এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বলে সতর্ক করেছে দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস এইডস এজেন্সি (ইউএনএইড)। যদিও প্রেসিডেন্টস ইমারজেন্সি প্ল্যান ফর এইডস রিলিফ (পিইপিএফআর)-এর অধীনে এইচআইভির চিকিৎসার জন্য তহবিল ছাড়ের সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে, তবে এ নিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে বিভ্রান্তি ও নানা রকম সমস্যা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেছে ইউএনএইডের উপনির্বাহী পরিচালক ক্রিসটিন স্টেগলিন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জেনেভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। স্টেগলিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে এ ছাড় (ওয়েভার) তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে কমিউনিটি পর্যায়ে। তিনি বলেন, আমরা মনে করছি এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারি ব্যয় কমানোর উদ্দেশে ৯০ দিনের জন্য কয়েকশ কোটি ডলারের সাহায্য স্থগিত করেন। তবে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলের ওপর নির্ভরশীল দুই কোটি মানুষের জন্য সাহায্য চলমান রাখা হয়েছে।
ইউএনএইডের রিপোর্ট অনুসারে, ইথিওপিয়াতে ৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ১০ হাজার ডেটা ক্লার্ককে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রতিরোধ সেবাতে। হাজার হাজার নারী, তরুণী ও যারা এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে আছেন তারা এইচআইভি টেস্টিং, কনডম বিতরণ, প্রি-এক্সপোজার প্রোফাইলাক্সিস (প্রেপ)-এর মতো সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্টেগলিং এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, যদি প্রেপের তহবিল ২০২৫ এর পর পুনরায় অনুমোদিত না হয় তাহলে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। এসময় এইচআইভি সংক্রান্ত রোগ ৪০০ গুণ বেড়ে ৬০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যাবার শঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক করেন স্টেগলিং। এদিকে তহবিল বন্ধ না করতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর প্রতি জোর তাগিদের আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইডস। এসময় আর্থিক তহবিল গঠনে বিলম্বের পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয় ওই সংস্থার তরফ থেকে। মানুষ যদি চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে এর থেকে জন্ম নেবে নতুন কোনো ইনফেকশন- বলেন স্টেগলিং। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির অঙ্গীকার কিম জং উনের
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতার সমালোচনা করেছেন। তিনি অঞ্চলটির উত্তেজনা বৃদ্ধি ও সামরিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির জন্য এ সহযোগিতাকে দায়ী করেছেন। কিম বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যার মধ্যে পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা চায় না, তবে আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান বলে জানান ট্রাম্প। রয়টার্স।

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সংখ্যা ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশটিতে ১,১৬৫টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪.৪ শতাংশ বেশি। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর একটি প্রকল্প ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’ জানিয়েছে, এ বিদ্বেষমূলক ঘটনার ৮৮.৫ শতাংশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে রেকর্ড করা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ৮০ শতাংশ (৯৩১টি) বিজেপিশাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোয় ঘটেছে। এতে রাজনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বৃদ্ধির ‘স্পষ্ট সম্পর্ক’ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে, যা মোট ঘটনার অর্ধেকেরও বেশি। বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর শাসিত রাজ্যগুলোয় ২০ শতাংশ (২৩৪টি) বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মোট ঘটনার ৩২ শতাংশই ওই সময়টিতে ঘটেছে। এছাড়া ২০২৪ সালে ২৫৯টি ঘটনা সরাসরি সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার মতো ছিল, যা মোট ঘটনার ২২ শতাংশ। এর মধ্যে ২২৪টি ঘটনা বিজেপিশাসিত রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঘটেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৮.৪ শতাংশ বেশি। ‘ডেঞ্জারাস স্পিচ প্রজেক্ট’-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, এ ধরনের বক্তব্য জনসাধারণকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে বা অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর দায়িত্বহীন ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ৯৯৫টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম বা এক্স-এর মাধ্যমে শেয়ার বা লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছে। অথচ এ প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘনের পরও এসব কনটেন্ট সরিয়ে নেয়নি।
‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নাইক বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে ঘটছে। এটি এখন শুধু সম্প্রদায়গত মেরুকরণের হাতিয়ার নয়, বরং ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনী প্রচারণা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সামাজিক বাস্তবতার অংশ হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোদি সরকারের ধর্মীয় পরিচয়ের রাজনীতিকরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিরোধীদলগুলোর নেতারাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রকাশ্য নিন্দা করতে পিছিয়ে যাচ্ছেন।’ রয়টার্স।

