॥ মো. বাহাউদ্দীন বরকতী ॥
বছর ঘুরে আবার রমযান আমাদের মাঝে উপস্থিত। রমযানের রাতে ও দিনে করণীয় আমাদের জানা আবশ্যক। এ মহাবিশ্বের লালন-পালনকারী মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান লাখ লাখ প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্য থেকে এ পৃথিবীতে বসবাস করা দৃশ্যমান প্রাণী মানুষ ও অদৃশ্যমান প্রাণী জিন জাতিদ্বয়ের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা, স্নেহ-মমতা, ভালোবাসা ইত্যাদি বিপরীত গুণাবলি গুণসংবলিতবোধ প্রতিস্থাপন করে তাঁর আদেশ ও নিষেধ পালনের জন্য জাতি দুটিকে বাছাই করেছেন।
পবিত্র কুরআনে সূরা যারিয়াতের ৫৬নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার দাসত্ব ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশে সৃষ্টি করিনি’। মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য।
তাঁর আদেশ স্বীয় জীবনে বাস্তবায়নের বিনিময়ে চিরসুখের নিবাস জান্নাত প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজিদের সূরা আত্-তাওবার ১১১নং আয়াতে ঘোষণা এসেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের জীবন এবং সম্পদকে জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করেছেন।’
আর অমান্যকারীদের জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা এসেছে পবিত্র কুরআন মাজিদের সূরা ইব্রাহীমে ‘স্মরণ কর তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করেন যদি তোমরা আমার নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞ হও, তবে আমি তোমাদের জন্য আমার নিয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দেব, আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তাহলে জেনে রাখ আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠিন।’
সুতরাং আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালন, দাসত্ব করা ও আনুগত্যের বিনিময়ে রয়েছে জান্নাত। শুধু তাই নয়, আল্লাহ তায়ালার আদেশ মান্যতার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তি জীবনের নিরাপত্তা, শান্তি, সামাজিক জীবনের নিরাপত্তা ও শান্তি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্যতা।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. তাঁর জীবনের প্রথম জুমার খুতবার ভেতরে ঘোষণা করেছেন, ‘যে তার এবং আল্লাহ তায়ালার মধ্যে সংশোধনীয় বিষয়গুলোকে সংশোধন করল ইহাই যথেষ্ট হবে অন্য মানুষ ও তার মাঝে সংশোধনীয় বিষয়গুলো সংশোধন হওয়ার জন্য।’
যেমন ধরা যাক এক ব্যক্তি চোর। চুরি করার মাধ্যমে সামাজিক জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্ট করে অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করে। হঠাৎ সে ঈমান আনলো এবং আল্লাহ তায়ালার নিষিদ্ধ কাজ চুরি করা বন্ধ করল এতে আল্লাহ ও তার মাঝে সংশোধিত বিষয় চুরি কাজটি বন্ধ হলো সমাজের অন্য মানুষ তার চুরি থেকে রক্ষা পেল।
এমনভাবে সকলের ক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুম পালনের মাধ্যমে সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্যতা রক্ষা পায়। সে কারণে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে তাঁর বিধিবিধান পালনের জন্য পবিত্র কুরআন মাজিদ ও হাদীস শরীফের মাঝে বহুসংখ্যক বিধান জারি করেছেন। এর ভিত্তিমূলে রয়েছে পাঁচটি বিষয়, যা পবিত্র হাদীস শরীফ মিশকাতুল মাসাবিহর ঈমান অধ্যায়ে ২ নম্বর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূল সা. বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি মোট ৫টি যথা- ১. এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা. তাঁর বান্দা ও রাসূল, ২. নামায প্রতিষ্ঠা করা, ৩. যাকাত প্রদান করা, ৪. হজ করা এবং ৫. রমযান মাসে রোজা রাখা।’ (বুখারী ও মুসলিম)।
আলোচিত হাদীসের বর্ণনানুসারে ইসলামের ৫টি ভিত্তির পঞ্চমটি হলো রমযান মাসে রোজা পালন করা। আর এ রোজা পালন সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন মাজিদে সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার’।
আর এ রমযান মাসে রোজা পালনে একজন ঈমানদার মুসলমান মুত্তাকীর দিন ও রাতের করণীয় সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে আলোচনায় এসেছে।
