॥ এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী ॥
নিশ্চয়ই যেসব লোক মহান আল্লাহর মনোনীত জীবনাদর্শ ইসলামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে, এ বিধান অনুসারে সৎকর্ম সম্পাদন করেছে এবং এ বিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতন সহ্য করেছে, করুণাময় আল্লাহ তায়ালা অতি শিগগিরই তাদের জন্য সাধারণ মানুষের অন্তরে প্রবল ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করে দেবেন। [সূরা মারিয়াম : ৯৬]।
ফিলিস্তিনি মজলুমের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ক্রমেই বাড়ছে। তাদের সমর্থনে ও ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক আজ জেগে উঠেছে।
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা পর্যন্ত প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন, প্রশাসন ও পুলিশের টর্চার তুচ্ছ করে ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তারা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন।
ফিলিস্তিনিদের এ লড়াই বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের লড়াই
ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষ প্রাণপণ লড়াই করছেন। সে লড়াই বিচ্ছিন্ন কোনো লড়াই নয়। এ লড়াই পৃথিবীর প্রতিটি বিবেকবান মানুষের লড়াই। দেশে-বিদেশে, ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে মানুষ ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমোরটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এক বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা সামান্য নয়। ফিলিস্তিনের শিশু, নারীর যে আর্তনাদ, কান্না; তা সারা বিশ্বের বিপন্ন আর্তমানবতার কান্না, আর্তচিৎকার। ফিলিস্তিন হচ্ছে বিপন্ন, নিপীড়িত মানুষের বাসভূমি। ফিলিস্তিনে ইসরাইল যা করছে, তা মানবসভ্যতা ও মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করার কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা অতি প্রয়োজন বলে মনে করেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হিটলার পৃথিবীকে গ্রাস করতে চেয়েছিল। পরে হিটলার আত্মহত্যা করেছে। এরপর পৃথিবী আশা করেছিল যে, এ ভুবনে আর কোনো হিটলারের জন্ম হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বড় হিটলার চলে গেছে, ছোট ছোট হিটলাররা পৃথিবীজুড়ে বিরাজ করছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা হিটলারকে জন্ম দিয়েছিল, যা আজো বিদ্যমান। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভ
বিশ্ব কাঁপছে বিক্ষোভে-ফিলিস্তিন এ অন্যায় হামলার প্রতিবাদে। আমেরিকার নতুন প্রজন্ম, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের প্রতিবাদী ভূমিকা-শান্তিকামী নির্যাতিত মানুষের মনে যেন নতুন করে আশা জাগাচ্ছে, ইসরাইল রাষ্ট্র্রের প্রতি আমেরিকার অন্যায় ও অন্যায্য সমর্থনের বিরুদ্ধে সে দেশের তরুণ সমাজ রুখে দাঁড়িয়েছে, ফুঁসে উঠেছে। খোদ ইহুদি সমাজ থেকেও এ গণহত্যার বিরুদ্ধে কণ্ঠ উচ্চকিত হয়েছে।
যাক, জড়বাদী-ভোগবাদী এ মেকি সভ্যতায় এখনো সকল মানুষের বিবেক বুদ্ধি আর মানবতাবোধ মরে যায়নি, দেশে দেশে তরুণ প্রজন্মের, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান এবং সকল হুমকি-ধমকি আর চোখরাঙানির মধ্যেও ন্যায় ও মজলুমের পক্ষাবলম্বন সেটাই প্রমাণ করেছে।
বিক্ষোভরারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে মেটা গালাতে, বিশ্ব আসরেও (এমআইটিতে)। ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে সোচ্চার বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়েছিল ফ্যাশনজগতের সবচেয়ে বড় আসর মেটা গালা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে হাজারো বিক্ষোভকারী অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। তারা এ সময় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে স্লোগান দেন। এদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ করেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরাও।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির হাজারো শিক্ষার্থী।
গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেছে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টস অভিমুখে শত শত শিক্ষার্থী। ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শত শত দাঙ্গা পুলিশ। আটকের পর পিঠমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তখন বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল, ‘আমাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাও।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের তাঁবু ভেঙে পুলিশ কয়েকশত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলা প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেয়া ও সংহতি জানানোয় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক পুলিশের মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
