নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশপ্রেমিক চিকিৎসকদের ভূমিকা পালন করতে হবে-নূরুল ইসলাম বুলবুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, দেশপ্রেমিক চিকিৎসকগণ নিজের ক্যারিয়ার ভুলে দেশের সেবা করছেন। চাইলেই তারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য পদে যেতে পারতেন, কিন্তু তারা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। গত ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক কনভেশন হলে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় চিকিৎসক মানুষের প্রাণ না বাঁচিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা মানুষ মৃত্যু নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে আওয়ামী লীগের চিকিৎসক এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে আহতদের দৌড়াতে দেখা গেছে। ফলে আহতরা চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন। এতে শহীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু আহত ব্যক্তিকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের কারণে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ইবনে সিনা হাসপাতাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে অবদান রেখেছে তা অব্যাহত রেখে আগামীতে স্বাস্থ্য খাতে ইবনে সিনা হাসপাতালকে নেতৃত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি না করে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বজায় রাখতে তিনি দেশের স্বাস্থ্য খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের নিয়োজিত করে ভূমিকা রাখতে তিনি উপস্থিত চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান বলেন, একজন নৈতিক ও আদর্শ চিকিৎস স্বয়ং আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের ভূমিকা পালন করেন। চিকিৎসক একজন মানুষকে সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আবার চিকিৎসক চাইলে একজন মানুষকে অপচিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারেন। তাই তিনি চিকিৎসকদের নৈতিক আদর্শ চরিত্রের ও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. এম.জি গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও ডা. তালিবুল ইসলাম রুশোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. এম.এ বাকি, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. আফজাল মমিন, প্রফেসর ডা. শাহ মো. বুলবুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মুকিত, প্রফেসর ডা. আলমগীর কবিরসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।