বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ-জাতি আজ গভীর সংকটে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের পুরো বাংলাদেশ আজ বৃহৎ কারাগার। তবুও জেল নামক কারাগারে মানুষের থাকার একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। কিন্তু বিরোধীমতের মানুষের জন্য সেই জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই। গত ১৫ বছরে আমাকে ২৫০ থেকে ৩০০ জায়গায় রাতযাপন করতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতি শুধু আমার নয়, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের। দেশে লুটপাট-দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। শুধু বাজার নয়, গোটা দেশ আজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশপ্রেমিক জনতার ইস্পাতকঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই।
তিনি সম্প্রতি সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে সাংবাদিক, পেশাজীবী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও রাজনীতিবিদদের সম্মানে অনুষ্ঠিত মাহে রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলটি একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। মাহফিলে বিশিষ্ট আইনজীবী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, সিলেটে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসকের পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মাহফিলে দেশ-জাতির মঙ্গল ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি-সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আলেমেদীন শায়খ ইসহাক আল মাদানী। মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ারের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত মাহফিলের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শাহরিয়ার হোসাইন রাজী।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, রক্ত নদী পেরিয়ে, মৃত্যুর পথ মাড়িয়ে শাহাদাতের নাজরানা পেশ করে জামায়াত বাংলার জমিনে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ গভীর সংকটে। এ থেকে মুক্তির জন্য দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে জামায়াতের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। রমযান হচ্ছে বদরের মাস, কদরের মাস। এ মাসে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে। বাংলার জমিনকে কুরআনের রঙে রঙিন না করা পর্যন্ত আমাদের পথচলা থামিয়ে দেয়ার সাধ্য কারো নেই।
মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমযান হচ্ছে কুরআন নাজিলের মাস। এ পবিত্র মাসে ইসলামের প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল। তাই আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমযান থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় শপথ নিতে হবে। সকল জুলুম-নিপীড়ন উপেক্ষা করে সত্য ও ন্যায়ের পথে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- ভিন্ন জাতের ড্রাগন চাষই সমাধান
- দখল-দূষণের কবলে ঘাঘট নদী
- কুরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে -ড. খলিলুর রহমান মাদানি
- পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য এডভোকেট আজিজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
- শাহজাদপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৫টি পরিবারকে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা
- পাবনা জেলায় গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ
- পাবনার জামায়াত নেতা শরিফুল ইসলাম আজাদের দাফন
- সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার পাইকগাছা সংবাদদাতা রবিউল ইসলামের ইন্তিকাল