যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেছেন, ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণ ও দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে শতভাগ সফল হয়েছিলেন। রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করেই আমাদের কুরআনের আইন চালু করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে এবং দেশ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে থাকবে না কোনো অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবে এবং সকলের মুখে হাসি ফুটবে। তাই জামায়াতে ইসলামীর মূল স্লোগানই হল আল্লাহর আইন চাই, সৎলোকের শাসন চাই। আসুন এ স্লোগানের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করি। গত ১১ মে শনিবার যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জেলা আমীর মাস্টার নূরুন্নবী এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আজীজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমীর মাওলানা লিয়াকত আলী এবং মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মশিউর রহমান প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা আমীর মাস্টার নূরুন্নবী বলেন, বর্তমান সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা দেশকে গভীর সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসক দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। অবলীলায় বিদেশে রাষ্ট্রীয় অর্থ পাচার করা হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের মানুষ অতিকষ্টে জীবনযাপন করছেন। একটি আদর্শবাদী সংগঠনের জনশক্তি হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। মূলত জামায়াত মানুষকে জান্নাতের দিকে ডাকে। তাই জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বা কোনো ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না বরং সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে জামায়াত দীনের বিজয় নিশ্চিত করবে, ইনশাআল্লাহ। তাই দীন বিজয়ের লক্ষ্যে আমাদের ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
বায়জীদ বোস্তামী, বরিশাল: উপজেলা দায়িত্বশীলদের ব্যাপক দাওয়াত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল সংগঠনের বরিশাল অঞ্চলের উপজেলা ও থানা আমীর সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গত ১০ মে শুক্রবার বরিশালের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে অঞ্চল পরিচালক ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলালের সভাপতিত্বে ও অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাজির সঞ্চালন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ, ভোলা জেলা আমীর মাস্টার জাকির হোসাইন, ঝালকাঠি জেলা আমীর এডভোকেট হাফিজুর রহমান, বরগুনা জেলা আমীর মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হারুন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, ইসরাইলি বর্বরতায় গাজা ও রাফা উপত্যকা এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। ফলে গাজা ও রাফা উপত্যকায় নিরীহ মানুষের চলমান হত্যাকাণ্ড ও রাফা অবরুদ্ধ রাখার সীমাহীন মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মূলত ইসরাইলি ঘাতকরা ফিলিস্তিনিদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে তাদের নিজ পিতৃভূমি থেকে উৎখাত করে নিজেদের দখলদারিত্ব কায়েম করতে চায়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধ, বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা জরুরি। তিনি হামলা বন্ধ, বন্দি মুক্তি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ বিশ্বের শান্তিকামী রাষ্ট্রসমূহের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের রাফায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা, গাজা ও রাফা নিরীহ মানুষের চলমান হত্যাকাণ্ড ও রাফা অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গত ১২ মে রোববার সকালে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানার সহকারী সেক্রেটারি মশিউর রহমান রমজান, জামায়াত নেতা মুস্তাফিজুর রহমান টিংকু, মোল্লা নাসির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
- সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে নার্সদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : মাওলানা হাবিবুর রহমান
- কলমসৈনিকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে : হামিদুর রহমান আযাদ
- শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কুরআনের শিক্ষাকে সুকৌশলে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে-ছাত্রশিবির সভাপতি
- ইসলাম মানুষের নিকট প্রেজেন্ট করতে হবে : মোবারক হোসাইন
- আটঘরিয়ার সিদ্দিকুর রহমানের ইন্তেকালে জামায়াত আমীরের শোক
- বগুড়ার সোনার বাংলা সংবাদদাতা খলিলুর রহমান আকন্দের ইন্তেকাল
- ধুনটে পৌর জামায়াত নেতার মৃত্যু