রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ২৮তম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ ॥ ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী ॥ ৪ অক্টোবর ২০২৪

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান : রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের নির্দেশ : ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামী শরিয়তে রয়েছে মানবজীবনের সকল দিক ও বিভাগ এবং সকল কাজ ও ব্যাপার সম্পর্কে সুস্পষ্ট আইন ও বিধান। জীবনের এমন কোনো দিক ও বিভাগের উল্লেখ করা যেতে পারে না, যে বিষয়ে ইসলামী শরিয়তে কোনো নির্দেশ পাওয়া যায় না। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থায় রয়েছে ইবাদত, নৈতিক চরিত্র, আকিদা-বিশ্বাস এবং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও কাজকর্ম এবং লেনদেনের পর্যায়ে সুস্পষ্ট বিধান। ‘আল কিতাব-কুরআন মজীদে আমি কিছুই অবর্ণিত রাখিনি।’ -সূরা আল আনআম : ৩৮।
কুরআন-হাদীসে আমীর, ইমাম ও সুলতান প্রভৃতি পারিভাষিক শব্দগুলো বার বার ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো শুধু পড়া বা মুখে উচ্চারণের জন্যই বলা হয়নি, বরং বলা হয়েছে এজন্য যে, তা যেমন পড়া হবে, তেমনি তাকে কার্যকরী করাও হবে। আর এগুলো কার্যকরী করতে হলে ইসলামী শরিয়তের বিধিবিধান অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র কায়েম করা অপরিহার্য।
রাষ্ট্র ও শরিয়ত পালন : ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন, জনগণের যাবতীয় ব্যাপার সুসম্পন্ন করা, রাষ্ট্র কায়েম করা দীনের সর্বপ্রধান দায়িত্ব। বরং রাষ্ট্র ছাড়া দীন প্রতিষ্ঠা হতেই পারে না। আরো কথা এই যে, আল্লাহ তায়ালা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধ এবং নিপীড়িতদের সাহায্য করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি জিহাদ, ইনসাফ ও আইন-শাসন প্রভৃতি যেসব কাজ ওয়াজিব করে দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রশক্তি ও রাষ্ট্র কর্তৃত্ব ছাড়া কিছুতেই সম্পন্ন হতে পারে না। -আস-সিযাসাতুশ শরইয়্যাহ, পৃষ্ঠা-১৭২-১৭৩।
অতএব শরিয়তের আইন-বিধান জারি ও কার্যকরী করার জন্য ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা একটি অপরিহার্য জরুরি কর্তব্য।
আল্লাহর ইবাদতের জন্য ইসলামী রাষ্ট্র জরুরি : আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে তাঁরই ইবাদত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন, আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধু এ উদ্দেশ্যে যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। -সূরা আয যারিয়াত : ৫৬।
পিতা-মাতা যে রকম হবে, তাদের সন্তান হবে ঠিক তেমনি। তারা যদি পথভ্রষ্ট হয়, তাহলে তারা তাদের সন্তানকেও পৌঁছে দেবে গোমরাহীর অতল গহ্বরে। আল্লাহ যে সুস্থ প্রশান্ত প্রকৃতির ওপর শিশুকে পয়দা করেছেন, তা থেকে তারা বহিষ্কৃত করে নেয়। পক্ষান্তরে তারা যদি সত্যদর্শী ও নেক্কার হয়, তাহলে তারা তাদের সন্তানকে আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতির ওপর বহাল রাখতে এবং একে কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে পারে। যেমন কুরআন মজীদে বলা হয়েছে যে, বিপর্যস্ত সমাজ ইসলামের বিধিনিষেধ কার্যকরী করার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মুসলমান সেখানে ইসলামের উদ্দেশ্যানুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে না। তখন সেখান থেকে অন্যত্র এক অনুকূল সমাজ পরিবেশে হিজরত করে চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসলামের শিক্ষানুযায়ী জীবনযাপন করা এবং শরিয়তের বিধান মতো সমাজের লোকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে কেবল গোটা সমাজব্যবস্থাকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তোলার মাধ্যমে। কিন্তু ইসলামী সমাজ গঠন করা কীভাবে সম্ভব? তা কি শুধু ওয়াজ-নসিহত, বক্তৃতা-ভাষণেই কায়েম হতে পারে? না তা সম্ভব নয়। সেজন্য প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা। ইসলামী রাষ্ট্রের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সম্ভব ইসলামের আদর্শ সমাজ গঠন। কেননা এরূপ একটি রাষ্ট্র কায়েম হলেই তা দ্বারা ইসলামের পক্ষে ক্ষতিকর মতামত প্রচার ও শরিয়তবিরোধী কাজ-কর্ম বন্ধ করা সম্ভব। এ কাজের জন্য যে শক্তি ও ক্ষমতার প্রয়োজন, তা কেবল এ রাষ্ট্রের হাতেই থাকতে পারে, কোনো বেসরকারি ব্যক্তি বা সমাজ সাধারণের হাতে এ শক্তি ও ক্ষমতা কখনো থাকে না। কুরআনের আয়াত থেকেও তা প্রমাণিত। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, বস্তুত আমি পাঠিয়েছি আমার নবী-রসূলগণকে এবং তাদের সাথে নাজিল করেছি কিতাব ও মানদণ্ড- যেন লোকেরা ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আরো নাজিল করেছি লৌহ। এর মধ্যে রয়েছে বিযুক্ত অনমনীয় শক্তি এবং জনগণের জন্য অশেষ কল্যাণ। আরো এজন্য যে, কে আল্লাহ এবং তার রাসূলের অগোচরে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, তাকে যেন আল্লাহ জানতে পারেন। -সূরা আল হাদীদ : ২৫।
লৌহ মানে শক্তি-রাষ্ট্রশক্তি, যে লোক কুরআনের হিদায়াত পেয়ে দীনের পথে চলতে উদ্যোগী হবে না, রাষ্ট্রশক্তি তাকে গোমরাহী ও বিপর্যয় সৃষ্টির পথ থেকে বিরত রাখতে পারবে। নৌকার আরোহীরা ডুবে মরুক- এ উদ্দেশ্যে নৌকায় ছিদ্র সৃষ্টি করার অধিকার কাউকে দেয়া যেতে পারে না। সমাজকে যে শক্তি বিপর্যয় ও পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করতে পারে, তা হলো রাষ্ট্রশক্তি, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব।
হযরত ওসমানের একটি কথা স্মরণীয় : কুরআন দ্বারা যে হিদায়াতপ্রাপ্ত হয় না, আল্লাহ তাকে রাষ্ট্রশক্তি দ্বারা হিদায়াত করেন।
মদীনার মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল মক্কা শরীফে এক গোপন স্থানে রাসূলে করীম সা.-এর সাথে মিলিত হয়। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ছিল তিয়াত্তর জন। এ গোপন বৈঠকে রাসূলে করীম সা. তাদের সামনে আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করার দাওয়াত পেশ করেন। এ দাওয়াত পেশ করার পর প্রতিনিধি দলের একজন বলেন, হে রাসূল! আপনার হাতে বাইয়াত করবো কোন কথার ওপর? রাসূলে করীম সা. বলেন, তোমরা আমার হাতে এ বলে বাইয়াত করবে যে, তোমরা ভালো ও মন্দ উভয় অবস্থাতেই আমার কথা শুনতে ও মেনে চলতে প্রস্তুত থাকবে, তোমরা ভালো কাজের আদেশ করবে ও মন্দ কাজ থেকে লোকদের নিষেধ করবে-বিরত রাখবে। আর তোমরা আল্লাহর কথা বলবে, কিন্তু তাতে কোনো উৎপীড়কের ভয় করবে না। আর তোমাদের বাইয়াত হবে এ কথার ওপর যে, তোমরা আমার সার্বিক সাহায্য করবে। আর আমি যখন তোমাদের মাঝে এসে বসবাস করতে থাকবো, তখন যেসব ব্যাপার থেকে তোমরা নিজেদের, তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে রক্ষা করো তা থেকে তোমরা আমাকেও রক্ষা করবে। আর এর বিনিময়ে তোমাদের জন্য জান্নাত নির্দিষ্ট থাকবে। (আলবেদায়াতু ওয়ান নেহায়াতু লিল ইমাম ইবনে কাছীর, ৩য় খণ্ড, ১৫৯ পৃ, সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা)। এ কথা শুনে প্রতিনিধি দলের লোকেরা রাসূলে করীম সা.-এর সামনে উঠে দাঁড়ালো এবং রাসূল সা.-এর উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে নিয়ে বাইয়াত করলো। (সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড)।
প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা : বস্তুত রাসূলে করীম সা. এবং মুসলিম প্রতিনিধি দলের মাঝে এভাবে যে বাইয়াত অনুষ্ঠিত হলো, তাই ছিল প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক সুস্পষ্ট চুক্তিনামা (Contract)। অতঃপর নবী করীম সা. মদীনায় হিজরত করেন। তাঁর সাহাবীদেরও তিনি মদীনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রের যে সংজ্ঞাই দেয়া হোক না কেন, তা পাঁচটা দিক অনিবার্যÑ ১. সুসংবদ্ধ জনসমাজ, ২. যা একটি ব্যাপক ব্যবস্থার অনুগত, ৩. একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী, ৪. সার্বভৌম ক্ষমতাসম্পন্ন, ৫. আর তার রয়েছে ভাবগত স্বাতন্ত্র্য। নবী করীম সা. মদীনায় যে রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন, তাতে রাষ্ট্রের এসব উপাদানই যথাযথভাবে বর্তমান ছিল। জনসমাজ বলতে সেখানে ছিল মুহাজির ও আনসার মুসলিমগণ। তারা যে সামগ্রিক ব্যবস্থা মেনে চলতো, তা ছিল ইসলামী শরিয়তের আইন ও বিধান। আর মদীনা ছিল রাষ্ট্রের অঞ্চল। তাদের জন্য যে সার্বভৌমত্ব ছিল, তা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নবী করীম সা. জনগণের কল্যাণে ব্যবহার ও প্রয়োগ করতেন।
কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা সেইসব লোক, যাদের আমি যদি দুনিয়ার কোনো অংশে ক্ষমতাসীন করে দেই, তাহলে তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থা প্রচলন করবে, লোকদের যাবতীয় মারূফ কাজে বাধ্য করবে ও শরিয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত রাখবে। বস্তুত সব ব্যাপারে চূড়ান্ত ক্ষমতা আল্লাহরই জন্য।’ (সূরা আল হজ : ৪১)।
এখানে নামায কায়েম করার কথা বলে বোঝানো হয়েছে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিককে আল্লাহর ইবাদতের জন্য তৈরি করার কাজ। যাকাত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে জনকল্যাণের সুষ্ঠু বুনিয়াদে পুনর্গঠিতকরণের কথা বলে রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে জনকল্যাণের সুষ্ঠু বুনিয়াদে পুনর্গঠিত করার কথা বোঝানো হয়েছে। আর মারূফ কাজের আদেশ ও শরিয়তবিরোধী কাজ থেকে বিরত রাখার কথা বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে জনগণের জন্য ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা করে দেয়া ও সর্বব্যাপারে ইসলামী আইনকানুন জারি করার দিকে। এসবই হলো ইসলামী রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ইসলামী রাষ্ট্র শরিয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠিত হয়। আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণাটি পাওয়া যায় সাইয়্যেদ রশিদ রিদা, মোল্লা মোহাম্মদ ওমর, আবুল আ’লা মওদূদী, আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি, ইসরার আহমেদ, সাইয়্যেদ কুতুব এবং হাসান আল-বান্নার মতো চিন্তাবিদদের কাছে। প্রথম ইসলামিক স্টেট ছিল মদীনার সংবিধানের অধীনে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদীনায় মুহাম্মদ সা. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত।
ইসলামী সরকারের সারমর্ম : পরামর্শ, যা ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করে। ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মূলনীতি হলো পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামায আদায় করে, নিজেদের পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে।’ সূরা : আশ-শুরা : ৩৮।
* কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে পরামর্শ।
* তাদের মধ্য থেকে সভা পরিচালনার জন্য নির্বাচিত একজন নেতা থাকবে।
* সব সদস্যদের মতামত প্রকাশ করার ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হবে।
* বিষয়টি জনস্বার্থের হতে হবে। * সংখ্যাগরিষ্ঠের কণ্ঠস্বর গ্রহণ করা হয়, যদি তা কুরআন বা সুন্নাহর শিক্ষা লঙ্ঘন না করে।
মুহাম্মদ সা. নিজেই শূরা সদস্যদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতেন। খন্দকের যুদ্ধে (পরিখার যুদ্ধ), সালমান আল-ফারসি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, শত্রুদের প্রবেশ ঠেকাতে মদীনার উত্তরপ্রান্তে একটি বড় খাদ তৈরি করে মুসলমানরা মদীনার অভ্যন্তরে অমুসলিম আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে ভালো হবে। মুহাম্মদ সা.ও এটিকে অনুমোদন করেছিলেন।
বিশ্বের সর্বপ্রথম সংবিধান মুহাম্মদ সা.-এর ইসলামী রাষ্ট্রের ৪৭ দফাবিশিষ্ট সংবিধান। অন্যরা অন্যদের কথা বললেও সত্য কথা হলো সর্বপ্রথম সংবিধান রাসূল সা.-এর প্রদত্ত সংবিধান এবং এর পরে অন্যান্য দেশে সংবিধানের ব্যবস্থা করা হয়। আমেরিকার সংবিধানও পরে রচনা করা হয়।
হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ সা. মদীনাকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তখন মদীনা ছিল পৌত্তলিক, ইহুদি ও মুসলিম- এ তিন সম্প্রদায়ের লোকের একটি আবাসভূমি। রাসূলুল্লাহ সা. লক্ষ করলেন, এ সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপিত না হলে মদীনার শান্তি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই বিশ্ব শান্তির দূত মুহাম্মদ সা. মদীনাবাসীকে একটি লিখিত শান্তির সনদ দান করেন।
সনদে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নেতারা স্বাক্ষর করেন। ইতিহাসে এ সনদকে বলা হয় ‘মদীনা সনদ’। মদীনা সনদই পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বা সংবিধান এবং শান্তি-সম্প্রীতির ঐতিহাসিক দলিল। এ সনদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদান সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য ধারা সন্নিবেশিত রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ)। (চলবে)।
লেখক :  সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।