গত ১৭ এপ্রিল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এ বিক্ষোভের সূচনা করেন। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরাইল সরকার, ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি ওঠে বিক্ষোভে। পরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই হাজারের বেশি ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভে নেমেছেন যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, মিশরসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকের মতামত
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরসের সদস্য আইজ্যাক কামোলা জানিয়েছেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা তাদের পদমর্যাদার সাথে অশোভনীয় ছিল। প্রত্যেকেই স্লোগানে স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলেছিল-
‘স্টপ জেনোসাইড’ (গণহত্যা বন্ধ করো)
এবং ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ (ফিলিস্তিন স্বাধীন করো)।
ইসরাইল ফিলিস্তিনে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তার পেছনে মদদদাতাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
গাজার যুদ্ধ বন্ধে ‘ওমেন ওয়ারিওরস অব পিস’- সংগঠনের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারীরাও বিক্ষোভ করেছে এ অন্য্যয় ও গনহত্যার বিরুদ্ধে।
আন্দোলনরত সকলের দাবি ছিল-
ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীসহ ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করা; ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, চিকিৎসাসামগ্রী ও জ্বালানি নিশ্চিত করা; ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের অস্ত্র সরবরাহে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন ঘোষণা প্রভৃতি।
ইসরাইলি মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক আইনি পদক্ষেপ
গত ২০ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মনে করেন- ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খানের আবেদন জানানোর ওই সিদ্ধান্ত ‘বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা ইহুদিবিরোধিতার আগুনে নিষ্ঠুরভাবে পেট্রল ঢালছে’।
অন্যদিকে নিজেদের নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়ে হামাস বলেছে, আইসিসির কৌঁসুলি ‘ভুক্তভোগী ও নিপীড়ক’ উভয় পক্ষকে একই কাতারে শামিল করেছেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন
আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনকে স্বাগত জানিয়ে জেরুসালেমভিত্তিক প্রভাবশালী মানবাধিকার সংগঠন বেতসেলেম বলেছে, ‘এ পরোয়ানা ইসরাইলের দ্রুত নৈতিক অবক্ষয়েরই প্রতিফলন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলকে এ ইঙ্গিত দিচ্ছে, দেশটি আর তার সহিংসতা, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ, জবাবদিহি ছাড়া চালিয়ে যেতে পারবে না।’ অনেক বছর ধরে মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে। এমনকি এক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে কোনো নিন্দাও জানায় না তারা। আবার পশ্চিমাদের দলে না থাকা অন্য দেশগুলোও ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো অবরোধ আরোপ করছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের একচোখা নীতি : আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা, যা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে আইসিসি’র পদক্ষেপ ।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিকের মতামতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে সম্প্রতি কংগ্রেসে দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষিত ব্যক্তি এবং তাদের মিত্র ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করা না হলে, আইসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও নিষেধাজ্ঞা দেবে।
যে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধোঁয়া তুলে দাদাগিরিতে লিপ্ত সে যুক্তরাষ্ট্র আজ আন্তর্জাতিক আদালতকেই হুমকি দিচ্ছে, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল করতে, নয়তো তাদের বিরুদ্ধেও (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞার তীর ছোড়া হবে।
সকল জুলুমতন্ত্রের বিদায়ঘণ্টা অত্যাসন্ন : বিশ্বজুড়ে অত্যাচারী-জুলুমবাজদের স্মরণ রাখতে হবে যে- দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের দিন শেষ হয়ে এসেছে!
আইসিসি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে, সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ইসরাইলের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
শক্তিধর যুদ্ধঅপরাধী ইসরাইল, উড়ে এসে জুড়ে বসা বর্বর জাতি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তি প্রিয়, মুক্তিকামী জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪৫টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তাই এখনই সময়- ঐক্যবদ্ধ শক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল স্বৈরাচার ও জালেমের বিরুদ্ধে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়ার, বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার!
মুসলিম সাহসী নেতৃত্বকে এগিয়ে আসার!
স্বৈরাচার নিপাত যাক!
মজলুম জনতার বিজয় হোক!
তাই তো মহান রবের ঘোষণা,
‘সত্য সমাগত।
মিথ্যা অপসৃত,
মিথ্যা তো অপসৃত হবারই কথা।’