পবিত্র কুরআন মাজিদের সূরা বাকারার ১৮৭নং আয়াতে ঘোষণা এসেছে, ‘সুবহে সাদিকের শুভ্ররেখা বা কালোরেখা থেকে সুস্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত খাও এবং পান কর অতঃপর রাত অবধি রোজা পূর্ণ কর আর মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস কর না।’
আয়াত অনুযায়ীÑ ১. দিনের বেলা সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকা, ২. স্ত্রীর সাথে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা রোজাদারের কাজ। এছাড়া হাদীস শরীফে রোজাদারের দিন ও রাতের বিবরণ পাওয়া যায়। মিশকাতুল মাসাবিহর সিয়াম অধ্যায়ে একজন রোজাদারের করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা আছে যেমন আল্লাহর প্রিয় হাবিব রাসূল সা. বলেছেন, ‘হে মানুষ! তোমাদের সামনে একটি মোবারকময় মাস আসছে এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস হতে উত্তম। আল্লাহ পাক এ মাসে রোজা ফরজ করে দিয়েছেন এবং উহার রাতে তারাবির নামায সুন্নত করেছেন।’
যে বক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্যলাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে, সে অন্য মাসের ফরজ আদায়কারীর সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ কাজ করবে সে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায়কারীর সমতুল্য। এই মাস ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের পুরস্কার একমাত্র জান্নাত এবং ইহা পারস্পরিক সমবেদনা জ্ঞাপনের মাস।
যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করাবে তার যাবতীয় গোনাহ মাফ হবে এবং দোযখের আগুন থেকে সে নাজাত পাবে। আর সে ঐ রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব মোটেও কমবে না।
সাহাবীরা আরজ করলেন ইয়া রাসূল সা.! আমাদের সকলের তো রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। জবাবে রাসূল সা. বললেন, যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে একটি খেজুর, একটু পানি, এক ঢোক দুধ পান করাবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাকে উত্তমরূপ সওয়াব দান করবেন।
আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে আহার করাবে আল্লাহ তায়ালা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানি পান করাবেন যে সে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত আর পিপাসা অনুভব করবে না। উহা ঐ মাস যার প্রথম ভাগে রয়েছে রহমত, মধ্যভাগে মাগফিরাত এবং শেষভাগে নাজাত।
যে ব্যক্তি এ মাসে ক্রীতদাসের কাজ সহজ করে দেয় আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ রোজা থাকলে তার উচিত গালিগালাজ থেকে মুক্ত থাকা এবং চিৎকার করে কথা না বলা। যদি কেউ রোজাদার ব্যক্তিকে গালিগালাজ দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করতে আসে, তখন সে যেন বলে আমি একজন রোজাদার ব্যক্তি।’
হাদীস শরীফে আরো উল্লেখ আছে রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমযান মাসে রোজা রাখে, তার পূর্বের সকল গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে।’ রাসূল সা. আরো এরশাদ করেন কিয়ামত দিবসে রোজা এবং কুরআন মাজিদ বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।
রোজা বলবে ইয়া আল্লাহ! এ ব্যক্তিকে দিনভর পানাহার এবং যৌন বাসনা থেকে আমি নিবৃত্ত রেখেছি সুতরাং তার স্বপক্ষে আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন মাজিদ বলবে ইয়া আল্লাহ! এ ব্যক্তিকে ঘুম থেকে আমি নিবৃত্ত রেখেছি সুতরাং তার স্বপক্ষে আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর উভয়ের সুপারিশ কবুল হবে।
আর সহীহুল বুখারীর প্রথম খণ্ড ওহির সূচনা অধ্যায়ে ৩নং পৃষ্ঠার শেষ হাদীসে রমযানের করণীয় বিষয়ে একটি সুন্দর বিবরণ আছে। হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর নবী ও রাসূল সা. সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কল্যাণের দানশীল ছিলেন। আর তাঁর এ দান হতো রমযানে যখন তাঁর সাথে হযরত জিব্রাঈল আ. সাক্ষাৎ করতেন।
রমযান মাসের প্রতি রাতে হযরত জিব্রাইল আ. আল কুরআন অনুশীলন করাতেন রাসূলুল্লাহ সা.-কে। অর্থাৎ হযরত জিব্রাঈল আ. কুরআন তিলাওয়াত করতেন আর রাসূল সা. শ্রবণ করতেন এবং হযরত রাসূল সা. কুরআন তিলাওয়াত করতেন আর হযরত জিব্রাঈল আ. শ্রবণ করতেন।
এ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। তাই পৃথিবীর সমগ্র জলচর, উভচর, ভূচর, খেচর ও বৃক্ষরাজীসহ পৃথিবীর সমুদয় পাহাড়-পর্বত, সকল পদার্থ সম্পদ মানুষের নিকট কিছু ভাল আচরণ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার দাবি রাখে।
আর পৃথিবীর সমুদয় বস্তু, প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য প্রচুর জ্ঞাণ ও ধৈর্যের দরকার আর এ প্রশিক্ষণ হলো রমযানের রোজা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নেও ধৈর্য প্রয়োজন।
রমযান মাসে রোজা পালন, ফরজ নামায আদায়, তারাবির নামায আদায়ের সাথে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করাও প্রয়োজন। এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদের সূরা বনী ঈসরাঈলের ৭৯নং আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ নামায আদায় করবে এটি আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য আশা করা যায় আপনার পালনকর্তা আপনাকে প্রতিষ্ঠিত স্থানে প্রশংসিত করবেন।’
অর্থাৎ একজন ঈমানদারের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে (গভীর রাতে) তাহাজ্জুদ পড়া কর্তব্য। জীবের প্রতি দয়া করা কর্তব্য। এ বিষয়ে রাসূল সা. বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া কর আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ এতিম মিসকীনদের খাদ্য দান করা বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা দাহরের ৮নং আয়াতে বলেন, ‘খাদ্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা খাদ্য দান করে অভাবগ্রস্ত, এতিম এবং বন্দীদের।’
পবিত্র কুরআনের সূরা বনী ঈসরাঈলের ২৩নং আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক নির্দেশ করছেন শুধু তার ইবাদত করবে এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে।’
মিশকাতুল মাসাবিহ কিতাবুল ঈমানের ৩নং হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সা. এরশাদ করেছেন, ‘ঈমানের ৭০টির বেশি শাখা রয়েছে। তন্মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম শাখা হলো এ কথা বলা যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আর এর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরে সরিয়ে রাস্তাকে নিরাপদ রাখা। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা’। (বুখারী ও মুসলিম)।
অত্র হাদীসে ঈমানের ২টি বিষয়ের উল্লেখ আছে। ১. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরে সরিয়ে রাস্তাকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছেন সরকারের প্রান্তিক পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা রাস্তা নির্মাণের কিছু টাকা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করে রাস্তাকে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ করেন এতে যান চলাচলের বাধা সৃষ্টি হয়। রাস্তা যান চলাচলকারী ব্যক্তিরা দারুণভাবে বিপদে পতিত হন। রাস্তা নির্মাণকারী সকল দায়িত্বশীল ও সহযোগী ব্যক্তি রোজাদার ব্যক্তিদের রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাৎ করা থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন। ২. লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নির্লজ্জপূর্ণ ছবি প্রদর্শনে গোটা সমাজ ও ব্যক্তি জীবন থেকে লজ্জাশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে। এসব কাজ থেকে বিরত থাকা একজন ঈমানদার রোজাদার মুসলমানের একান্ত জরুরি।
এমনভাবে অর্থ, সামাজিক, শিল্প, প্রশাসনিক, প্রতিরক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে যে যেখানে দায়িত্বে আছেন সেখান থেকে অনিয়ম দূর করে ইসলামী নিয়মানুযায়ী সে সকল ক্ষেত্রসমূহ পরিচাললনা করা একজন রোজাদার মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।
ইয়া আল্লাহ রব্বুল আলামিন! আমাদের রমযানের করণীয়গুলো সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন। আমিন।
লেখক : সিনিয়র প্রভাষক (আরবি) এস এইচ বি আর আলিম মাদরাসা, লোহাগড়া, নড়াইল।