টেকনোক্র্যাট সরকারের পথে সুদান!
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে পোর্ট সুদান থেকে পরিচালিত বর্তমান প্রশাসন। দেশটির সরকার জানিয়েছে, যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে একটি নতুন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। এ রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করা হবে। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, সুদান সশস্ত্র বাহিনী, যৌথবাহিনী ও অন্যান্য সহযোগী বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রযাত্রার মধ্যেই রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেশটির জাতীয় ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের পাশাপাশি সর্বজনীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার শেষ ধাপে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ রোডম্যাপে সর্বজনীন জাতীয় সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। যারা আগ্রাসন প্রত্যাখ্যান করে এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, তাদের এ প্রক্রিয়ায় স্বাগত জানানো হবে। এছাড়া একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, যা সংক্রমণকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনে সহায়তা এবং যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে কাজ করবে। জাতীয় ও সামাজিক শক্তিগুলোর সম্মতিতে সংবিধান সংশোধনের পর একজন বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে, যিনি নির্বাহী শাখার দায়িত্ব নেবেন এবং তাঁর কার্যক্রমে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। আনাদলু এজেন্সি।

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের ঘোষণা ইরানের
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোর-আইআরজিসির নৌবাহিনীর কমান্ডার বলেছেন, ইরান শীগগিরই দেশীয়ভাবে তৈরি একটি সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করবে। যার পাল্লা ২ হাজার কিলোমিটার, যা নৌ প্রতিরক্ষায় ইরানের উন্নত সামরিক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে। আগামী পারস্য ক্যালেন্ডার বছর ২০ মার্চ থেকে শুরু হবে। উন্মোচিত হতে যাওয়া নতুন প্রজেক্টাইলটি ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে দাবি করেছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দেশটির নৌ শক্তির সর্বশেষ অগ্রগতির বিবরণ দিয়েছেন তিনি। ‘আমাদের কাছে এখন এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ইরানি ভূখণ্ডের গভীরতা থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে, উপকূলীয় উৎক্ষেপণের প্রয়োজনীয়তা দূর করে।’
কমান্ডার ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের ঐতিহাসিক বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে সম্প্রচারিত ‘ফজর’ (আশার ভোর; শক্তিশালী ইরান) শিরোনামে একটি বিশেষ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘এ অগ্রগতির মাধ্যমে আমরা পারস্য উপসাগরের উত্তর [অংশ] থেকে সরাসরি ওমান সাগরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারি।’ তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, কোর পশ্চিম ইরানের তাবাস অঞ্চলের দক্ষিণ অংশ থেকে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। তিনি বলেছেন যে, প্রজেক্টাইলটি দেশের দক্ষিণে অবস্থিত ওমান সাগরে ৬৫০ কিলোমিটার (৪০৩ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে। প্রেস টিভি।

ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনি অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত
অধিকৃত পশ্চিমতীরের উত্তর-পশ্চিমে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক ফিলিস্তিনি নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এ খবর প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভুক্তভোগীকে সুন্দুস জামাল শালাবি (২৩) হিসেবে শনাক্ত করেছে। বলা হয়েছে, ওই নারী ইসরাইলি হামলায় তার ভ্রুণও হারিয়েছে, এতে তার স্বামীও গুরুতর আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বাধা দেওয়ায় চিকিৎসা দল ভ্রুণের জীবন বাঁচাতে পারেনি। তুলকারাম শহরের থাবেত হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় গর্ভবতী নারী এবং তার অনাগত শিশু মারা যান। অন্যদিকে তার স্বামীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রামাল্লাহর একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নূর শামসের ভবনগুলোয় অবস্থানরত ইসরাইলি স্নাইপাররা শিবিরের আল-সালেহিন এলাকায় সুন্দুস এবং তার স্বামীর ওপর গুলি চালায়। তারা তাদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার ভোরে ইসরাইলি বাহিনী নূর শামস শিবিরে ভারী যন্ত্রপাতি এবং বুলডোজার মোতায়েন করে এবং কয়েক ডজন বাড়িতে তল্লাশি চালায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনারা নূর শামস শরণার্থী শিবিরে প্রবেশের পথগুলো বন্ধ করে দেয় এবং সেখানকার বাড়িগুলোকে সামরিক ফাঁড়ি এবং স্নাইপার পজিশনে রূপান্তরিত করে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে যে হতাহতের খবর পাওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনারা তাদের মেডিকেল দলগুলোকে শিবিরে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। প্রেস টিভি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান