কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ২ বছরেও আসেনি কোনো যন্ত্রপাতি

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘ ২বছর পূর্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ভবনের উদ্বোধন হলেও আজও আসেনি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। ফলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে এই উপজেলার মানুষের। কিশোরগঞ্জ উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য। গত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার সংসদে কয়েকবার এ দাবি তুললেও সরকারের শেষ সময়ে এসে আটকে পড়ে যায় মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন সরকারের হাতে। এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পড়ে অনিশ্চয়তায়। হতাশ হয়ে পড়ে অত্র উপজেলার মানুষ।

হঠাৎ ২০১০ সালে আবার আওয়ামী সরকারের তৎকালীন সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.)এ এ মারুফ সাকলান অনেক চেষ্টা করে সেই মৃত্যুপুরী থেকে বের করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে স্টেশনের কাজ শেষ হতে থাকে। কিন্তু ভবনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু অসম্পূর্ণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভবন উদ্বোধন করলে তা আবার জটলা বেধে আটকে যায়। ভবনের কাজ এখন শেষ। করা হয়েছে নানান রং দিয়ে স্টেশনের রংয়ের কাজ। চতুর্দিকে দেয়া হয়েছে কয়েকটি লাইট। সেই আলো দেখে কিশোরগঞ্জের বাজারে আসা এবং নীলফামারী-রংপুর সড়ক পথ দিয়ে চলাচল করা মানুষেরা  ফিরে পায় আশার আলো। কবে কখন আসবে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি। কবে আসবে স্টেশনের অগ্নিনির্বাপণ কাজের জনবল। এই আশা গুনছে প্রায় ২ বছরের অধিক সময় থেকে। কিন্তু এ দু’বছরে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে কত মানুষের ঘর-বাড়ি, দোকান পাট, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। অনেক পরিবার আগুনে পুরে যাওয়ার পর এখন গ্রাম ছাড়া। কেউ আবার পথে বসে পড়েছে দু’এক মুঠো ভাতের আশায়। এ মাসের গত ৩ জানুয়ারি রণচণ্ডি ইউনিয়নের একটি গ্রামে আগুন লেগে প্রায় ২৫টি পরিবার ও ৬ জানুয়ারী মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গেরগাড়ী এলাকার ৩০-৩৫টি পরিবারের সব কিছু পূড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। এত বাড়ি ঘর পুড়ে যাওয়ার পরেও সরকার ও সরকারের কোনো প্রশাসনের উদ্যোগ নেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদী সংগ্রহের। কিশোরগঞ্জ উপজেলাবাসীর দাবি কবে চালু হবে সেই স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। আর আমরা কবে পাব আমাদের মূল্যবান সম্পদের রক্ষা সেই আগুনের লেলিহান শিখা থেকে। সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মানুষ।