![](images/1715785084Shibir.jpg)
গত ১১ মে শনিবার ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখা আয়োজিত ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের দেশে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে কুরআনের বিরোধিতায় কোনো সফলতা না দেখে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কুরআনের শিক্ষাকে সুকৌশলে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রাথমিক সমাপনীর পর থেকেই বিদ্যালয়ের সিলেবাসে ইসলাম শিক্ষাবিষয়ক সাবজেক্টকে ঐচ্ছিক করা, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষাকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে মূলত ছাত্রসমাজকে কুরআনবিমুখ করা হচ্ছে।
গত ১১ মে শনিবার ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখা কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহর শাখার সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন, ইসলামী মূল্যবোধ ও ইসলামিক স্বাতন্ত্র্যবোধ থেকে মানুষকে দূরে রাখার জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় যৎসামন্য যে ইসলামিক কবিতা, গল্পগুলো ছিল, সেগুলো তুলে দিয়ে তদস্থলে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মকে প্রমোট করে এমন সব গল্প-কবিতা যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌত্বের জন্য হুমকি অখণ্ড বাংলার ইতিহাসও যুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সুকৌশলে ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন, ইসলামী মূল্যবোধ, ইসলামিক স্বাতন্ত্র্যবোধ তথা কুরআনের শিক্ষাকে বাদ দেয়া হচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুগে যুগে আল্লাহদ্রোহীরা কুরআনকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে গেছে। কিন্তু কেউ কুরআনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে টিকতে পারেনি। যারাই কুরআনের পেছনে লেগেছে, তারাই ইতিহাসের ভিলেনে পরিণত হয়েছে। কুরআনের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ১৯৮৫ সালের ১১ মে দশম শ্রেণির ছাত্রশিবির কর্মী আব্দুল মতিন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সেলিম, শীষ মোহাম্মদ, সাহাবুদ্দীন, কৃষক আলতাফুর রহমান সবুর, রিকশাচালক মোক্তার হোসেন ও রেলশ্রমিক নজরুল ইসলামসহ কুরআনপ্রেমিক তাওহীদি জনতা যেভাবে তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মী ও এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এখনো তার জন্য প্রস্তুত আছে। ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মসূচি নির্ধারিত হয় কুরআনের আলোকে। তারা কুরআনের আলোকে জীবনযাপন করে। তাই এ আন্দোলনের প্রতিটি কর্মী তার নিজের ধনসম্পদ ও জীবনের ওপর আঘাতকে মেনে নিতে পারলেও কুরআনের অবমাননা বরদাশত করতে পারে না। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুরআনের কর্মসূচিতে যারা বাধা প্রদান করে, তাদের জেনে রাখা উচিত, ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি কর্মী ক্যাম্পাসে অবশিষ্ট থাকলে সেই ক্যাম্পাসে কুরআনের আলোচনা থাকবে, কুরআনের দারস চলবে, কুরআনের দাওয়াত চলবে। কোনো রক্তচক্ষুকে ইসলামী ছাত্রশিবির ভয় পায় না। এ জমিনে কুরআনের আন্দোলন জারি থাকবে ততদিন, যতদিন আল্লাহর একজন গোলামও বেঁচে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা আবুজার গিফারী, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল আলিম, ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূর্ব সভাপতি মোক্তারুল ইসলাম ও পশ্চিম সভাপতি সেলিম রেজাসহ জায়ামাত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ মে শনিবার কুষ্টিয়া শহরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল হাশেম। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রদের মাঝে কুরআন বিতরণ করা হয়।
ফেনী শহর শাখা: ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখা আয়োজিত ঐতিহাসিক কুরআন দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। ফেনী শহর সভাপতি, সেক্রেটারিসহ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ মে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন মহানগর, শহর ও জেলা শাখাসমূহ আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কুরআন উপহার প্রদান, হাফেজে কুরআন সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, ১১ মে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন মহানগর, শহর ও জেলা শাখাসমূহ আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কুরআন উপহার প্রদান, হাফেজে কুরআন সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
- সংগঠন সংবাদ
- সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে নার্সদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : মাওলানা হাবিবুর রহমান
- কলমসৈনিকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে : হামিদুর রহমান আযাদ
- ইসলাম মানুষের নিকট প্রেজেন্ট করতে হবে : মোবারক হোসাইন
- আটঘরিয়ার সিদ্দিকুর রহমানের ইন্তেকালে জামায়াত আমীরের শোক
- বগুড়ার সোনার বাংলা সংবাদদাতা খলিলুর রহমান আকন্দের ইন্তেকাল
- ধুনটে পৌর জামায়াত নেতার মৃত্যু